
বর্তমানে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে যেভাবে মোরাল পুলিশিং বা নারীদের হেনস্তা করা হচ্ছে তা কোনোভাবেই মানবে না সরকার এবং দেরি হলেও সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। এছাড়া ধর্ষণ মামলার বিচার ও নারীর প্রতি সহিংসতা কমাতে আইন সংশোধনের খসড়া প্রস্তুত হয়ে গেছে বলেও জানান উপদেষ্টা।
বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক শেষে এসব জানান তিনি।
এর আগে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের ২৫ জনের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে গিয়ে আইন উপদেষ্টার হাতে স্মারকলিপি জমা দেন। এসময় মুনিয়াসহ সব ধর্ষণ মামলায় দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, আমরা গত পরশু (সোমবার) এবং গতকাল (মঙ্গলবার) সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে পরামর্শ সভা করেছি। আমার একটা খসড়া (সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন) আইন করেছি, সেটি আজ আমরা সার্কুলেট করছি কিছু কিছু স্টেক হোল্ডারদের কাছে। যত দ্রুত সম্ভব আমরা আইনটি কঠোর করার চেষ্টা করবো। ধর্ষণের মামলার বিচার যাতে শুধু দ্রুত না, বিচারটা যাতে নিশ্চিত হয় এবং যথাযথ হয়-আমি এগুলো তাদের বলেছি।
তিনি আরও বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী, ধর্ষণের মামলা তদন্তের সময় ৩০ দিন থেকে কমিয়ে ১৫ দিন এবং মামলার বিচার কাজ শেষ হওয়ার সময় ১৮০ দিন থেকে কমিয়ে ৯০ দিন করা হচ্ছে। বিচারক যদি মনে করেন তবে ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই মেডিকেল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে মামলার বিচারকাজ ও তদন্তকাজ চালাতে পারবেন-অনলাইনে এমন বিধান রাখা হচ্ছে।
ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের প্রতিনিধি দলের সব দাবি যৌক্তিক এবং নারী নির্যাতনের সাথে জড়িতদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, মাগুরার জঘন্য ঘটনার সাথে জড়িত সকল অপরাধীদের গ্রেপ্তারের পর তাদের ডিএনএ স্যাম্পল নেয়া হয়েছে।
নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে সরকার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবে বলেও ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করেন তিনি।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে
বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক শেষে এসব জানান তিনি।
এর আগে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের ২৫ জনের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে গিয়ে আইন উপদেষ্টার হাতে স্মারকলিপি জমা দেন। এসময় মুনিয়াসহ সব ধর্ষণ মামলায় দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, আমরা গত পরশু (সোমবার) এবং গতকাল (মঙ্গলবার) সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে পরামর্শ সভা করেছি। আমার একটা খসড়া (সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন) আইন করেছি, সেটি আজ আমরা সার্কুলেট করছি কিছু কিছু স্টেক হোল্ডারদের কাছে। যত দ্রুত সম্ভব আমরা আইনটি কঠোর করার চেষ্টা করবো। ধর্ষণের মামলার বিচার যাতে শুধু দ্রুত না, বিচারটা যাতে নিশ্চিত হয় এবং যথাযথ হয়-আমি এগুলো তাদের বলেছি।
তিনি আরও বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী, ধর্ষণের মামলা তদন্তের সময় ৩০ দিন থেকে কমিয়ে ১৫ দিন এবং মামলার বিচার কাজ শেষ হওয়ার সময় ১৮০ দিন থেকে কমিয়ে ৯০ দিন করা হচ্ছে। বিচারক যদি মনে করেন তবে ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই মেডিকেল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে মামলার বিচারকাজ ও তদন্তকাজ চালাতে পারবেন-অনলাইনে এমন বিধান রাখা হচ্ছে।
ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের প্রতিনিধি দলের সব দাবি যৌক্তিক এবং নারী নির্যাতনের সাথে জড়িতদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, মাগুরার জঘন্য ঘটনার সাথে জড়িত সকল অপরাধীদের গ্রেপ্তারের পর তাদের ডিএনএ স্যাম্পল নেয়া হয়েছে।
নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে সরকার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবে বলেও ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করেন তিনি।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে