
বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্তের প্রতিবাদে সারা দেশে কর্মবিরতি পালন করছে ২৫টি ক্যাডারের সম্মিলিত আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ। রোববার (২ মার্চ) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে কালো ব্যাজ ধারণ করে এ কর্মসূচি পালন করছেন সরকারি কর্মবর্তাদের এ সংগঠনের সদস্যরা। কর্মকর্তাদের সংখ্যার দিক দিয়ে অন্যতম বড় ক্যাডার বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমে তাদের কাজগুলো পরিবীক্ষণ করা হয়।
রোববার (২ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে এই অধিদপ্তরের প্রাঙ্গণে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা অবস্থান নেন। এতে শিক্ষা ক্যাডারের শীর্ষ পদের কর্মকর্তা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানও অংশ নেন।অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খান এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ২৫ ক্যাডারের কিছু বিষয় নিয়ে সম্মিলিতভাবে এখানে দাঁড়িয়েছেন। পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে। শিক্ষা ক্যাডার অন্যান্য ক্যাডারের সঙ্গে এই কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করছে। সকাল থেকে কর্মবিরতিতে গেছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও কৃষি সম্পদ অধিদপ্তরের বিসিএস ক্যডারের কর্মকর্তারা।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, বিভিন্ন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্তের প্রতিবাদে এবং আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবিতে আমরা পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করছি। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এক ঘণ্টা আমরা নিজ নিজ দপ্তরের সামনে কালো ব্যাজ পরে ব্যানারসহ অবস্থানে ছিলাম।
এর আগে, আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি ফেসবুকে লেখালেখির মতো তুচ্ছ কারণে ২৫ ক্যাডারের ১৩ জন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই ধরনের কাজ প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যরা করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
বৈষম্যপূর্ণ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে প্রশাসন ক্যাডার ২৫ ক্যাডারের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রশাসন ক্যাডারের পক্ষপাতপূর্ণভাবে বিভিন্ন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্তের প্রতিবাদে এবং আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবিতে আজ রোববার পরিষদভুক্ত সব ক্যাডার পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করবে বলে গতকাল জানানো হয়েছিল। তারই অংশ হিসেবে আজ কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন