
শেরপুরের সীমান্তবর্তী উপজেলা ঝিনাইগাতীতে গারো পাহাড়ের সংরক্ষিত বনাঞ্চল। প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে এ বনে প্রায় আগুন লাগার খবর শোনা যায়। যা এ বছরেও ব্যতিক্রম নয়। গত কয়েকদিন ধরে আগুনে পুড়ছে গারো পাহাড়ের গজনী বিটের বিস্তীর্ণ সরকারি বনভূমি। এতে জঙ্গলে বসবাস করা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রাণী, উপকারী কীটপতঙ্গ ও বনজ গুল্মলতা আগুনে পুড়ে প্রাকৃতিক ভারসাম্য হুমকির মুখে পড়েছে। রবিবার (৯ মার্চ) দুপুরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শালবনের কপিশ গাছ (প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা চারাগাছ) গুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে বড় বড় গজারি শাল বৃক্ষগুলো অক্ষত রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কিছুদিনের মধ্যেই বনের গাছ নিলামে বিক্রি করা হবে। বনের যে সমস্ত অংশী রয়েছেন এবং কিছু দুর্বৃত্ত বনের গাছ কাটার সুবিধার্থে প্রতিনিয়তই এ আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে। এ ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা। তবে বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, বনে পর্যটক ও গরুর রাখালদের বিচরণ থাকায় তারা যে বিড়ি বা সিগারেট খান, তা থেকেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। এ বিষয়ে মাইকিং করে জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে। গত বুধবার থেকে ঝিনাইগাতীর কাংশা ইউনিয়নের হালচাটি, গান্ধীগাঁও, গজনী বিট, দরবেশ টিলা এলাকার বিস্তৃত শালবনে অন্তত ২০টি স্থানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এতে উপকারী কীটপতঙ্গ, পোকামাকড়সহ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রাণী ও চারা গাছ পুড়ে গেছে। বন বিভাগের কর্মীরা চেষ্টা চালিয়ে শুক্রবার আগুন নেভাতে সক্ষম হন।
ময়মনসিংহ বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এস বি তানভীর আহমেদ ইমন বলেন, ‘শুকনা মৌসুমে শালপাতা খুবই শুষ্ক অবস্থায় বনে পড়ে স্তূপ হয়ে থাকে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দা ও গজনি অবকাশ এলাকায় ট্যুরিস্টদের আনাগোনা বেশি। এ ছাড়া বনে গরুর রাখালের বিচরণ থাকায় তারা যে বিড়ি বা সিগারেট খান, সেই আগুন থেকেই জঙ্গলে আগুনের সূত্রপাত ঘটছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানের আগুন নেভানো হয়েছে। এ ছাড়া মাইকিং করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতন করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের গজনী বিটে লোকবল খুবই কম। আর যানবাহনের কোনও সুবিধা না থাকায় এক জায়গার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না আনতেই শুনি আরেক জায়গায় আগুন জ্বলছে। আমরা আছি মহাবিপদে। কম জনবল দিয়ে এত বড় পাহাড়ের আগুন নিয়ন্ত্রণ বেশ কঠিন। তারপরও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। খবর শোনার পর গন্তব্যে পৌঁছতে সময় লেগে যায়। অন্যদিকে আগুন নেভানোর আধুনিক কোনও সরঞ্জাম না থাকায় সনাতন পদ্ধতিতে ফায়ার লাইন করে গাছের পাতার ডাল দিয়ে আগুন নেভানো হয়। এতে করে কর্মীদের মধ্যে একটি ভয় কাজ করে। কখন নিজেদের শরীরে আগুন লেগে যায়।’
