
পথে বসলো বেক্সিমকো টেক্সটাইলসের বিভিন্ন কারখানায় কর্মরত চাকরিজীবীরা। প্রায় ৪৫ হাজার লোক এই কারখানাগুলোতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। এক সঙ্গে সবাইকে ছাটাই করায় বড় ধরণের শঙ্কায় পড়লো তাদের পরিবারগুলো। শুধু তাই নয়, অনিশ্চিত হয়ে পড়লো তাদের বেঁচে থাকা। বাড়লো বেকারত্বের হার।
বেক্সিমকো টেক্সটাইলসের হিসাব অনুযায়ী, কারখানাগুলোতে মোট শ্রমিক ছিল ৪৫,০০০। বর্তমানে এ সংখ্যা ৩৫,০০০। শ্রম আইন অনুযায়ী, তাদের পাওনা পরিশোধ করতে ৫৫০-৬০০ কোটি টাকা দরকার। অন্যদিকে, শ্রমিকদের বেতন-ভাতা চালু রেখে কারখানাগুলো সচল রাখতে ৪০০ কোটি টাকা সহায়তা চেয়েছিলো বেক্সিমকো। তবে তাদের আবেদনে সাড়া দেয়নি সরকার ও জনতা ব্যাংক। আলোচিত বেক্সিমকো টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেল ডিভিশনের অধীন কারখানাগুলো সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে সকল শ্রমিককে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ছাঁটাই করা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এসব কারখানার শ্রমিকদের সকল পাওনা আগামী ৯ মার্চ থেকে পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করা হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও শ্রম মন্ত্রণালয় এসব পাওনা পরিশোধের অর্থের যোগান দেবে। শ্রম মন্ত্রণালয় সরাসরি শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করার দায়িত্ব পালন করবে বলে জানানো হয়েছে এক বিজ্ঞপ্তিতে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রম ও ব্যবসা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া পাওনা ৯ মার্চ থেকে পরিশোধ করা শুরু হবে-এ কথা জানিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আর দেয়া হবে মোট ৫২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। আর শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হতে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের লে-অফকৃত ১৪টি প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করা হবে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সকল শ্রমিক ও কর্মচারীদের ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত যাবতীয় পাওনাদি ৯ মার্চ হতে পর্যায়ক্রমে পরিশোধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ম্যানেজিং ডিরেক্টর (বেক্সিমকো লিমিটেড)। চলতি মাস-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের লে-অফকৃত ১৪টি প্রতিষ্ঠান বন্ধের জন্য ৩১,৬৬৯ জন শ্রমিক এবং ১,৫৬৫ জন কর্মকর্তার পাওনা বাবদ মোট ৫২৫.৪৬ (পাঁচশত পঁচিশ কোটি ছেচল্লিশ লাখ) টাকা প্রয়োজন। এরমধ্যে অর্থ বিভাগের পরিচালন ব্যয় খাত হতে ৩২৫ কোটি ৪৬ (তিনশত পঁচিশ কোটি ছেচল্লিশ লাখ) টাকা এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কেন্দ্রীয় তহবিলের বিভিন্ন হিসাব হতে ২০০ (দুইশত) কোটি টাকা ঋণ প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঋণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ কর করবে অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ ব্যাংক কেন্দ্রীয় তহবিলের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাব হতে প্রদত্ত ২০০ (দুইশত) কোটি টাকা পুনর্ভরণ (Liquidity Guarantee) এর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বলেও জানান তিনি।
বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ২০০৮-২০২৪ পর্যন্ত জনতা ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক হতে ঋণ প্রদানের সাথে দায়ী/ জড়িত কর্মকর্তা, ব্যাংকের বোর্ড সদস্য, কোম্পানির বোর্ড সদস্য, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সকলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয় যে, ঋণ প্রদানের সাথে জড়িত দায়ী বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যাংক ও কোম্পানিসমূহের কর্মকর্তা/ বোর্ড সদস্য ও ব্যক্তিগণ যাতে দেশের বাহিরে যেতে না পারে সেজন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ তাদের পাসপোর্ট জব্দের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হবে বলেও জানানো হয়। বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের প্রতিষ্ঠানসমূহের বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান উপদেষ্টা।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সালমান এফ রহমান গ্রেপ্তার হন। অনেক ব্যাংকের সঙ্গে বেক্সিমকোর লেনদেন থাকলেও শুধু জনতা ব্যাংকে ঋণপত্র খোলা হতো। এই ব্যাংকে গ্রুপটির ২৩ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে বড় অংশই এখন খেলাপি। গ্রুপটির ঋণ একক ঋণগ্রহীতার সীমাও অতিক্রম করায় বেক্সিমকোর নতুন করে ব্যাংক ঋণ নেওয়ার পথও বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে নিয়মিত বেতনভাতা দিতে না পারায় বেক্সিমকো গ্রুপের একাধিক কারখানায় শ্রম অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকদের মাসিক বেতন ৬০ কোটি টাকা আর কর্মকর্তাদের বেতন ১৫ কোটি টাকা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ব্যাংক কোম্পানি আইনের দুটি ধারা শিথিল করে জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে বেক্সিমকোর কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতনভাতার জন্য ঋণের ব্যবস্থা করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
সম্প্রতি হাইকোর্টে এক রিটের শুনানিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৬টি ব্যাংক ও ৭টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বেক্সিমকোর ৭৮টি প্রতিষ্ঠানের দায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা।
গত ১৫ ডিসেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেক্সিমকোর শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা–সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটির সভার সিদ্ধান্তের পর বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বন্ধের কারণ হিসেবে সরকার জানায়, কারখানাগুলোতে অর্ডার না থাকা ও ব্যাংকে ঋণখেলাপি থাকায় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম বলেন, “কারখানা এলাকায় কোনো শ্রমিক অসন্তোষ নেই। শান্তিপূর্ণ অবস্থান রয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন রয়েছে।”
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন/এসকে
বেক্সিমকো টেক্সটাইলসের হিসাব অনুযায়ী, কারখানাগুলোতে মোট শ্রমিক ছিল ৪৫,০০০। বর্তমানে এ সংখ্যা ৩৫,০০০। শ্রম আইন অনুযায়ী, তাদের পাওনা পরিশোধ করতে ৫৫০-৬০০ কোটি টাকা দরকার। অন্যদিকে, শ্রমিকদের বেতন-ভাতা চালু রেখে কারখানাগুলো সচল রাখতে ৪০০ কোটি টাকা সহায়তা চেয়েছিলো বেক্সিমকো। তবে তাদের আবেদনে সাড়া দেয়নি সরকার ও জনতা ব্যাংক। আলোচিত বেক্সিমকো টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেল ডিভিশনের অধীন কারখানাগুলো সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে সকল শ্রমিককে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ছাঁটাই করা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এসব কারখানার শ্রমিকদের সকল পাওনা আগামী ৯ মার্চ থেকে পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করা হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও শ্রম মন্ত্রণালয় এসব পাওনা পরিশোধের অর্থের যোগান দেবে। শ্রম মন্ত্রণালয় সরাসরি শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করার দায়িত্ব পালন করবে বলে জানানো হয়েছে এক বিজ্ঞপ্তিতে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রম ও ব্যবসা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া পাওনা ৯ মার্চ থেকে পরিশোধ করা শুরু হবে-এ কথা জানিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আর দেয়া হবে মোট ৫২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। আর শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হতে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের লে-অফকৃত ১৪টি প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করা হবে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সকল শ্রমিক ও কর্মচারীদের ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত যাবতীয় পাওনাদি ৯ মার্চ হতে পর্যায়ক্রমে পরিশোধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ম্যানেজিং ডিরেক্টর (বেক্সিমকো লিমিটেড)। চলতি মাস-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের লে-অফকৃত ১৪টি প্রতিষ্ঠান বন্ধের জন্য ৩১,৬৬৯ জন শ্রমিক এবং ১,৫৬৫ জন কর্মকর্তার পাওনা বাবদ মোট ৫২৫.৪৬ (পাঁচশত পঁচিশ কোটি ছেচল্লিশ লাখ) টাকা প্রয়োজন। এরমধ্যে অর্থ বিভাগের পরিচালন ব্যয় খাত হতে ৩২৫ কোটি ৪৬ (তিনশত পঁচিশ কোটি ছেচল্লিশ লাখ) টাকা এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কেন্দ্রীয় তহবিলের বিভিন্ন হিসাব হতে ২০০ (দুইশত) কোটি টাকা ঋণ প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঋণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ কর করবে অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ ব্যাংক কেন্দ্রীয় তহবিলের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাব হতে প্রদত্ত ২০০ (দুইশত) কোটি টাকা পুনর্ভরণ (Liquidity Guarantee) এর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বলেও জানান তিনি।
বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ২০০৮-২০২৪ পর্যন্ত জনতা ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক হতে ঋণ প্রদানের সাথে দায়ী/ জড়িত কর্মকর্তা, ব্যাংকের বোর্ড সদস্য, কোম্পানির বোর্ড সদস্য, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সকলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয় যে, ঋণ প্রদানের সাথে জড়িত দায়ী বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যাংক ও কোম্পানিসমূহের কর্মকর্তা/ বোর্ড সদস্য ও ব্যক্তিগণ যাতে দেশের বাহিরে যেতে না পারে সেজন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ তাদের পাসপোর্ট জব্দের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হবে বলেও জানানো হয়। বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের প্রতিষ্ঠানসমূহের বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান উপদেষ্টা।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সালমান এফ রহমান গ্রেপ্তার হন। অনেক ব্যাংকের সঙ্গে বেক্সিমকোর লেনদেন থাকলেও শুধু জনতা ব্যাংকে ঋণপত্র খোলা হতো। এই ব্যাংকে গ্রুপটির ২৩ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে বড় অংশই এখন খেলাপি। গ্রুপটির ঋণ একক ঋণগ্রহীতার সীমাও অতিক্রম করায় বেক্সিমকোর নতুন করে ব্যাংক ঋণ নেওয়ার পথও বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে নিয়মিত বেতনভাতা দিতে না পারায় বেক্সিমকো গ্রুপের একাধিক কারখানায় শ্রম অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকদের মাসিক বেতন ৬০ কোটি টাকা আর কর্মকর্তাদের বেতন ১৫ কোটি টাকা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ব্যাংক কোম্পানি আইনের দুটি ধারা শিথিল করে জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে বেক্সিমকোর কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতনভাতার জন্য ঋণের ব্যবস্থা করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
সম্প্রতি হাইকোর্টে এক রিটের শুনানিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৬টি ব্যাংক ও ৭টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বেক্সিমকোর ৭৮টি প্রতিষ্ঠানের দায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা।
গত ১৫ ডিসেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেক্সিমকোর শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা–সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটির সভার সিদ্ধান্তের পর বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বন্ধের কারণ হিসেবে সরকার জানায়, কারখানাগুলোতে অর্ডার না থাকা ও ব্যাংকে ঋণখেলাপি থাকায় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম বলেন, “কারখানা এলাকায় কোনো শ্রমিক অসন্তোষ নেই। শান্তিপূর্ণ অবস্থান রয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন রয়েছে।”
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন/এসকে