
নেত্রকোনা শহরের গ্রাহকরা বিদ্যুৎ বিভাগের ভূতুড়ে বিলের কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিদ্যুৎ অফিসে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েও মিলছে না প্রতিকার। সরকারি দফতর হওয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরও ব্যবস্থা নিতে পারছে না। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্যদিকে, বিদ্যুৎ বিভাগও মিটার রিডারদের গাফিলতির কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে স্বীকার করেছে। তবে শিগগিরই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
নেত্রকোনা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। সম্প্রতি স্থানীয় গ্রাহকদের কাছ থেকে অভিযোগ উঠেছে, মিটার রিডাররা মিটার না দেখে মনগড়া বিল তৈরি করছেন। অনেকের বিলের কাগজে পুরনো রিডিং উল্লেখ থাকলেও নতুন রিডিং ফাঁকা রেখে বিল তৈরি করা হচ্ছে। ফলে মাসে মাসে গ্রাহকদের হাতে আসছে অতিরিক্ত বিল। গ্রাহকরা অভিযোগ জানালেও বিদ্যুৎ অফিস থেকে কোনো কার্যকর সমাধান দেয়া হয়নি। এতে হতাশ হয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে অভিযোগ করেন অনেকে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের নেত্রকোনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে পিডিবির নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে চিঠি পাঠাই। কিন্তু বিদ্যুৎ অফিস সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় সরাসরি কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারি না।’
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহা. সালাহ্ উদ্দিন বলেন, ‘ভূতুড়ে বিলের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এজন্য একজন মিটার রিডারকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এবং আরেকজনকে শোকজ করা হয়েছে। আমাদের বেশিরভাগ মিটার রিডার স্থানীয়, তাদের মধ্যে কিছু অনিয়ম লক্ষ্য করা গেছে। শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান করা হবে।’
বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, নেত্রকোনা শহরে ৩৮ হাজার পোস্টপেইড মিটার গ্রাহক রয়েছেন। এছাড়া মোট গ্রাহক সংখ্যা ৫৯ হাজার, যার মধ্যে বাণিজ্যিক গ্রাহক ১২ হাজার ও সেচ গ্রাহক ৩ হাজার। এই বিশাল সংখ্যক গ্রাহকের জন্য বর্তমানে বিদ্যুৎ বিভাগের মিটার রিডার আছেন মাত্র ২২ জন। গ্রাহকরা দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চান এবং সঠিক বিল প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দাবি করেছেন। বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেয়া হলেও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেয়া না হলে ভোগান্তি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সাধারণ গ্রাহকরা।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে
নেত্রকোনা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। সম্প্রতি স্থানীয় গ্রাহকদের কাছ থেকে অভিযোগ উঠেছে, মিটার রিডাররা মিটার না দেখে মনগড়া বিল তৈরি করছেন। অনেকের বিলের কাগজে পুরনো রিডিং উল্লেখ থাকলেও নতুন রিডিং ফাঁকা রেখে বিল তৈরি করা হচ্ছে। ফলে মাসে মাসে গ্রাহকদের হাতে আসছে অতিরিক্ত বিল। গ্রাহকরা অভিযোগ জানালেও বিদ্যুৎ অফিস থেকে কোনো কার্যকর সমাধান দেয়া হয়নি। এতে হতাশ হয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে অভিযোগ করেন অনেকে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের নেত্রকোনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে পিডিবির নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে চিঠি পাঠাই। কিন্তু বিদ্যুৎ অফিস সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় সরাসরি কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারি না।’
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহা. সালাহ্ উদ্দিন বলেন, ‘ভূতুড়ে বিলের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এজন্য একজন মিটার রিডারকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এবং আরেকজনকে শোকজ করা হয়েছে। আমাদের বেশিরভাগ মিটার রিডার স্থানীয়, তাদের মধ্যে কিছু অনিয়ম লক্ষ্য করা গেছে। শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান করা হবে।’
বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, নেত্রকোনা শহরে ৩৮ হাজার পোস্টপেইড মিটার গ্রাহক রয়েছেন। এছাড়া মোট গ্রাহক সংখ্যা ৫৯ হাজার, যার মধ্যে বাণিজ্যিক গ্রাহক ১২ হাজার ও সেচ গ্রাহক ৩ হাজার। এই বিশাল সংখ্যক গ্রাহকের জন্য বর্তমানে বিদ্যুৎ বিভাগের মিটার রিডার আছেন মাত্র ২২ জন। গ্রাহকরা দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চান এবং সঠিক বিল প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দাবি করেছেন। বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেয়া হলেও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেয়া না হলে ভোগান্তি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সাধারণ গ্রাহকরা।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে