বদলির পর এবার তদন্তের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন সহকারী প্রকৌশলী মো: সলিম উল্লাহ ও কম্পিউটার অপারেটর সুজন কুমার বিশ্বাস। এই দুজনের বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি)।
গ্রাহকদের জিম্মি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে উঠেছিল সংস্থাটির সিদ্ধিরগঞ্জ ডিভিশনের সহকারী প্রকৌশলী মো: সলিম উল্লাহর বিরুদ্ধে। আর ওই ডিভিশনের কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে ১৭ বছর ধরে কর্মরত গোপালগঞ্জের সুজন কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে উঠেছিল রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ। বাংলা স্কুপে গত ২৯ ও ৩০ নভেম্বর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর তাঁদের দুজনকে রোববার (১ ডিসেম্বর) বদলি করা হয়।
এবার তাদের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানি, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হলো। সোমবার (২ ডিসেম্বর) এক অফিস আদেশে (স্মারক নং: ২৭.৮৭.০০০০.৪০৫.২৭.০২৩.২০.৬০৭) সংস্থাটির মগবাজার সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তাঁকে অভিযোগের সত্যতা ও দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করে তদন্ত প্রতিবেদন ৭ কর্মদিবসের মধ্যে নির্বাহী পরিচালকের (অ্যাডমিন ও এইচ আর) কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পাওয়া প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বাংলা স্কুপকে বলেন, আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব স্বচ্ছতার সঙ্গে পালন করব। যদি কোনো ধরনের গ্রাহক হয়রানি, অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়ে থাকে তাহলে তা প্রতিবেদনে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে উল্লেখ করা হবে।
এদিকে, সহকারী প্রকৌশলী মো: সলিম উল্লাহর 'প্রশ্রয়দাতা' সিদ্ধিরগঞ্জ ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী ও ডিপিডিসির সাউথ বেল্টের প্রধান প্রকৌশলীর ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
বাংলা স্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে
সেই সলিম উল্লাহকে শাস্তিমূলক বদলির আদেশ
অবশেষে কপাল পুড়লো টুঙ্গিপাড়ার সুজনের
