
খুলনায় তরমুজ আবাদে এবার অতীতের সকল লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবার প্রত্যাশা চাষিদের। লাভের আশায় চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার পাঁচ উপজেলার তরমুজ চাষিরা। চাষাবাদ, বীজ রোপণ, পানি সেচসহ ইতোমধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ করেছেন দাকোপ, বটিয়াঘাটা, কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়ার চাষিরা। তবে চিন্তার ভাঁজ সার, কীটনাশক, শ্রমিকের দাম বৃদ্ধি মিলিয়ে প্রত্যাশিত দাম নিয়ে। তবুও তরমুজ চাষে স্বপ্ন বুনছেন খুলনার চাষিরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২৩-২৪ রবি মৌসুমে জেলায় আবাদ করা জমির পরিমাণ ছিল প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর। যেখানে তরমুজ উৎপাদন হয় ৫ লাখ ৩৩ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন। যার বাজার মূল্য ছিল ১ হাজার ৪৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা। চলতি রবি মৌসুমে গত বছরের মত একই লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে।
খুলনায় তরমুজের আবাদ হওয়া উপজেলাগুলোর কৃষি সম্প্রসারণ অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত দাকোপে ৮ হাজার হেক্টর, কয়রায় ৪ হাজার ২০০ হেক্টর, পাইকগাছায় ১ হাজার ৬০০ হেক্টর, ডুমুরিয়ায় ৫০০ হেক্টর, বটিয়াঘাটায় ২ হাজার ৭০০ হেক্টর জমি চাষাবাদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলায় সব মিলিয়ে ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হতে যাচ্ছে। সে হিসেবে তরমুজ উৎপাদন হবে ৭ লাখ মেট্রিক টন। গেল বছরের দর হিসেবে যার বাজার মূল্য দাঁড়াবে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি।
দাকোপের তরমুজ চাষি আব্দুল আহাদ বলেন, তরমুজের চারা থেকে পাতা বের হওয়া শুরু করেছে, আবহাওয়া ভালো থাকলে, এবারও ভালো ফলনের আশা করি।দাকোপ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র মতে, গত রবি মৌসুমে দাকোপে ৫ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হলেও এবার ২ হাজার ৩০০ হেক্টর বেড়ে চাষাবাদ হচ্ছে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে।
দাকোপ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ শফিকুল ইসলাম বলেন, গত মৌসুম থেকে এবার দাকোপে তরমুজের আবাদ বেশি হচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে এবার। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা। এজন্য আমরা কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
কয়রার বাগালি বিলের কৃষক মো. ছিফাতউল্লাহ বলেন, বাম্পার ফলনের আশায় ধার দেনা করে এ বছর ৩৬ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করতেছি। এখন কেবল তরমুজের ছোট ছোট পাতা বের হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে বাম্পার ফলন হবে। এতে আমি লাভবান হবো।
কয়রা উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, তরমুজ একটি লাভজনক ফসল। গতবছর তরমুজের বাম্পার ফলন হওয়ায় এবছর গতবারের তুলনায় বেশি জমিতে তরমুজ চাষ হচ্ছে।
খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, খুলনায় ড্রাগন, ড্রাগন সুপার, আস্থা, আস্থা প্লাস, পাকিজা, মালিক-১, এশিয়া সুপার, থাই রেড কিং, বিগ সুপার কিং ও বাংলালিংক জাতের তরমুজ চাষ করছেন চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে প্রতি হেক্টর জমিতে ৫০ থেকে ৫৫ মেট্রিক টন ফলন হতে পারে। তরমুজ চাষে কৃষকদের হেক্টর প্রতি খরচ হয় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের মাধ্যমে কৃষকদের নিয়ে উঠান বৈঠক, ভ্রাম্যমাণ কৃষি পরামর্শ, কৃষকদের নিয়ে ব্লক ভিত্তিক মিটিং করা হচ্ছে। আশা করছি এবারও কৃষকরা লাভবান হবেন।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২৩-২৪ রবি মৌসুমে জেলায় আবাদ করা জমির পরিমাণ ছিল প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর। যেখানে তরমুজ উৎপাদন হয় ৫ লাখ ৩৩ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন। যার বাজার মূল্য ছিল ১ হাজার ৪৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা। চলতি রবি মৌসুমে গত বছরের মত একই লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে।
খুলনায় তরমুজের আবাদ হওয়া উপজেলাগুলোর কৃষি সম্প্রসারণ অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত দাকোপে ৮ হাজার হেক্টর, কয়রায় ৪ হাজার ২০০ হেক্টর, পাইকগাছায় ১ হাজার ৬০০ হেক্টর, ডুমুরিয়ায় ৫০০ হেক্টর, বটিয়াঘাটায় ২ হাজার ৭০০ হেক্টর জমি চাষাবাদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলায় সব মিলিয়ে ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হতে যাচ্ছে। সে হিসেবে তরমুজ উৎপাদন হবে ৭ লাখ মেট্রিক টন। গেল বছরের দর হিসেবে যার বাজার মূল্য দাঁড়াবে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি।
দাকোপের তরমুজ চাষি আব্দুল আহাদ বলেন, তরমুজের চারা থেকে পাতা বের হওয়া শুরু করেছে, আবহাওয়া ভালো থাকলে, এবারও ভালো ফলনের আশা করি।দাকোপ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র মতে, গত রবি মৌসুমে দাকোপে ৫ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হলেও এবার ২ হাজার ৩০০ হেক্টর বেড়ে চাষাবাদ হচ্ছে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে।
দাকোপ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ শফিকুল ইসলাম বলেন, গত মৌসুম থেকে এবার দাকোপে তরমুজের আবাদ বেশি হচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে এবার। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা। এজন্য আমরা কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
কয়রার বাগালি বিলের কৃষক মো. ছিফাতউল্লাহ বলেন, বাম্পার ফলনের আশায় ধার দেনা করে এ বছর ৩৬ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করতেছি। এখন কেবল তরমুজের ছোট ছোট পাতা বের হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে বাম্পার ফলন হবে। এতে আমি লাভবান হবো।
কয়রা উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, তরমুজ একটি লাভজনক ফসল। গতবছর তরমুজের বাম্পার ফলন হওয়ায় এবছর গতবারের তুলনায় বেশি জমিতে তরমুজ চাষ হচ্ছে।
খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, খুলনায় ড্রাগন, ড্রাগন সুপার, আস্থা, আস্থা প্লাস, পাকিজা, মালিক-১, এশিয়া সুপার, থাই রেড কিং, বিগ সুপার কিং ও বাংলালিংক জাতের তরমুজ চাষ করছেন চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে প্রতি হেক্টর জমিতে ৫০ থেকে ৫৫ মেট্রিক টন ফলন হতে পারে। তরমুজ চাষে কৃষকদের হেক্টর প্রতি খরচ হয় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের মাধ্যমে কৃষকদের নিয়ে উঠান বৈঠক, ভ্রাম্যমাণ কৃষি পরামর্শ, কৃষকদের নিয়ে ব্লক ভিত্তিক মিটিং করা হচ্ছে। আশা করছি এবারও কৃষকরা লাভবান হবেন।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে