
সিলেট টেস্টে বিভীষিকার মতো দিন গেছে বাংলাদেশের। ঘরের মাঠে বড্ড চেনা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যেভাবে খেলেছে শান্ত-মুমিনুলরা, তাতে মনে হতেই পারে মহাপরাক্রমশালী প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলছে টাইগাররা। রোববার (২০ এপ্রিল) প্রথম দিনে তৃতীয় সেশনের প্রথম ঘণ্টাতেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। আর বোলিংয়ে নেমে জিম্বাবুয়ের কোনো উইকেটের পতন ঘটাতে পারেনি শান্ত বাহিনী। উল্টো ১৪ দশমিক ১ ওভারে ৬৭ রান জড়ো করে ফেলেছে রোডেশিয়ানরা। প্রথম দিন শেষে ১২৪ রানে পিছিয়ে সফরকারীরা।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১৯১ রানের জবাবে স্বাগতিকদের নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করেছে জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারান। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট চালিয়েছেন বেনেট, ৩৭ বলে করেছেন ৪০ রান। অন্যপ্রান্তে ৪৯ বলে ১৭ রান করে তাকে দুর্দান্ত সঙ্গ দিয়েছেন কারান। এতে সুযোগ হাত ছাড়া করার মাশুল হিসেবে উইকেটশূন্য থেকে দিন পার করেছে বাংলাদেশ।
এর আগে, টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মন্দ করেনি বাংলাদেশ। তবে ইনিংসের নবম ওভারে বোলিংয়ে পরিবর্তন এনে সাফল্যের দেখা পেয়েছে সফরকারীরা। ভিক্তর নিয়াউচির চতুর্থ বলে পরাস্ত হন সাদমান। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে একটু আগেভাগে স্ট্রেট ড্রাইভ করে ফেলায় টাইমিং হয়নি। তবে গালিতে কোন ভুল করেননি ব্রায়ান বেনেট। ২৩ বলে এক চারে ১২ রানে সাদমানের বিদায়ে ভেঙেছে ৩১ রানের উদ্বোধনী জুটি।
এক ওভার পর ফের উইকেট হারিয়েছে লাল-সবুজেরা। এবারও সেই নিয়াউচি। তার গুড লেংথের বলটিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মাহমুদুল। ১৪ রানে ফেরেন তিনি।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক শান্ত এবং মুমিনুল। ০ রানে মুমিনুলকে জীবন দেন জিম্বাবুয়ের উইকেটকিপার নিয়াশা মায়াভো। সিলেটে অসম বাউন্সে কিছুটা চালিয়ে খেলেন শান্ত। অন্যপ্রান্তে ধীরস্থির সাবলীল ব্যাটিংয়ে এগিয়েছেন মুমিনুল। সময় নিয়ে ক্রিজে জমে উঠেন তারা। শেষমেশ ২৪ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৮৪ রান তুলে লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় সেশনেও সাবধানী শুরু করেছিলেন শান্ত-মুমিনুল। সেট হয়ে ফিফটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন শান্ত। তবে সেটা আর হয়ে উঠেনি। দলীয় সেঞ্চুরি ও নিজের ফিফটি ছোঁয়ার আগেই তার বিদায়ঘণ্টা বাজে তার। মুজারাবানির শর্ট বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ৪০ রানে ফেরেন টাইগার অধিনায়ক।
এরপর আক্রমণে এসেই উইকেটের দেখা পান ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। তার শর্ট বলে সহজ ক্যাচ তুলে দেন মুশফিকুর রহিম। এই স্পিনারকে গায়ের জোরে লেগে খেলেছিলেন। তবে চাহিদা অনুযায়ী ওপরে উঠেনি বল। ফলে মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ নেন ব্রায়ান বেনেট।
শূন্য রানে 'জীবন' উপহার পাওয়া মুমিনুল একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ১০০ বলে ছুঁয়ে ফেলেন পঞ্চাশ। কিন্তু ফিফটি ছোঁয়ার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। মাসাকাদজার ফুল লেংথ বলে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ১০৫ বলে ৫৬ রান করে আউট হন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
এরপর মেহেদী হাসান মিরাজও বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেননি। মুজারাবানির লাফিয়ে ওঠা ডেলিভারিতে কট বিহাইন্ড হন মিরাজ। ৪ বলে ১ রান ফেরেন এই অলরাউন্ডার। তার বিদায়ে মাত্র ১৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ। এরপর তাইজুল-ও আশার আলো হয়ে দাঁড়াতে পারেননি।
সতীর্থদের ছন্দছাড়া ব্যাটিংয়ের দিনে হাসান মাহমুদকে নিয়ে একাই লড়াই জিইয়ে রেখেছিলেন জাকের আলী। তবে সেই লড়াই-ও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৩০ বলে ১৯ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন হাসান মাহমুদ। এরপর জাকেরও (৫৯ বলে ২৮) কয়েক মিনিট ব্যবধানে ফেরেন। মাধেভেরের বলে বেন কারানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন উইকেটকিপার এই ব্যাটার। পরের বলে নাহিদ রানা ফিরলে ১৯১ রানে থামে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১৯১ রানের জবাবে স্বাগতিকদের নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করেছে জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারান। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট চালিয়েছেন বেনেট, ৩৭ বলে করেছেন ৪০ রান। অন্যপ্রান্তে ৪৯ বলে ১৭ রান করে তাকে দুর্দান্ত সঙ্গ দিয়েছেন কারান। এতে সুযোগ হাত ছাড়া করার মাশুল হিসেবে উইকেটশূন্য থেকে দিন পার করেছে বাংলাদেশ।
এর আগে, টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মন্দ করেনি বাংলাদেশ। তবে ইনিংসের নবম ওভারে বোলিংয়ে পরিবর্তন এনে সাফল্যের দেখা পেয়েছে সফরকারীরা। ভিক্তর নিয়াউচির চতুর্থ বলে পরাস্ত হন সাদমান। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে একটু আগেভাগে স্ট্রেট ড্রাইভ করে ফেলায় টাইমিং হয়নি। তবে গালিতে কোন ভুল করেননি ব্রায়ান বেনেট। ২৩ বলে এক চারে ১২ রানে সাদমানের বিদায়ে ভেঙেছে ৩১ রানের উদ্বোধনী জুটি।
এক ওভার পর ফের উইকেট হারিয়েছে লাল-সবুজেরা। এবারও সেই নিয়াউচি। তার গুড লেংথের বলটিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মাহমুদুল। ১৪ রানে ফেরেন তিনি।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক শান্ত এবং মুমিনুল। ০ রানে মুমিনুলকে জীবন দেন জিম্বাবুয়ের উইকেটকিপার নিয়াশা মায়াভো। সিলেটে অসম বাউন্সে কিছুটা চালিয়ে খেলেন শান্ত। অন্যপ্রান্তে ধীরস্থির সাবলীল ব্যাটিংয়ে এগিয়েছেন মুমিনুল। সময় নিয়ে ক্রিজে জমে উঠেন তারা। শেষমেশ ২৪ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৮৪ রান তুলে লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় সেশনেও সাবধানী শুরু করেছিলেন শান্ত-মুমিনুল। সেট হয়ে ফিফটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন শান্ত। তবে সেটা আর হয়ে উঠেনি। দলীয় সেঞ্চুরি ও নিজের ফিফটি ছোঁয়ার আগেই তার বিদায়ঘণ্টা বাজে তার। মুজারাবানির শর্ট বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ৪০ রানে ফেরেন টাইগার অধিনায়ক।
এরপর আক্রমণে এসেই উইকেটের দেখা পান ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। তার শর্ট বলে সহজ ক্যাচ তুলে দেন মুশফিকুর রহিম। এই স্পিনারকে গায়ের জোরে লেগে খেলেছিলেন। তবে চাহিদা অনুযায়ী ওপরে উঠেনি বল। ফলে মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ নেন ব্রায়ান বেনেট।
শূন্য রানে 'জীবন' উপহার পাওয়া মুমিনুল একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ১০০ বলে ছুঁয়ে ফেলেন পঞ্চাশ। কিন্তু ফিফটি ছোঁয়ার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। মাসাকাদজার ফুল লেংথ বলে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ১০৫ বলে ৫৬ রান করে আউট হন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
এরপর মেহেদী হাসান মিরাজও বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেননি। মুজারাবানির লাফিয়ে ওঠা ডেলিভারিতে কট বিহাইন্ড হন মিরাজ। ৪ বলে ১ রান ফেরেন এই অলরাউন্ডার। তার বিদায়ে মাত্র ১৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ। এরপর তাইজুল-ও আশার আলো হয়ে দাঁড়াতে পারেননি।
সতীর্থদের ছন্দছাড়া ব্যাটিংয়ের দিনে হাসান মাহমুদকে নিয়ে একাই লড়াই জিইয়ে রেখেছিলেন জাকের আলী। তবে সেই লড়াই-ও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৩০ বলে ১৯ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন হাসান মাহমুদ। এরপর জাকেরও (৫৯ বলে ২৮) কয়েক মিনিট ব্যবধানে ফেরেন। মাধেভেরের বলে বেন কারানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন উইকেটকিপার এই ব্যাটার। পরের বলে নাহিদ রানা ফিরলে ১৯১ রানে থামে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে