
জুলাই আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারীদের গড়া নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হকের দলের অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী। নুরুল হক দাবি করছেন, এই নেতাদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে দলে ভেড়ানো হয়েছে। এমনকি কয়েকজনকে ‘১০ কোটি টাকা’ ও ‘এমপি’ করার প্রলোভনও দেখানো হয়েছে। যদিও তার এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে আখ্যায়িত করেছেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন।
রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ব্যাপক জনসমাগম ঘটিয়ে নতুন এই দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি।। অন্তর্বতী সরকার থেকে পদত্যাগ করে এই দলের আহ্বায়ক হয়েছেন নাহিদ ইসলাম। নতুন দলের আত্মপ্রকাশের পরদিনই বিজয়নগরে গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নুরুল হক সংবাদ সম্মেলন ডাকেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে নুরুল হক নুর এনসিপি নেতাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন। এ ছাড়া সরকারে থাকা অন্য দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগের আহ্বান জানান।
তিনি অভিযোগ করেন, জুলাই আন্দোলনকেন্দ্রিক পরিচিত ছাত্রনেতাদের তদবির, নিয়োগ, টেন্ডার-বাণিজ্যসহ নানাবিধ অনৈতিক কর্মকাণ্ড ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি এনসিপির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানেও জেলা প্রশাসকের নোটিশে ঢাকার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মতো বিষয় দেখা গেছে। গাড়ি সরবরাহে মালিক সমিতি ও পরিবহন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে।
নুরুলের ওই সংবাদ সম্মেলন প্রসঙ্গে গত রোববার একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে কথা বলেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ। তিনি বলেন, ‘নুরুল হক নুর নিজেই তার দল বিলুপ্ত করে এনসিপির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। আমরা বলেছি, অবশ্যই আদর্শিকভাবে অনেক দিক থেকে আমাদের মিল আছে। কিন্তু আমরা প্রাথমিকভাবে কোনো একটা দল বিলুপ্ত করে আনতে চাইছি না। অনেক ধরনের সমালোচনা হতে পারে। ভবিষ্যতে আমরা একসঙ্গে এক উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে মুভ দিতে পারি।’
হান্নানের এই বক্তব্যের জবাবে নুরুল বলেছেন, তিনি এনসিপিতে যোগ দিতে চাননি। এনসিপির নেতাদের তিনি গণ অধিকার পরিষদে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র আরও জানায়, নুরুল হকের দল গণ অধিকার পরিষদ ও দলটির ছাত্রসংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের অন্তত ২০ জন নেতা এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন, আহ্বায়ক কমিটিতে তারা পদ পেয়েছেন। এনসিপি নেতাদের অনেকে মনে করছেন, নিজ দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা এনসিপিতে যোগ দেওয়ায় বড় ধরনের সংকটে পড়েছে নুরুলের দল। এ কারণে নুরুল হক এখন এনসিপি নেতাদের ওপর চটেছেন।
নুরুল হক বলেন, নতুন দলের উদ্যোক্তাদের অনেকেই তার দল গণ অধিকার পরিষদ ও সংগঠনের কর্মী বা দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির নেতা ছিলেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর একটি বৃহত্তর প্ল্যাটফর্ম করার ব্যাপারে তাদের সঙ্গে নুরুল হক নুুরের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে। কিন্তু কারও কারও দূরদর্শিতার অভাব থাকায় সেটি আর এগোয়নি।
নুরুল হক অভিযোগ করে বলেন, তার দলের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফসহ কয়েকজনকে ‘ব্ল্যাকমেল’ করে এনসিপিতে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে তারা ভুল বুঝতে পেরে গণ অধিকার পরিষদে ফিরে এসেছেন।
এ বিষয়ে আবু হানিফ বলেন, তাদের কাউকে কোনো টাকার প্রলোভন দেখানো হয়নি। তবে তিনি বলেন, ‘এনসিপি বেটার কিছু হবে মনে করে আমি এই দলে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে গণ অধিকার পরিষদে থেকেই ভালো কাজ করতে পারব। তাই আমি গণ অধিকারে ফিরে যাচ্ছি। শিগগিরই আমি এনসিপি থেকে পদত্যাগ করব।
তবে ১০ কোটি টাকা ও এমপি পদের প্রলোভন দেখানোর যে অভিযোগ নুরুল হক করছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ বলে দাবি করেছেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। তিনি বলেন, ‘এটা সর্বৈব মিথ্যা। এর কোনো ভিত্তি নেই। প্রমাণ ছাড়া এ ধরনের মন্তব্য করা পুরোনো সংস্কৃতির অংশ।
নুরুল হকের গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক ছিলেন আবু হানিফ। এনসিপিতে যোগ দিয়ে তিনি দলটির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হয়েছেন। নুরুলের দলের উচ্চতর পরিষদের সদস্য হানিফ খান সজীব, আব্দুজ জাহের ও আরিফুল ইসলামও যোগ দিয়েছেন এনসিপিতে। এর মধ্যে সজীব এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক, জাহের যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও আরিফুল দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হয়েছেন।
নুরুল হক নুরের অভিযোগ প্রসঙ্গে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, গণ অধিকার পরিষদ থেকে কিছু লোক অনেক আগেই বেরিয়ে গেছেন। তারাই এনসিপিতে এসেছেন। কারণ নুরুল হকের ব্যক্তিগত অনেকগুলো কর্মকাণ্ড ও ভুল রাজনীতির কারণে তাদের অনেকেই একটা নতুন রাজনীতি চাইছিলেন। সেই রাজনীতির কথা যখন এনসিপি প্রস্তাব করেছেন, তখন তারা এই দলে এসেছেন। এখন নুরুল হক দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা বলছেন।
গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব হয়েছেন। গণ অধিকার পরিষদের ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মো. রাসেল আহমেদ এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠকের পদ পেয়েছেন। গণ অধিকার পরিষদের সহযোগী সংগঠন পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিনও এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি নতুন দলের যুগ্ম সদস্যসচিব।
নুরুল হকের দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের বেশ কয়েকজন নেতাও যোগ দিয়েছেন এনসিপিতে। এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পাওয়া আরিফুল ইসলাম আদীব ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। যুগ্ম সদস্যসচিব আকরাম হুসেইন ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
গণ অধিকার পরিষদ থেকে বেরিয়ে নতুন দল গঠন করেছিল একটি অংশ। এটি ২০০৩ সালের কথা। তখন তারাও গণ অধিকার পরিষদ নামেই কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। গণ অধিকার পরিষদের এই অংশের বেশ কয়েকজন নেতাও নতুন দল এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন। এই নেতাদের মধ্যে আছেন শিরীন আক্তার শেলী, মোহাম্মদ আতাউল্লাহ, আরিফুর রহমান তুহিন, সাদ্দাম হোসেন, খায়রুল কবির, জয়নাল আবেদীন শিশির, আবুল বাশার ও আবু সাঈদ মুসা। তারা প্রত্যেকেই এনসিপির বিভিন্ন পদে রয়েছেন।
পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এনসিপির আত্মপ্রকাশের পর গণঅধিকার পরিষদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে নুরুল হক নতুন দলের উদ্যোক্তাদের নিয়ে নানা অভিযোগ তুলছেন। এ নিয়ে বেশ কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন/এসকে
রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ব্যাপক জনসমাগম ঘটিয়ে নতুন এই দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি।। অন্তর্বতী সরকার থেকে পদত্যাগ করে এই দলের আহ্বায়ক হয়েছেন নাহিদ ইসলাম। নতুন দলের আত্মপ্রকাশের পরদিনই বিজয়নগরে গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নুরুল হক সংবাদ সম্মেলন ডাকেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে নুরুল হক নুর এনসিপি নেতাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন। এ ছাড়া সরকারে থাকা অন্য দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগের আহ্বান জানান।
তিনি অভিযোগ করেন, জুলাই আন্দোলনকেন্দ্রিক পরিচিত ছাত্রনেতাদের তদবির, নিয়োগ, টেন্ডার-বাণিজ্যসহ নানাবিধ অনৈতিক কর্মকাণ্ড ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি এনসিপির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানেও জেলা প্রশাসকের নোটিশে ঢাকার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মতো বিষয় দেখা গেছে। গাড়ি সরবরাহে মালিক সমিতি ও পরিবহন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে।
নুরুলের ওই সংবাদ সম্মেলন প্রসঙ্গে গত রোববার একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে কথা বলেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ। তিনি বলেন, ‘নুরুল হক নুর নিজেই তার দল বিলুপ্ত করে এনসিপির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। আমরা বলেছি, অবশ্যই আদর্শিকভাবে অনেক দিক থেকে আমাদের মিল আছে। কিন্তু আমরা প্রাথমিকভাবে কোনো একটা দল বিলুপ্ত করে আনতে চাইছি না। অনেক ধরনের সমালোচনা হতে পারে। ভবিষ্যতে আমরা একসঙ্গে এক উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে মুভ দিতে পারি।’
হান্নানের এই বক্তব্যের জবাবে নুরুল বলেছেন, তিনি এনসিপিতে যোগ দিতে চাননি। এনসিপির নেতাদের তিনি গণ অধিকার পরিষদে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র আরও জানায়, নুরুল হকের দল গণ অধিকার পরিষদ ও দলটির ছাত্রসংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের অন্তত ২০ জন নেতা এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন, আহ্বায়ক কমিটিতে তারা পদ পেয়েছেন। এনসিপি নেতাদের অনেকে মনে করছেন, নিজ দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা এনসিপিতে যোগ দেওয়ায় বড় ধরনের সংকটে পড়েছে নুরুলের দল। এ কারণে নুরুল হক এখন এনসিপি নেতাদের ওপর চটেছেন।
নুরুল হক বলেন, নতুন দলের উদ্যোক্তাদের অনেকেই তার দল গণ অধিকার পরিষদ ও সংগঠনের কর্মী বা দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির নেতা ছিলেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর একটি বৃহত্তর প্ল্যাটফর্ম করার ব্যাপারে তাদের সঙ্গে নুরুল হক নুুরের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে। কিন্তু কারও কারও দূরদর্শিতার অভাব থাকায় সেটি আর এগোয়নি।
নুরুল হক অভিযোগ করে বলেন, তার দলের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফসহ কয়েকজনকে ‘ব্ল্যাকমেল’ করে এনসিপিতে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে তারা ভুল বুঝতে পেরে গণ অধিকার পরিষদে ফিরে এসেছেন।
এ বিষয়ে আবু হানিফ বলেন, তাদের কাউকে কোনো টাকার প্রলোভন দেখানো হয়নি। তবে তিনি বলেন, ‘এনসিপি বেটার কিছু হবে মনে করে আমি এই দলে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে গণ অধিকার পরিষদে থেকেই ভালো কাজ করতে পারব। তাই আমি গণ অধিকারে ফিরে যাচ্ছি। শিগগিরই আমি এনসিপি থেকে পদত্যাগ করব।
তবে ১০ কোটি টাকা ও এমপি পদের প্রলোভন দেখানোর যে অভিযোগ নুরুল হক করছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ বলে দাবি করেছেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। তিনি বলেন, ‘এটা সর্বৈব মিথ্যা। এর কোনো ভিত্তি নেই। প্রমাণ ছাড়া এ ধরনের মন্তব্য করা পুরোনো সংস্কৃতির অংশ।
নুরুল হকের গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক ছিলেন আবু হানিফ। এনসিপিতে যোগ দিয়ে তিনি দলটির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হয়েছেন। নুরুলের দলের উচ্চতর পরিষদের সদস্য হানিফ খান সজীব, আব্দুজ জাহের ও আরিফুল ইসলামও যোগ দিয়েছেন এনসিপিতে। এর মধ্যে সজীব এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক, জাহের যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও আরিফুল দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হয়েছেন।
নুরুল হক নুরের অভিযোগ প্রসঙ্গে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, গণ অধিকার পরিষদ থেকে কিছু লোক অনেক আগেই বেরিয়ে গেছেন। তারাই এনসিপিতে এসেছেন। কারণ নুরুল হকের ব্যক্তিগত অনেকগুলো কর্মকাণ্ড ও ভুল রাজনীতির কারণে তাদের অনেকেই একটা নতুন রাজনীতি চাইছিলেন। সেই রাজনীতির কথা যখন এনসিপি প্রস্তাব করেছেন, তখন তারা এই দলে এসেছেন। এখন নুরুল হক দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা বলছেন।
গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব হয়েছেন। গণ অধিকার পরিষদের ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মো. রাসেল আহমেদ এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠকের পদ পেয়েছেন। গণ অধিকার পরিষদের সহযোগী সংগঠন পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিনও এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি নতুন দলের যুগ্ম সদস্যসচিব।
নুরুল হকের দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের বেশ কয়েকজন নেতাও যোগ দিয়েছেন এনসিপিতে। এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পাওয়া আরিফুল ইসলাম আদীব ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। যুগ্ম সদস্যসচিব আকরাম হুসেইন ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
গণ অধিকার পরিষদ থেকে বেরিয়ে নতুন দল গঠন করেছিল একটি অংশ। এটি ২০০৩ সালের কথা। তখন তারাও গণ অধিকার পরিষদ নামেই কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। গণ অধিকার পরিষদের এই অংশের বেশ কয়েকজন নেতাও নতুন দল এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন। এই নেতাদের মধ্যে আছেন শিরীন আক্তার শেলী, মোহাম্মদ আতাউল্লাহ, আরিফুর রহমান তুহিন, সাদ্দাম হোসেন, খায়রুল কবির, জয়নাল আবেদীন শিশির, আবুল বাশার ও আবু সাঈদ মুসা। তারা প্রত্যেকেই এনসিপির বিভিন্ন পদে রয়েছেন।
পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এনসিপির আত্মপ্রকাশের পর গণঅধিকার পরিষদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে নুরুল হক নতুন দলের উদ্যোক্তাদের নিয়ে নানা অভিযোগ তুলছেন। এ নিয়ে বেশ কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন/এসকে