
পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম দিনেও অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বোমা হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।
রোববারের (৩১ মার্চ) এ হামলায় গাজায় অন্তত ২০ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী এবং শিশু। খবর আল জাজিরার।
গাজা উপত্যকায় রোববার পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম দিন পালন করা হচ্ছে। এ দিনে ঐতিহ্যগতভাবে ফিলিস্তিনিরা আনন্দ উদযাপন করে থাকলেও এ বছর একেবারে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। গাজায় বোমা বিস্ফোরণ, কামানের গোলার শব্দের মাঝে ফিলিস্তিনিদের বেঁচে থাকার আর্তনাদ বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
গাজার মধ্যাঞ্চলের আল-মাওয়াসি এলাকায় রোববার সকালের দিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিমান থেকে গুলি চালানো হয়েছে। আল জাজিরার সংবাদদাতা তারেক আবু আজজুম গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকা থেকে বলেছেন, আমি এ মুহূর্তে ইসরায়েলি বিমান থেকে গুলির শব্দ শুনতে পাচ্ছি। দেইর আল-বালাহর পূর্বাঞ্চলে গুলি চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
তিনি বলেন, মাত্র ৩০ মিনিট আগেও দেইর-আল-বালাহ থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরের আল-মাওয়াসি এলাকার একটি শিবিরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় শিশুসহ ৪ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
আল জাজিরার এ সংবাদদাতা বলেন, হামলায় ফিলিস্তিনি একটি পরিবারের সকল সদস্যই প্রাণ হারিয়েছেন। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ওই এলাকাটি ‘মানবিক নিরাপদ অঞ্চল’ হিসাবে ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের ঈদ উদযাপন যেন দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী এ উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত করায় সেখানকার মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁইও মিলছে না।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যে শিশুরা এ দিনে নতুন পোশাক পরত, তারা এখন ক্ষুধার্ত এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। গাজার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নেই, উৎসবের কোনো খাবারও নেই। আজ ভোরের পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সেখানকার বসতিগুলো ধ্বংস করে চলেছে।’
ঈদের আনন্দ উদযাপনের জন্য সমবেশ হওয়ার পরিবর্তে লোকজন সকালের দিকে প্রিয়জনদের কবর জিয়ারত করেছেন। আল জাজিরার সংবাদদাতা তারেক আবু আজজুম আরও বলেন, আল-আকসা হাসপাতালের এক মর্গে আমি একজন ফিলিস্তিনি মাকে দেখেছি, যিনি বাবাকে বিদায় জানাতে নিজের মেয়েকে নিয়ে এসেছেন। ওই ব্যক্তি শনিবার ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।
গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের এমন নির্মম দুর্দশার কোনো শেষ নেই।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে
রোববারের (৩১ মার্চ) এ হামলায় গাজায় অন্তত ২০ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী এবং শিশু। খবর আল জাজিরার।
গাজা উপত্যকায় রোববার পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম দিন পালন করা হচ্ছে। এ দিনে ঐতিহ্যগতভাবে ফিলিস্তিনিরা আনন্দ উদযাপন করে থাকলেও এ বছর একেবারে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। গাজায় বোমা বিস্ফোরণ, কামানের গোলার শব্দের মাঝে ফিলিস্তিনিদের বেঁচে থাকার আর্তনাদ বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
গাজার মধ্যাঞ্চলের আল-মাওয়াসি এলাকায় রোববার সকালের দিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিমান থেকে গুলি চালানো হয়েছে। আল জাজিরার সংবাদদাতা তারেক আবু আজজুম গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকা থেকে বলেছেন, আমি এ মুহূর্তে ইসরায়েলি বিমান থেকে গুলির শব্দ শুনতে পাচ্ছি। দেইর আল-বালাহর পূর্বাঞ্চলে গুলি চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
তিনি বলেন, মাত্র ৩০ মিনিট আগেও দেইর-আল-বালাহ থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরের আল-মাওয়াসি এলাকার একটি শিবিরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় শিশুসহ ৪ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
আল জাজিরার এ সংবাদদাতা বলেন, হামলায় ফিলিস্তিনি একটি পরিবারের সকল সদস্যই প্রাণ হারিয়েছেন। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ওই এলাকাটি ‘মানবিক নিরাপদ অঞ্চল’ হিসাবে ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের ঈদ উদযাপন যেন দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী এ উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত করায় সেখানকার মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁইও মিলছে না।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যে শিশুরা এ দিনে নতুন পোশাক পরত, তারা এখন ক্ষুধার্ত এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। গাজার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নেই, উৎসবের কোনো খাবারও নেই। আজ ভোরের পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সেখানকার বসতিগুলো ধ্বংস করে চলেছে।’
ঈদের আনন্দ উদযাপনের জন্য সমবেশ হওয়ার পরিবর্তে লোকজন সকালের দিকে প্রিয়জনদের কবর জিয়ারত করেছেন। আল জাজিরার সংবাদদাতা তারেক আবু আজজুম আরও বলেন, আল-আকসা হাসপাতালের এক মর্গে আমি একজন ফিলিস্তিনি মাকে দেখেছি, যিনি বাবাকে বিদায় জানাতে নিজের মেয়েকে নিয়ে এসেছেন। ওই ব্যক্তি শনিবার ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।
গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের এমন নির্মম দুর্দশার কোনো শেষ নেই।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে