
শেরপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় জাকারিয়া বাদল (৪৭) নামে এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৭ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আমিনুল ইসলাম।
জানা যায়, নিহত জাকারিয়া বাদল সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শেরপুর সরকারি কলেজের সাবেক এজিএস ছিলেন। মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের ভীমগঞ্জ এলাকার একটি মাদরাসার সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত দুজন হলেন সোহাগ আলম ও রুহুল আমিন।
ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরে নিহত জাকারিয়া বাদলের স্বজন ও ছাত্রদলের কর্মী রমজান আলী বলেন, কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমানের সঙ্গে বাদলের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। সম্প্রতি জেলা বিএনপির বিবদমান দুটি পক্ষ স্থানীয় ওই দুই নেতার সম্পর্ককে আরও জটিল করে তোলে। তা ছাড়া হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও কৃষক লীগ নেতা নুরে আলমের সঙ্গে তার রাজনৈতিক বৈরিতা রয়েছে। বাদলকে দমন করতে সম্প্রতি শেরপুর জেলা কারাগারে থাকা সাবেক চেয়ারম্যান নূরে আলমের সঙ্গে দেখা করেন লুৎফর। ওই দুজন এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ ইউপি নির্বাচন নিয়ে আগাম পরিকল্পনা করেন।
রমজান আলী আরও বলেন, সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই মঙ্গলবার বিকেলে জাকারিয়া বাদলসহ তিনজন একটি মোটরসাইকেলে ভীমগঞ্জ বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে নুরে আলম ও লুৎফরের অনুসারীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাদের গুরুতর জখম করা হয়। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে শেরপুর ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে বাদল ও সোহাগকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা নেওয়ার পথে বাদলের মৃত্যু হয়।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমান বলেন, ‘বাদল আমার দলেরই লোক। আমি কেন তার ওপর হামলা করব? বাদলের অনেক শত্রু। তাদেরই কেউ হয়তো হামলা করেছে।’এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেরপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এলাকায় যৌথ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ হামলাকারীদের ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে।’
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন
জানা যায়, নিহত জাকারিয়া বাদল সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শেরপুর সরকারি কলেজের সাবেক এজিএস ছিলেন। মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের ভীমগঞ্জ এলাকার একটি মাদরাসার সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত দুজন হলেন সোহাগ আলম ও রুহুল আমিন।
ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরে নিহত জাকারিয়া বাদলের স্বজন ও ছাত্রদলের কর্মী রমজান আলী বলেন, কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমানের সঙ্গে বাদলের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। সম্প্রতি জেলা বিএনপির বিবদমান দুটি পক্ষ স্থানীয় ওই দুই নেতার সম্পর্ককে আরও জটিল করে তোলে। তা ছাড়া হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও কৃষক লীগ নেতা নুরে আলমের সঙ্গে তার রাজনৈতিক বৈরিতা রয়েছে। বাদলকে দমন করতে সম্প্রতি শেরপুর জেলা কারাগারে থাকা সাবেক চেয়ারম্যান নূরে আলমের সঙ্গে দেখা করেন লুৎফর। ওই দুজন এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ ইউপি নির্বাচন নিয়ে আগাম পরিকল্পনা করেন।
রমজান আলী আরও বলেন, সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই মঙ্গলবার বিকেলে জাকারিয়া বাদলসহ তিনজন একটি মোটরসাইকেলে ভীমগঞ্জ বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে নুরে আলম ও লুৎফরের অনুসারীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাদের গুরুতর জখম করা হয়। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে শেরপুর ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে বাদল ও সোহাগকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা নেওয়ার পথে বাদলের মৃত্যু হয়।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমান বলেন, ‘বাদল আমার দলেরই লোক। আমি কেন তার ওপর হামলা করব? বাদলের অনেক শত্রু। তাদেরই কেউ হয়তো হামলা করেছে।’এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেরপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এলাকায় যৌথ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ হামলাকারীদের ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে।’
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন