
ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর ইউক্রেনপন্থিদের বিক্ষোভের মুখে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের ভারমন্ট স্কি রিসোর্ট সফর ব্যাহত হয়েছে। এ সময় ভ্যান্স ও তার পরিবারকে ‘অজ্ঞাত স্থানে’ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১ মার্চ) পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে ভারমন্ট অঙ্গরাজ্যে স্কির উদ্দেশে ছুটি কাটাতে যান তিনি। সেখানে কয়েক শ’ ইউক্রেন সমর্থক বিক্ষোভকারী তাকে ঘিরে ফেলেন। অনেকে প্ল্যাকার্ড ধরে ছিলেন, যেখানে লেখা ছিল ‘ভ্যান্স একজন বিশ্বাসঘাতক’, ‘রাশিয়ায় গিয়ে স্কি কর’ ইত্যাদি।
এদিকে ফক্স নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ বৈঠকের ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। জেডি ভ্যান্সের স্থানীয় স্কি রিসোর্ট পরিদর্শনের প্রতিবাদে শনিবার ভারমন্টে শত শত বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছিল।
ফক্স নিউজে আরও বলা হয়, শনিবার ভ্যান্স ও তার পরিবারকে অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কারণ তিনি হঠাৎ করে ইউক্রেন সমর্থক বিক্ষোভকারীদের সম্মুখীন হন।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়, বিক্ষোভকারীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং সেই সঙ্গে ভ্যান্সকে উদ্দেশ্য করে তীব্র ভাষায় কটু কথা বলতে থাকেন।
এর আগে ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ বৈঠকের রেশ ধরেই এই বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে হওয়া আলাপচারিতা পরিস্থিতি এক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। মূলত সেই উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন ভ্যান্স। বৈঠকটি সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে শুরু হলেও হঠাৎ করেই ভ্যান্স জেলেনস্কির ওপর তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন, যা জেলেনস্কিকে পুরোপুরি অপ্রস্তুত করে ফেলে।
ওই বৈঠকে জেলেনস্কি কূটনৈতিক সমাধান নিয়ে ভ্যান্সের বক্তব্য জানতে চাইলে ভ্যান্স পাল্টা বলেন, ‘আমি এমন কূটনীতির কথা বলছি, যা আপনার দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাবে।’
ভ্যান্স আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট আপনার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, আমেরিকান মিডিয়ার সামনে এসে এভাবে বিষয়টি উত্থাপন করা আপনার পক্ষ থেকে অসম্মানজনক।’
এরপর ভ্যান্সের অভিযোগ, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন জেলেনস্কি। এছাড়া রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়তে যুক্তরাষ্ট্র যে বিপুল পরিমাণ আর্থিক সহায়তা দিয়েছে তার জন্য জেলেনস্কি যথেষ্ট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেননি।
এমনই এক নাটকীয় বাকবিতণ্ডার পর ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে কোনোভাবেই ক্ষমা চাইতে বাধ্য নই। ইউক্রেনের যুদ্ধবিধ্বস্ত প্রেসিডেন্টের প্রতি ভ্যান্সের আচরণে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন।’
এত কিছু ঘটে যাওয়ার পরেও কয়েকজন রিপাবলিকান নেতা ভ্যান্সের অবস্থানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এদের মধ্যে দক্ষিণ ক্যারোলিনার সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম রয়েছেন। তিনি ইউক্রেনের পক্ষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি জেডি ভ্যান্সের এমন সাহসী অবস্থানের জন্য গর্বিত।’
এদিকে ডেইলি এক্সপ্রেস ইউএস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দ্য সুফান সেন্টারের গবেষক নিকি লিউবারস্কি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক যখন সবচেয়ে ভাল ছিল, তখনো সেখানে চাপা উত্তেজনা ও অবিশ্বাস ছিল। এমন ‘ভাতৃপ্রতীম’ সম্পর্ক আগে কখনো দেখা যায়নি।’
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে
শনিবার (১ মার্চ) পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে ভারমন্ট অঙ্গরাজ্যে স্কির উদ্দেশে ছুটি কাটাতে যান তিনি। সেখানে কয়েক শ’ ইউক্রেন সমর্থক বিক্ষোভকারী তাকে ঘিরে ফেলেন। অনেকে প্ল্যাকার্ড ধরে ছিলেন, যেখানে লেখা ছিল ‘ভ্যান্স একজন বিশ্বাসঘাতক’, ‘রাশিয়ায় গিয়ে স্কি কর’ ইত্যাদি।
এদিকে ফক্স নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ বৈঠকের ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। জেডি ভ্যান্সের স্থানীয় স্কি রিসোর্ট পরিদর্শনের প্রতিবাদে শনিবার ভারমন্টে শত শত বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছিল।
ফক্স নিউজে আরও বলা হয়, শনিবার ভ্যান্স ও তার পরিবারকে অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কারণ তিনি হঠাৎ করে ইউক্রেন সমর্থক বিক্ষোভকারীদের সম্মুখীন হন।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়, বিক্ষোভকারীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং সেই সঙ্গে ভ্যান্সকে উদ্দেশ্য করে তীব্র ভাষায় কটু কথা বলতে থাকেন।
এর আগে ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ বৈঠকের রেশ ধরেই এই বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে হওয়া আলাপচারিতা পরিস্থিতি এক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। মূলত সেই উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন ভ্যান্স। বৈঠকটি সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে শুরু হলেও হঠাৎ করেই ভ্যান্স জেলেনস্কির ওপর তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন, যা জেলেনস্কিকে পুরোপুরি অপ্রস্তুত করে ফেলে।
ওই বৈঠকে জেলেনস্কি কূটনৈতিক সমাধান নিয়ে ভ্যান্সের বক্তব্য জানতে চাইলে ভ্যান্স পাল্টা বলেন, ‘আমি এমন কূটনীতির কথা বলছি, যা আপনার দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাবে।’
ভ্যান্স আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট আপনার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, আমেরিকান মিডিয়ার সামনে এসে এভাবে বিষয়টি উত্থাপন করা আপনার পক্ষ থেকে অসম্মানজনক।’
এরপর ভ্যান্সের অভিযোগ, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন জেলেনস্কি। এছাড়া রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়তে যুক্তরাষ্ট্র যে বিপুল পরিমাণ আর্থিক সহায়তা দিয়েছে তার জন্য জেলেনস্কি যথেষ্ট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেননি।
এমনই এক নাটকীয় বাকবিতণ্ডার পর ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে কোনোভাবেই ক্ষমা চাইতে বাধ্য নই। ইউক্রেনের যুদ্ধবিধ্বস্ত প্রেসিডেন্টের প্রতি ভ্যান্সের আচরণে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন।’
এত কিছু ঘটে যাওয়ার পরেও কয়েকজন রিপাবলিকান নেতা ভ্যান্সের অবস্থানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এদের মধ্যে দক্ষিণ ক্যারোলিনার সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম রয়েছেন। তিনি ইউক্রেনের পক্ষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি জেডি ভ্যান্সের এমন সাহসী অবস্থানের জন্য গর্বিত।’
এদিকে ডেইলি এক্সপ্রেস ইউএস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দ্য সুফান সেন্টারের গবেষক নিকি লিউবারস্কি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক যখন সবচেয়ে ভাল ছিল, তখনো সেখানে চাপা উত্তেজনা ও অবিশ্বাস ছিল। এমন ‘ভাতৃপ্রতীম’ সম্পর্ক আগে কখনো দেখা যায়নি।’
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে