প্রতিবছরই সারাদেশে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনে কাজ করার সময় অনেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎকর্মী নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। বেশিরভাগ ঘটনায় তাদের পরিবার সরকারিভাবে কোন ক্ষতিপূরণ পায় না। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ভরণপোষণের জন্য কোন ব্যবস্থাও নেয়া হয় না। এতে পরিবারগুলোকে অসহায় অবস্থায় জীবনযাপন করতে হয়। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের উদ্যোগে আশার আলো দেখছেন বিদ্যুৎকর্মীরা। অবহেলায় বা অসাবধানতায় হতাহত হলে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াবে, এমনটাই প্রত্যাশা তাঁদের।
সম্প্রতি ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) মানিকনগর এলাকায় উচ্চচাপ বিদ্যুতের তার পরিবর্তন করতে গিয়ে একজন নিহত ও দুইজন গুরুতর আহত হন। সংবাদ পেয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে গিয়ে আহতদের খোঁজখবর নেন। তিনি হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আহত ও নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের আর্থিক সহায়তা দেন ও চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের ভরণপোষণের জন্য বিধিমালা অনুসরণ করে চাকরি দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। ঘটনার তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেন তিনি। উপদেষ্টার নির্দেশনা পাওয়ার পর ডিপিডিসির বোর্ড চেয়ারম্যান ও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক গত রোববার (২৭ অক্টোবর) সংস্থাটিতে কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি সভা করেন। তিনি ডিপিডিসির গঠিত তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন পেশের পাশাপাশি দুর্ঘটনারোধে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত বিদ্যুৎকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য কী কী করা যায় তা সুপারিশমালা আকারে জমা দিতে বলেন।
বিদ্যুৎকর্মীদের নিরাপত্তা ইস্যুতে বিদ্যুৎ উপদেষ্টার দৃঢ় অবস্থান সর্বমহলে প্রশংসিত হচ্ছে। ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার যে এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়েছে, তারই প্রতিফলন এটি। বিগত কোন রাজনৈতিক সরকারের সময় এ জাতীয় উদ্যেগ নেয়া হয়নি। এর জন্য বিদ্যুৎকর্মীরা উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বাংলাস্কুপকে বলেন, বিতরণ লাইনে কাজ করার সময় বিদ্যুৎকর্মীর নিরাপত্তার যথেষ্ট গাইডলাইন রয়েছে। আর এই গাইডলাইনগুলো মেনেই সংশ্লিষ্ট বিতরণ কোম্পানির কার্যক্রম চলে। সঞ্চালন লাইনে কাজ করার সময় বিদ্যুৎপ্রবাহ চালু করে দিলে এ জাতীয় ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলা যাবে না। এটাকে হত্যাকাণ্ড বলতে হবে। দেশের প্রচলিত আইনেই এর বিচার করতে হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা যা করেছেন তা যথার্থই করেছেন। নিহতের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও তার পরিবারের ভরণপোষণের জন্য প্রচলিত বিধিতে ঐ পরিবারের কাউকে সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করা ও আহত পরিবারের চিকিৎসার খরচ এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা অবশ্যই প্রশংসনীয় কাজ।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সাবেক সদস্য মকবুল-ই-ইলাহী চৌধুরী বিদুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে প্রথমেই ধন্যবাদ জানান ও নিহত-আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাস্কুপকে বলেন, বিতরণী কোম্পানিগুলোর বাৎসরিক ঠিকাদারদের কাজ দেয়ার আগে অবশ্যই দক্ষ জনবল, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। পাশাপাশি বিদ্যুৎকর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, কাজের অভিজ্ঞতার সনদ ও নিরাপত্তার জন্য ইন্স্যুরেন্স করা বাধ্যতামূলক করতে হবে। শ্রমিকদের ইন্স্যুরেন্সের দায়িত্ব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকেই নিতে হবে। প্রয়োজনে টেন্ডার ডকুমেন্ট দাখিল করার সময় শ্রমিকদের ইন্স্যুরেন্সের বিষয়টি সংযুক্ত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চাইলে অনেক উদ্যোগ নিতে পারে। শুধু উদ্যোগ নিলেই হবে না, এ সংক্রান্ত আইন করতে হবে। আর তা করতে পারলে দুর্ঘটনা অনেকটা রোধ করা সম্ভব।
পত্রিকায় প্রকাশিত খবর আংশিক পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত ৫ বছরে এ জাতীয় দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১১জন বিদ্যুৎকর্মী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। রাজধানীর মানিকনগরে ডিপিডিসির উচ্চচাপ তার পরিবর্তন করার সময় ২১ অক্টোবর ২০২৪ সন্ধ্যায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত হন মো. নবীর হোসেন এবং আহত হন মাসুম মিয়া ও রফিকুল ইসলাম। মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখাঁন ইউনিয়নে ২০২৪ সালের ১২ অক্টোবর পল্লীবিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে লাইনম্যান রেজুয়ানুল হকের (২২) মৃত্যু হয়। নরসিংদীর রায়পুরা ইউনিয়নের আশ্রবপুর এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের নতুন খুঁটি স্থাপন করতে গিয়ে ১৬ জুলাই ২০২৪ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারান দু’জন বিদ্যুৎকর্মী। গুরুতর আহত হন আরও পাঁচ শ্রমিক। সাতক্ষীরা শহরের কাঠিয়া এলাকায় মুসা মসজিদের পাশের একটি সড়কে ১৮ জুন ২০২৪, ওজোপাডিকোর বিদ্যুৎলাইনে কাজ করার সময় নিহত হন রাজু (৩২) নামে এক বিদ্যুৎকর্মী। ডেসকোর আওতাধীন টঙ্গীতে ১৫ মে ২০২৪, আবাসিক সংযোগ দেওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সুমন শেখ নামে (৩৮) এক বিদ্যুৎকর্মীর মৃত্যু হয়।
সিলেট সদর উপজেলার খাদিমপাড়া ইউনিয়নের দাসপাড়া ৪ নম্বর রোডে পিডিবির বিদ্যুতের লাইনে সংস্কার কাজের সময় ১০ মে ২০২২, মো. সুজন (৩৮) নামে এক বিদ্যুৎকর্মী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট মারা যান। রাজশাহী নগরীর রাজপাড়াধীন এলাকায় ৩১ মার্চ ২০২২, নেসকো ডিভিশন-২ বিদ্যুৎ অফিসের আওতাধীন বৈদ্যুতিক লাইনে কাজ করতেগিয়ে দুই বিদ্যুৎকর্মী গুরুতর আহত হয়।
এছাড়াও রাজধানীর হাজারীবাগের সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেছনে ২২ জানুয়ারি ২০২০, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যু ও আহত হন কয়েকজন। ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার অচিন্তপুর ইউনিয়নের মুখুরিয়া গ্রামে ২০১৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পল্লীবিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন স্থাপনের সময় বিদ্যুৎতায়িত হয়ে মাহবুব মিয়া (২৫) নামের এক বিদ্যুৎশ্রমিক নিহত হন।
বাংলা স্কুপ/বিশেষ প্রতিবেদক/এসকে
মানুষের মৃত্যুর কোনো ক্ষতিপূরণ হয় না : বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
নিহত-আহত বিদ্যুৎকর্মীদের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির
সম্প্রতি ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) মানিকনগর এলাকায় উচ্চচাপ বিদ্যুতের তার পরিবর্তন করতে গিয়ে একজন নিহত ও দুইজন গুরুতর আহত হন। সংবাদ পেয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে গিয়ে আহতদের খোঁজখবর নেন। তিনি হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আহত ও নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের আর্থিক সহায়তা দেন ও চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের ভরণপোষণের জন্য বিধিমালা অনুসরণ করে চাকরি দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। ঘটনার তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেন তিনি। উপদেষ্টার নির্দেশনা পাওয়ার পর ডিপিডিসির বোর্ড চেয়ারম্যান ও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক গত রোববার (২৭ অক্টোবর) সংস্থাটিতে কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি সভা করেন। তিনি ডিপিডিসির গঠিত তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন পেশের পাশাপাশি দুর্ঘটনারোধে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত বিদ্যুৎকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য কী কী করা যায় তা সুপারিশমালা আকারে জমা দিতে বলেন।
বিদ্যুৎকর্মীদের নিরাপত্তা ইস্যুতে বিদ্যুৎ উপদেষ্টার দৃঢ় অবস্থান সর্বমহলে প্রশংসিত হচ্ছে। ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার যে এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়েছে, তারই প্রতিফলন এটি। বিগত কোন রাজনৈতিক সরকারের সময় এ জাতীয় উদ্যেগ নেয়া হয়নি। এর জন্য বিদ্যুৎকর্মীরা উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বাংলাস্কুপকে বলেন, বিতরণ লাইনে কাজ করার সময় বিদ্যুৎকর্মীর নিরাপত্তার যথেষ্ট গাইডলাইন রয়েছে। আর এই গাইডলাইনগুলো মেনেই সংশ্লিষ্ট বিতরণ কোম্পানির কার্যক্রম চলে। সঞ্চালন লাইনে কাজ করার সময় বিদ্যুৎপ্রবাহ চালু করে দিলে এ জাতীয় ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলা যাবে না। এটাকে হত্যাকাণ্ড বলতে হবে। দেশের প্রচলিত আইনেই এর বিচার করতে হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা যা করেছেন তা যথার্থই করেছেন। নিহতের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও তার পরিবারের ভরণপোষণের জন্য প্রচলিত বিধিতে ঐ পরিবারের কাউকে সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করা ও আহত পরিবারের চিকিৎসার খরচ এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা অবশ্যই প্রশংসনীয় কাজ।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সাবেক সদস্য মকবুল-ই-ইলাহী চৌধুরী বিদুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে প্রথমেই ধন্যবাদ জানান ও নিহত-আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাস্কুপকে বলেন, বিতরণী কোম্পানিগুলোর বাৎসরিক ঠিকাদারদের কাজ দেয়ার আগে অবশ্যই দক্ষ জনবল, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। পাশাপাশি বিদ্যুৎকর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, কাজের অভিজ্ঞতার সনদ ও নিরাপত্তার জন্য ইন্স্যুরেন্স করা বাধ্যতামূলক করতে হবে। শ্রমিকদের ইন্স্যুরেন্সের দায়িত্ব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকেই নিতে হবে। প্রয়োজনে টেন্ডার ডকুমেন্ট দাখিল করার সময় শ্রমিকদের ইন্স্যুরেন্সের বিষয়টি সংযুক্ত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চাইলে অনেক উদ্যোগ নিতে পারে। শুধু উদ্যোগ নিলেই হবে না, এ সংক্রান্ত আইন করতে হবে। আর তা করতে পারলে দুর্ঘটনা অনেকটা রোধ করা সম্ভব।
পত্রিকায় প্রকাশিত খবর আংশিক পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত ৫ বছরে এ জাতীয় দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১১জন বিদ্যুৎকর্মী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। রাজধানীর মানিকনগরে ডিপিডিসির উচ্চচাপ তার পরিবর্তন করার সময় ২১ অক্টোবর ২০২৪ সন্ধ্যায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত হন মো. নবীর হোসেন এবং আহত হন মাসুম মিয়া ও রফিকুল ইসলাম। মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখাঁন ইউনিয়নে ২০২৪ সালের ১২ অক্টোবর পল্লীবিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে লাইনম্যান রেজুয়ানুল হকের (২২) মৃত্যু হয়। নরসিংদীর রায়পুরা ইউনিয়নের আশ্রবপুর এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের নতুন খুঁটি স্থাপন করতে গিয়ে ১৬ জুলাই ২০২৪ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারান দু’জন বিদ্যুৎকর্মী। গুরুতর আহত হন আরও পাঁচ শ্রমিক। সাতক্ষীরা শহরের কাঠিয়া এলাকায় মুসা মসজিদের পাশের একটি সড়কে ১৮ জুন ২০২৪, ওজোপাডিকোর বিদ্যুৎলাইনে কাজ করার সময় নিহত হন রাজু (৩২) নামে এক বিদ্যুৎকর্মী। ডেসকোর আওতাধীন টঙ্গীতে ১৫ মে ২০২৪, আবাসিক সংযোগ দেওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সুমন শেখ নামে (৩৮) এক বিদ্যুৎকর্মীর মৃত্যু হয়।
সিলেট সদর উপজেলার খাদিমপাড়া ইউনিয়নের দাসপাড়া ৪ নম্বর রোডে পিডিবির বিদ্যুতের লাইনে সংস্কার কাজের সময় ১০ মে ২০২২, মো. সুজন (৩৮) নামে এক বিদ্যুৎকর্মী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট মারা যান। রাজশাহী নগরীর রাজপাড়াধীন এলাকায় ৩১ মার্চ ২০২২, নেসকো ডিভিশন-২ বিদ্যুৎ অফিসের আওতাধীন বৈদ্যুতিক লাইনে কাজ করতেগিয়ে দুই বিদ্যুৎকর্মী গুরুতর আহত হয়।
এছাড়াও রাজধানীর হাজারীবাগের সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেছনে ২২ জানুয়ারি ২০২০, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যু ও আহত হন কয়েকজন। ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার অচিন্তপুর ইউনিয়নের মুখুরিয়া গ্রামে ২০১৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পল্লীবিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন স্থাপনের সময় বিদ্যুৎতায়িত হয়ে মাহবুব মিয়া (২৫) নামের এক বিদ্যুৎশ্রমিক নিহত হন।
বাংলা স্কুপ/বিশেষ প্রতিবেদক/এসকে
মানুষের মৃত্যুর কোনো ক্ষতিপূরণ হয় না : বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
নিহত-আহত বিদ্যুৎকর্মীদের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির