ইরানের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা শেষ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল।
টানা ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা ইরানের রাজধানী তেহরান ও তার পার্শ্ববর্তী কারাজ শহরে বিমান থেকে গোলা বর্ষণের পর এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিলো ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, “আমাদের হামলাপর্ব সমাপ্ত এবং এ অভিযান সফল। পূর্ববর্তী হামলার জবাব দিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী এই হামলা পরিচালিত করেছিল। আমাদের যুদ্ধবিমানগুলো নিরাপদে ফিরে এসেছে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গত কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হওয়া এ হামলায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রধান কারখানা এবং ইসরায়েলের দিকে তাক করা বিভিন্ন ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ। বিবৃতিতে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে , “ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রধান কারখানায় আঘাত হানা হয়েছে। গত বছর থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে যত ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে দেশটির সেনাবাহিনী, সেগুলোর সবই তৈরি হয়েছে সেই কারখানাটিকে।”
হ্যাগারির এ ঘোষণার আগে ইসরায়েলি হামলা প্রতিহত করার কথা জানায় ইরান। দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী ইসরায়েলি ড্রোনগুলো আকাশেই ধ্বংস করার দাবি করে। এ–সংক্রান্ত ভিডিও ফুটেজ অনলাইনে দেখা গেছে।
এর আগে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে ইরানের রাজধানী তেহরান ও পাশের কারাজ শহরে বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইসরায়েলের এ হামলার সময় সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বাংকারে আশ্রয় নেন।
ইসরায়েলি হামলার পর ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা জানায়, দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী তেহরানের আশপাশের আকাশসীমায় প্রতিপক্ষের লক্ষ্যবস্তু সফলভাবে ধ্বংস করেছে। এ ছাড়া, কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ইরানের অন্য একটি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, তেহরান ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। লেবাননেও সম্প্রতি ব্যাপক হামলা শুরু করেছে তারা।
ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান নিহত হওয়ার পর গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। ছয় মাসের মধ্যে ইসরায়েলে ইরানের দ্বিতীয় হামলা ছিল এটি।
ওই ঘটনায় গত সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছিলেন, ইসরায়েলের ক্ষতি করার চেষ্টার জন্য শত্রুদের ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে।
বাংলা স্কুপ/ডেস্ক/এসকে
ইরানে ইসরায়েলের হামলা
টানা ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা ইরানের রাজধানী তেহরান ও তার পার্শ্ববর্তী কারাজ শহরে বিমান থেকে গোলা বর্ষণের পর এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিলো ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, “আমাদের হামলাপর্ব সমাপ্ত এবং এ অভিযান সফল। পূর্ববর্তী হামলার জবাব দিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী এই হামলা পরিচালিত করেছিল। আমাদের যুদ্ধবিমানগুলো নিরাপদে ফিরে এসেছে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গত কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হওয়া এ হামলায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রধান কারখানা এবং ইসরায়েলের দিকে তাক করা বিভিন্ন ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ। বিবৃতিতে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে , “ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রধান কারখানায় আঘাত হানা হয়েছে। গত বছর থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে যত ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে দেশটির সেনাবাহিনী, সেগুলোর সবই তৈরি হয়েছে সেই কারখানাটিকে।”
হ্যাগারির এ ঘোষণার আগে ইসরায়েলি হামলা প্রতিহত করার কথা জানায় ইরান। দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী ইসরায়েলি ড্রোনগুলো আকাশেই ধ্বংস করার দাবি করে। এ–সংক্রান্ত ভিডিও ফুটেজ অনলাইনে দেখা গেছে।
এর আগে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে ইরানের রাজধানী তেহরান ও পাশের কারাজ শহরে বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইসরায়েলের এ হামলার সময় সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বাংকারে আশ্রয় নেন।
ইসরায়েলি হামলার পর ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা জানায়, দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী তেহরানের আশপাশের আকাশসীমায় প্রতিপক্ষের লক্ষ্যবস্তু সফলভাবে ধ্বংস করেছে। এ ছাড়া, কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ইরানের অন্য একটি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, তেহরান ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। লেবাননেও সম্প্রতি ব্যাপক হামলা শুরু করেছে তারা।
ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান নিহত হওয়ার পর গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। ছয় মাসের মধ্যে ইসরায়েলে ইরানের দ্বিতীয় হামলা ছিল এটি।
ওই ঘটনায় গত সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছিলেন, ইসরায়েলের ক্ষতি করার চেষ্টার জন্য শত্রুদের ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে।
বাংলা স্কুপ/ডেস্ক/এসকে
ইরানে ইসরায়েলের হামলা