পরিবেশবাদী সংগঠন শাইনের নির্বাহী পরিচালক মুগনিউর রহমান মনি বলেন, ‘গারো পাহাড়ের গজারি বনের আগুনে পোড়ানো রোধ থেকে বাঁচানোর জন্য এখানে বেতবাগান করা হয়। কিন্তু কিছু অসাধু দুষ্টচক্র এ বেতবাগানগুলোও পুড়িয়ে দিচ্ছে। এতে করে গাছপালা ধ্বংসসহ প্রাণী ও কীটপতঙ্গ হত্যা করছে একদল দুর্বৃত্ত। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে আমাদের অনুরোধ, বন বাঁচাতে দ্রুত এসব দুর্বৃত্তকে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন
স্থানীয়রা জানান, কিছুদিনের মধ্যেই বনের গাছ নিলামে বিক্রি করা হবে। বনের যে সমস্ত অংশী রয়েছেন এবং কিছু দুর্বৃত্ত বনের গাছ কাটার সুবিধার্থে প্রতিনিয়তই এ আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে। এ ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা। তবে বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, বনে পর্যটক ও গরুর রাখালদের বিচরণ থাকায় তারা যে বিড়ি বা সিগারেট খান, তা থেকেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। এ বিষয়ে মাইকিং করে জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে। গত বুধবার থেকে ঝিনাইগাতীর কাংশা ইউনিয়নের হালচাটি, গান্ধীগাঁও, গজনী বিট, দরবেশ টিলা এলাকার বিস্তৃত শালবনে অন্তত ২০টি স্থানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এতে উপকারী কীটপতঙ্গ, পোকামাকড়সহ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রাণী ও চারা গাছ পুড়ে গেছে। বন বিভাগের কর্মীরা চেষ্টা চালিয়ে শুক্রবার আগুন নেভাতে সক্ষম হন।
ময়মনসিংহ বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এস বি তানভীর আহমেদ ইমন বলেন, ‘শুকনা মৌসুমে শালপাতা খুবই শুষ্ক অবস্থায় বনে পড়ে স্তূপ হয়ে থাকে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দা ও গজনি অবকাশ এলাকায় ট্যুরিস্টদের আনাগোনা বেশি। এ ছাড়া বনে গরুর রাখালের বিচরণ থাকায় তারা যে বিড়ি বা সিগারেট খান, সেই আগুন থেকেই জঙ্গলে আগুনের সূত্রপাত ঘটছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানের আগুন নেভানো হয়েছে। এ ছাড়া মাইকিং করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতন করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের গজনী বিটে লোকবল খুবই কম। আর যানবাহনের কোনও সুবিধা না থাকায় এক জায়গার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না আনতেই শুনি আরেক জায়গায় আগুন জ্বলছে। আমরা আছি মহাবিপদে। কম জনবল দিয়ে এত বড় পাহাড়ের আগুন নিয়ন্ত্রণ বেশ কঠিন। তারপরও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। খবর শোনার পর গন্তব্যে পৌঁছতে সময় লেগে যায়। অন্যদিকে আগুন নেভানোর আধুনিক কোনও সরঞ্জাম না থাকায় সনাতন পদ্ধতিতে ফায়ার লাইন করে গাছের পাতার ডাল দিয়ে আগুন নেভানো হয়। এতে করে কর্মীদের মধ্যে একটি ভয় কাজ করে। কখন নিজেদের শরীরে আগুন লেগে যায়।’
পরিবেশবাদী সংগঠন শাইনের নির্বাহী পরিচালক মুগনিউর রহমান মনি বলেন, ‘গারো পাহাড়ের গজারি বনের আগুনে পোড়ানো রোধ থেকে বাঁচানোর জন্য এখানে বেতবাগান করা হয়। কিন্তু কিছু অসাধু দুষ্টচক্র এ বেতবাগানগুলোও পুড়িয়ে দিচ্ছে। এতে করে গাছপালা ধ্বংসসহ প্রাণী ও কীটপতঙ্গ হত্যা করছে একদল দুর্বৃত্ত। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে আমাদের অনুরোধ, বন বাঁচাতে দ্রুত এসব দুর্বৃত্তকে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন