
মামলায় জামিন হওয়ার পর আদালত প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়ে আইনজীবীদের সামনে থেকে জামিন পাওয়া দুই সহোদর আসামিকে তুলে নিয়ে গেছে বাদীপক্ষ। এ সময় নারী-পুরুষসহ অন্য আসামিদের মারধর ও কুপিয়ে আহত করা হয়। এতে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২ টার দিকে গাজীপুর জেলা দায়রা জজ ৩ আদালতের পশ্চিম পাশে আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। অপহৃত দুই সহোদর হলেন- গাজীপুরের শ্রীপুর থানার তেলিহাটি এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে মো. মিলন মিয়া (৩৫) ও বাবুল মিয়া (৪০)।
জানা যায়, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার একটি মামলায় বেশ কয়েকজন আসামি স্থায়ী জামিনের জন্য আদালতে আসেন। জামিন পাওয়ার পর তারা আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থান করছিলেন। এমন সময় মামলার বাদীসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত হন। তারা উপস্থিত লোকজনকে মারপিট শুরু করে। এ সময় আইনজীবীরা বাঁধা দিলে তাদের ওপরও আক্রমণ করে। পরে আরও বেশ কয়েকজন দুর্বৃত্ত এসে বাবুল ও মিলনকে তুলে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মামলার বাদী এসএম নাজমুল হক নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি এলাকার শহীদুল্লাহর ছেলে। অপর আসামি এনামুল হক জানান, তাদের বিরুদ্ধে বাদী নাজমুল হক জমি সংক্রান্ত মামলা করেছিলেন। আদালতে আত্মসমর্পণের পর জামিন পাওয়ার পরপরই সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়।
আসামি তুলে নেয়ার সময় মুঠোফোন করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গেছে। আইনজীবী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাদের সামনেই আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ফিল্মি কায়দায় আসামিকে তুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। বেশ কয়েকজনকে মারধরও করেছে। তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আজকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ৩নং আদালতে শ্রীপুর থানার একটি মামলার তারিখ ধার্য হয়। ওই মামলায় ১৩জন অস্থায়ী জামিনে ছিল। আজ বাদী তাদের জামিন বাতিলের আবেদন করেন। তবে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন বর্ধিত করেন। এতে মামলার বাদী কিছু সশস্ত্র লোকজন নিয়ে হামলা করে। পরে তারা দু'জন আসামিকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এটি আমাদের আদালতের জন্য নিরাপত্তাহীনতা।
আদালত প্রাঙ্গণ থেকে তুলে নেওয়া আসামির স্ত্রী দোলেনা আক্তার বলেন, জামিন হওয়ার পর উকিল আমাদের দাড়াতে বলেন। এমন সময় মামলার বাদী নাজমুল ও বেশ কয়েকজন আসে। এসেই আমাদের মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে আমরা উকিলের রুমে গিয়ে লুকাই। সেখানে গিয়ে আমার স্বামী ও দেবরকে তুলে নিয়ে গেছে। এখন তারা কোথায় আছে জানিনা।
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম খান বলেন, আজ যে ঘটনাটি ঘটেছে তা উদ্বেগের বিষয়। কিছু লোক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তোয়াক্কা করছে না। এটি রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। তিনি বলেন, পুলিশ এটি নিয়ে কাজ করছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২ টার দিকে গাজীপুর জেলা দায়রা জজ ৩ আদালতের পশ্চিম পাশে আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। অপহৃত দুই সহোদর হলেন- গাজীপুরের শ্রীপুর থানার তেলিহাটি এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে মো. মিলন মিয়া (৩৫) ও বাবুল মিয়া (৪০)।
জানা যায়, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার একটি মামলায় বেশ কয়েকজন আসামি স্থায়ী জামিনের জন্য আদালতে আসেন। জামিন পাওয়ার পর তারা আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থান করছিলেন। এমন সময় মামলার বাদীসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত হন। তারা উপস্থিত লোকজনকে মারপিট শুরু করে। এ সময় আইনজীবীরা বাঁধা দিলে তাদের ওপরও আক্রমণ করে। পরে আরও বেশ কয়েকজন দুর্বৃত্ত এসে বাবুল ও মিলনকে তুলে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মামলার বাদী এসএম নাজমুল হক নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি এলাকার শহীদুল্লাহর ছেলে। অপর আসামি এনামুল হক জানান, তাদের বিরুদ্ধে বাদী নাজমুল হক জমি সংক্রান্ত মামলা করেছিলেন। আদালতে আত্মসমর্পণের পর জামিন পাওয়ার পরপরই সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়।
আসামি তুলে নেয়ার সময় মুঠোফোন করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গেছে। আইনজীবী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাদের সামনেই আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ফিল্মি কায়দায় আসামিকে তুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। বেশ কয়েকজনকে মারধরও করেছে। তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আজকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ৩নং আদালতে শ্রীপুর থানার একটি মামলার তারিখ ধার্য হয়। ওই মামলায় ১৩জন অস্থায়ী জামিনে ছিল। আজ বাদী তাদের জামিন বাতিলের আবেদন করেন। তবে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন বর্ধিত করেন। এতে মামলার বাদী কিছু সশস্ত্র লোকজন নিয়ে হামলা করে। পরে তারা দু'জন আসামিকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এটি আমাদের আদালতের জন্য নিরাপত্তাহীনতা।
আদালত প্রাঙ্গণ থেকে তুলে নেওয়া আসামির স্ত্রী দোলেনা আক্তার বলেন, জামিন হওয়ার পর উকিল আমাদের দাড়াতে বলেন। এমন সময় মামলার বাদী নাজমুল ও বেশ কয়েকজন আসে। এসেই আমাদের মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে আমরা উকিলের রুমে গিয়ে লুকাই। সেখানে গিয়ে আমার স্বামী ও দেবরকে তুলে নিয়ে গেছে। এখন তারা কোথায় আছে জানিনা।
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম খান বলেন, আজ যে ঘটনাটি ঘটেছে তা উদ্বেগের বিষয়। কিছু লোক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তোয়াক্কা করছে না। এটি রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। তিনি বলেন, পুলিশ এটি নিয়ে কাজ করছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে