
তারল্য সংকট মোকাবিলায় টাকা ছাপিয়ে দুটি ইসলামী ধারার ব্যাংককে মোট আড়াই হাজার কোটি টাকা সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক এই সহায়তা পাবে, যা কোনো জামানত ছাড়াই দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিক জানিয়েছেন, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংককে ১ হাজার ৫০০ কোটি এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংককে ১ হাজার কোটি টাকা সরাসরি দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, 'এটি হাই-পাওয়ার্ড মানি, সহজ ভাষায় টাকা ছাপিয়ে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।'
গত বছর ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের পর ব্যাংক খাতে সংস্কার শুরু হয়। নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর দায়িত্ব নেওয়ার পর এস আলম গ্রুপ নিয়ন্ত্রিত সাতটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন আসে।
এই পরিবর্তনের পর থেকেই ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোতে তীব্র তারল্য সংকট তৈরি হয়। গুজবে আতঙ্কিত হয়ে আমানতকারীরা বড় অঙ্কের টাকা তুলে নেওয়ায় সংকট আরও তীব্র হয়।
প্রাথমিকভাবে আন্তঃব্যাংক ঋণের মাধ্যমে সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তা কার্যকর হয়নি। ফলে ২০২৪ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ছয়টি ব্যাংকে মোট ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা দেওয়া হয়।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এসআইবিএলকে ৫ হাজার ৫০০ কোটি এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংককে ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ন্যাশনাল ব্যাংক ৫ হাজার কোটি, ইউনিয়ন ব্যাংক ২ হাজার কোটি, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ২ শত কোটি, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ১০ কোটি, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ২ হাজার কোটি, এক্সিম ব্যাংক ৮ হাজার ৫০০ কোটি এবং এবি ব্যাংক ২ শত কোটি টাকা পেয়েছে।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক একদিকে টাকা ছাপিয়ে সহায়তা দিচ্ছে, আবার ‘বাংলাদেশ ব্যাংক বিল’-এর মাধ্যমে কিছু অর্থ ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে ব্যাংক খাতের তারল্য সংকট কাটাতে এই পদক্ষেপ কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিক জানিয়েছেন, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংককে ১ হাজার ৫০০ কোটি এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংককে ১ হাজার কোটি টাকা সরাসরি দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, 'এটি হাই-পাওয়ার্ড মানি, সহজ ভাষায় টাকা ছাপিয়ে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।'
গত বছর ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের পর ব্যাংক খাতে সংস্কার শুরু হয়। নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর দায়িত্ব নেওয়ার পর এস আলম গ্রুপ নিয়ন্ত্রিত সাতটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন আসে।
এই পরিবর্তনের পর থেকেই ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোতে তীব্র তারল্য সংকট তৈরি হয়। গুজবে আতঙ্কিত হয়ে আমানতকারীরা বড় অঙ্কের টাকা তুলে নেওয়ায় সংকট আরও তীব্র হয়।
প্রাথমিকভাবে আন্তঃব্যাংক ঋণের মাধ্যমে সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তা কার্যকর হয়নি। ফলে ২০২৪ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ছয়টি ব্যাংকে মোট ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা দেওয়া হয়।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এসআইবিএলকে ৫ হাজার ৫০০ কোটি এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংককে ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ন্যাশনাল ব্যাংক ৫ হাজার কোটি, ইউনিয়ন ব্যাংক ২ হাজার কোটি, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ২ শত কোটি, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ১০ কোটি, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ২ হাজার কোটি, এক্সিম ব্যাংক ৮ হাজার ৫০০ কোটি এবং এবি ব্যাংক ২ শত কোটি টাকা পেয়েছে।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক একদিকে টাকা ছাপিয়ে সহায়তা দিচ্ছে, আবার ‘বাংলাদেশ ব্যাংক বিল’-এর মাধ্যমে কিছু অর্থ ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে ব্যাংক খাতের তারল্য সংকট কাটাতে এই পদক্ষেপ কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে