
আলুর দাম কম থাকায় উৎপাদন খরচও তুলতে পারছেন না ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকরা। তার ওপর হিমাগারে সংরক্ষণের অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। ফলে অনেকে বাধ্য হয়ে জমি থেকে আলু উত্তোলনই বন্ধ রেখেছেন।
কৃষিপ্রধান জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে এবারও ব্যাপক হারে আলু চাষ হয়েছে। সদর উপজেলার নারগুন, সালন্দর, গড়েয়া, আকচাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ জমিতে আলু উত্তোলনের কাজ চলছে। তবে বাজারে আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় কৃষকরা হতাশ।
কৃষকরা জানান, এক বিঘা জমিতে আলু উৎপাদনে ৭০-৮০ হাজার টাকা খরচ হলেও, বর্তমান বাজারে ১২-১৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে গিয়ে প্রতি বিঘায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে। লোকসান কমাতে অনেকে হিমাগারে আলু সংরক্ষণের চেষ্টা করলেও অতিরিক্ত ভাড়া নির্ধারণ করায় তা নিয়েও বিপাকে পড়েছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের হিমাদ্রী লিমিটেডের এজিএম এনামুল হক জানান, এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশ বুকিং শেষ হয়েছে। তবে সরকার নির্দেশনা দিলে সংরক্ষণ ভাড়া কমানো হতে পারে।
এ বিষয়ে কৃষি বিপণন কার্যালয়ের মাঠ ও বাজার পরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই ভাড়া নির্ধারণ করেছে। পরবর্তীতে তা কমানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ে যে পরিমাণ আলু উৎপাদন হয়, তা সংরক্ষণের পর্যাপ্ত জায়গা নেই। সরকারি উদ্যোগে হিমাগারের সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন।’
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে জেলায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে, যা থেকে প্রায় ৮ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে জেলার ১৭টি হিমাগারের মোট ধারণক্ষমতা মাত্র ১ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন। ফলে সংরক্ষণের জায়গার সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে। কৃষকরা এখন সরকারি সহায়তার অপেক্ষায় রয়েছেন, যাতে ন্যায্য মূল্যে আলু বিক্রি ও সংরক্ষণের সুযোগ পান।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে
কৃষিপ্রধান জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে এবারও ব্যাপক হারে আলু চাষ হয়েছে। সদর উপজেলার নারগুন, সালন্দর, গড়েয়া, আকচাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ জমিতে আলু উত্তোলনের কাজ চলছে। তবে বাজারে আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় কৃষকরা হতাশ।
কৃষকরা জানান, এক বিঘা জমিতে আলু উৎপাদনে ৭০-৮০ হাজার টাকা খরচ হলেও, বর্তমান বাজারে ১২-১৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে গিয়ে প্রতি বিঘায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে। লোকসান কমাতে অনেকে হিমাগারে আলু সংরক্ষণের চেষ্টা করলেও অতিরিক্ত ভাড়া নির্ধারণ করায় তা নিয়েও বিপাকে পড়েছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের হিমাদ্রী লিমিটেডের এজিএম এনামুল হক জানান, এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশ বুকিং শেষ হয়েছে। তবে সরকার নির্দেশনা দিলে সংরক্ষণ ভাড়া কমানো হতে পারে।
এ বিষয়ে কৃষি বিপণন কার্যালয়ের মাঠ ও বাজার পরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই ভাড়া নির্ধারণ করেছে। পরবর্তীতে তা কমানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ে যে পরিমাণ আলু উৎপাদন হয়, তা সংরক্ষণের পর্যাপ্ত জায়গা নেই। সরকারি উদ্যোগে হিমাগারের সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন।’
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে জেলায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে, যা থেকে প্রায় ৮ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে জেলার ১৭টি হিমাগারের মোট ধারণক্ষমতা মাত্র ১ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন। ফলে সংরক্ষণের জায়গার সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে। কৃষকরা এখন সরকারি সহায়তার অপেক্ষায় রয়েছেন, যাতে ন্যায্য মূল্যে আলু বিক্রি ও সংরক্ষণের সুযোগ পান।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে