
ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে বরগুনার আমতলী অংশে সড়ক দুর্ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। মাত্র ২৬ কিলোমিটার সড়কে গত দুই বছরে অর্ধশতাধিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৫ জনের বেশি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একাধিক তীক্ষ্ণ বাঁক, রাস্তার ওপর গড়ে ওঠা বাজার এবং মহাসড়কে থ্রি হুইলারের আধিক্যের কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে। পুলিশ বলছে, মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধ করা গেলে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে আসবে।চালকদের অভিযোগ, পদ্মা সেতু চালুর পর এই সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে, কিন্তু সেই তুলনায় সড়ক প্রশস্ত করা হয়নি। ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়েছে।
এক বাসচালক মুরাদ বলেন, ‘অটোরিকশাচালকদের কোনো প্রশিক্ষণ নেই। মহাসড়কে কীভাবে গাড়ি চালাতে হয়, তা তাদের জানা নেই। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।’আরেক বাসচালক সালাম বলেন, ‘সড়কে একের পর এক ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে। এসব বাঁকের পাশে বড় বড় গাছ থাকায় সামনে কিছু দেখা যায় না। এছাড়া অনেক বাজার রাস্তার ওপর বসে, যা দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।’
এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘মহাসড়কে থ্রি হুইলারের কারণে দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে, এটি অস্বীকার করার সুযোগ নেই। এছাড়া চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতার প্রবণতাও দুর্ঘটনার আরেকটি বড় কারণ।’
সড়ক বিভাগ জানায়, আমতলী অংশের মহাসড়ক দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে পটুয়াখালী সড়ক বিভাগ। এই সড়ক চার লেনে উন্নীত করার জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সড়ক বিভাগের কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলতে রাজি হননি।
বরগুনার পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘মহাসড়কে যাতে থ্রি হুইলার চলাচল না করতে পারে, সেজন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি। তবে কিছু এলাকায় গ্রামীণ সড়ক দিয়ে থ্রি হুইলার মহাসড়কে উঠে যাচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশ না থাকায় এগুলো প্রতিহত করতে বেগ পেতে হচ্ছে। তারপরও ট্রাফিক পুলিশের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একাধিক তীক্ষ্ণ বাঁক, রাস্তার ওপর গড়ে ওঠা বাজার এবং মহাসড়কে থ্রি হুইলারের আধিক্যের কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে। পুলিশ বলছে, মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধ করা গেলে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে আসবে।চালকদের অভিযোগ, পদ্মা সেতু চালুর পর এই সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে, কিন্তু সেই তুলনায় সড়ক প্রশস্ত করা হয়নি। ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়েছে।
এক বাসচালক মুরাদ বলেন, ‘অটোরিকশাচালকদের কোনো প্রশিক্ষণ নেই। মহাসড়কে কীভাবে গাড়ি চালাতে হয়, তা তাদের জানা নেই। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।’আরেক বাসচালক সালাম বলেন, ‘সড়কে একের পর এক ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে। এসব বাঁকের পাশে বড় বড় গাছ থাকায় সামনে কিছু দেখা যায় না। এছাড়া অনেক বাজার রাস্তার ওপর বসে, যা দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।’
এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘মহাসড়কে থ্রি হুইলারের কারণে দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে, এটি অস্বীকার করার সুযোগ নেই। এছাড়া চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতার প্রবণতাও দুর্ঘটনার আরেকটি বড় কারণ।’
সড়ক বিভাগ জানায়, আমতলী অংশের মহাসড়ক দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে পটুয়াখালী সড়ক বিভাগ। এই সড়ক চার লেনে উন্নীত করার জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সড়ক বিভাগের কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলতে রাজি হননি।
বরগুনার পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘মহাসড়কে যাতে থ্রি হুইলার চলাচল না করতে পারে, সেজন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি। তবে কিছু এলাকায় গ্রামীণ সড়ক দিয়ে থ্রি হুইলার মহাসড়কে উঠে যাচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশ না থাকায় এগুলো প্রতিহত করতে বেগ পেতে হচ্ছে। তারপরও ট্রাফিক পুলিশের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে