
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চন্দ্রপাড়া এলাকার সরদার ডাঙ্গী গ্রামের মো. ইয়াছিন সরদারের একটি দেশি পাতিহাঁস কালো রঙের ডিম পাড়ছে। এ ঘটনায় এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ব্যতিক্রমী ওই কালো রঙের ডিম দেখতে প্রতিদিনই আশপাশের গ্রাম থেকে লোকজন ভিড় করছেন ইয়াসিন সরদারের বাড়িতে।
এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বছর খানেক আগে পাশের বাড়ি থেকে ছয়টি হাঁসের বাচ্চা কিনেছিলেন মো. ইয়াছিন সরদারের স্ত্রী হামিদা আক্তার। সবগুলো হাঁস স্বাভাবিক রঙের ডিম দিলেও গত কয়েক মাস আগে থেকে একটি হাঁস হঠাৎ করে কালো রঙের ডিম পাড়া শুরু করে। প্রথমে এই ডিম দেখে তারা অবাক হয়ে যান। সাপ অথবা অন্য প্রাণীর ডিম ভেবে কাউকে না জানিয়ে রেখে দেন। পরবর্তীতে সর্বশেষ ১৫ দিন আগে একই হাঁস পরপর ৪-৫টি কালো ডিম পাড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা নুর ইসলাম মোল্লা বলেন, পাতিহাঁসের কালো ডিম দেখতে ওই বাড়িতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে আগত লোকজনের সমাগম ঘটছে।
ইয়াছিন সরদারের স্ত্রী হামিদা আক্তার বলেন, প্রায় এক বছর আগে পাশের বাড়ি থেকে ছয়টি মেয়ে হাঁসের বাচ্চা কিনেছিলাম। এর মধ্যে একটি হাঁস কয়েক মাস আগে ৩-৪টি কালো রঙের ডিম পাড়ে। ডিমের রং গাঢ় কালো দেখে মনে করি এটা অন্য কোনো প্রাণীর। কয়েকদিন আগে আবার পরপর ৪-৫টি ডিম পাড়ে হাঁসটি, তখন ডিমগুলো মানুষকে দেখালে এলাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
হাঁসটির মালিক সাবেক সেনা সদস্য মো. ইয়াছিন সরদার বলেন, হাঁসটি কালো রঙের ডিম ছাড়া সাদা ডিমও পাড়ে। ডিম নিয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার স্মরণাপন্ন হলে তিনি বলেন এটি খাওয়া যাবে এবং এর গুণগত মান স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান। পরে একটি ডিম রেখে সবগুলো খেয়ে ফেলা হয়েছে। প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে ডিম দেখতে মানুষ ভিড় করছে।
এ বিষয়ে সদরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী মজুমদার বলেন, প্রাণিদেহের বিলিভার্ডিন কম-বেশি হওয়ার কারণে ডিমের খোলসের রং নীলচে বা সবুজাভ হয়ে থাকে। এছাড়া জরায়ুতে ডিমের খোলসটি পরিণত হওয়ার সময় গাঢ় সবুজ রঙের পিত্তরস বেশি থাকতে পারে। ওই দুটি উপাদান জরায়ুতে বেশি থাকলে তা থেকে ডিমটির রং কালো হতে পারে। তিনি আরও বলেন, কালো রঙের ডিম খেতে কোনো সমস্যা নেই। জেনেটিক কারণে হাঁসের ডিমের রং কালো হতে পারে। তবে এতে ডিমের পুষ্টিগুণে কোনো প্রভাব পড়ে না।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে
এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বছর খানেক আগে পাশের বাড়ি থেকে ছয়টি হাঁসের বাচ্চা কিনেছিলেন মো. ইয়াছিন সরদারের স্ত্রী হামিদা আক্তার। সবগুলো হাঁস স্বাভাবিক রঙের ডিম দিলেও গত কয়েক মাস আগে থেকে একটি হাঁস হঠাৎ করে কালো রঙের ডিম পাড়া শুরু করে। প্রথমে এই ডিম দেখে তারা অবাক হয়ে যান। সাপ অথবা অন্য প্রাণীর ডিম ভেবে কাউকে না জানিয়ে রেখে দেন। পরবর্তীতে সর্বশেষ ১৫ দিন আগে একই হাঁস পরপর ৪-৫টি কালো ডিম পাড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা নুর ইসলাম মোল্লা বলেন, পাতিহাঁসের কালো ডিম দেখতে ওই বাড়িতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে আগত লোকজনের সমাগম ঘটছে।
ইয়াছিন সরদারের স্ত্রী হামিদা আক্তার বলেন, প্রায় এক বছর আগে পাশের বাড়ি থেকে ছয়টি মেয়ে হাঁসের বাচ্চা কিনেছিলাম। এর মধ্যে একটি হাঁস কয়েক মাস আগে ৩-৪টি কালো রঙের ডিম পাড়ে। ডিমের রং গাঢ় কালো দেখে মনে করি এটা অন্য কোনো প্রাণীর। কয়েকদিন আগে আবার পরপর ৪-৫টি ডিম পাড়ে হাঁসটি, তখন ডিমগুলো মানুষকে দেখালে এলাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
হাঁসটির মালিক সাবেক সেনা সদস্য মো. ইয়াছিন সরদার বলেন, হাঁসটি কালো রঙের ডিম ছাড়া সাদা ডিমও পাড়ে। ডিম নিয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার স্মরণাপন্ন হলে তিনি বলেন এটি খাওয়া যাবে এবং এর গুণগত মান স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান। পরে একটি ডিম রেখে সবগুলো খেয়ে ফেলা হয়েছে। প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে ডিম দেখতে মানুষ ভিড় করছে।
এ বিষয়ে সদরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী মজুমদার বলেন, প্রাণিদেহের বিলিভার্ডিন কম-বেশি হওয়ার কারণে ডিমের খোলসের রং নীলচে বা সবুজাভ হয়ে থাকে। এছাড়া জরায়ুতে ডিমের খোলসটি পরিণত হওয়ার সময় গাঢ় সবুজ রঙের পিত্তরস বেশি থাকতে পারে। ওই দুটি উপাদান জরায়ুতে বেশি থাকলে তা থেকে ডিমটির রং কালো হতে পারে। তিনি আরও বলেন, কালো রঙের ডিম খেতে কোনো সমস্যা নেই। জেনেটিক কারণে হাঁসের ডিমের রং কালো হতে পারে। তবে এতে ডিমের পুষ্টিগুণে কোনো প্রভাব পড়ে না।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে