
রমজান মাসে সূর্যাস্তের সময় ইফতারের মাধ্যমে রোজা ভঙ্গ করেন মুসলমানেরা। রমজান মাসকে আনন্দদায়ক করতে দেশের বিভিন্ন মসজিদে ইফতারের আয়োজন করা হয়। এতে এলাকাবাসীও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ গ্রহণ করে।
রমজান মাসে সাধারণ প্রত্যেক মুসলমানই রোজা রাখেন। বিভিন্ন কারণে অথবা অভ্যাস না থাকায় অনেকে রমজান মাসেও রোজা থেকে বিরত থাকেন। এটি উচিত নয়, কারণ, শরীয়ত সম্মত কারণ ছাড়া কেউ রোজা থেকে বিরত থাকলে তাকে আল্লাহর সামনে জবাবদিহিতা করতে হবে। পরকালে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
তবে যে ব্যক্তি কোনো কারণে রোজা রাখা থেকে বিরত থাকবেন তিনি মসজিদের ইফতার আয়োজনে অংশ নিতে পারবেন কিনা— এমন প্রশ্ন জেগে থাকে অনেকের মনে।
এমন প্রেক্ষিতে প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, কোনো কারণে রোজা রাখেননি এমন ব্যক্তি মসজিদের ইফতার আয়োজনের ইফতার খেতে পারবেন। সাধারণ যারা ইফতারের আয়োজন করেন, তারা কাউকে বাধা দেন না এবং তারা শুধু রোজাদার খেতে পারবে এমন শর্তও আরোপ করে না। আয়োজকরা জানেন, উপস্থিত অনেকেই রোজাদার নয়। জেনেও বাধা না দেওয়া এক প্রকার অনুমতি।
কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমাদের কাউকে যখন খাবারের আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং আমন্ত্রণকারীর প্রতিনিধির সঙ্গে আসে, তবে সেটাই অনুমতি। (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৫১৯০)
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, তোমাকে আমন্ত্রণ জানানোর অর্থই হলো তোমাকে খাবার গ্রহণের অনুমতি দেওয়া হলো। (ইরওয়াউল গলিল, হাদিস : ১৯৫৬)
সাধারণ অনুমতি থাকার পরও যদি খাবার পর্যাপ্ত না থাকে এবং রোজাদার নয়—এমন ব্যক্তি খাবার খেলে রোজাদার ব্যক্তি বঞ্চিত হওয়ার ভয় থাকে, এমন পরিস্থিতিতে ইফতার খাওয়া অনুচিত হবে।
আর যখন আয়োজকরা শুধু রোজাদার আমন্ত্রণ জানাবে বা রোজাদার নয়—এমন ব্যক্তিকে দস্তরখানে না বসার অনুরোধ করে, তখন রোজা না রেখে ইফতার খাওয়া জায়েজ হবে না।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন/এসকে
রমজান মাসে সাধারণ প্রত্যেক মুসলমানই রোজা রাখেন। বিভিন্ন কারণে অথবা অভ্যাস না থাকায় অনেকে রমজান মাসেও রোজা থেকে বিরত থাকেন। এটি উচিত নয়, কারণ, শরীয়ত সম্মত কারণ ছাড়া কেউ রোজা থেকে বিরত থাকলে তাকে আল্লাহর সামনে জবাবদিহিতা করতে হবে। পরকালে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
তবে যে ব্যক্তি কোনো কারণে রোজা রাখা থেকে বিরত থাকবেন তিনি মসজিদের ইফতার আয়োজনে অংশ নিতে পারবেন কিনা— এমন প্রশ্ন জেগে থাকে অনেকের মনে।
এমন প্রেক্ষিতে প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, কোনো কারণে রোজা রাখেননি এমন ব্যক্তি মসজিদের ইফতার আয়োজনের ইফতার খেতে পারবেন। সাধারণ যারা ইফতারের আয়োজন করেন, তারা কাউকে বাধা দেন না এবং তারা শুধু রোজাদার খেতে পারবে এমন শর্তও আরোপ করে না। আয়োজকরা জানেন, উপস্থিত অনেকেই রোজাদার নয়। জেনেও বাধা না দেওয়া এক প্রকার অনুমতি।
কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমাদের কাউকে যখন খাবারের আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং আমন্ত্রণকারীর প্রতিনিধির সঙ্গে আসে, তবে সেটাই অনুমতি। (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৫১৯০)
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, তোমাকে আমন্ত্রণ জানানোর অর্থই হলো তোমাকে খাবার গ্রহণের অনুমতি দেওয়া হলো। (ইরওয়াউল গলিল, হাদিস : ১৯৫৬)
সাধারণ অনুমতি থাকার পরও যদি খাবার পর্যাপ্ত না থাকে এবং রোজাদার নয়—এমন ব্যক্তি খাবার খেলে রোজাদার ব্যক্তি বঞ্চিত হওয়ার ভয় থাকে, এমন পরিস্থিতিতে ইফতার খাওয়া অনুচিত হবে।
আর যখন আয়োজকরা শুধু রোজাদার আমন্ত্রণ জানাবে বা রোজাদার নয়—এমন ব্যক্তিকে দস্তরখানে না বসার অনুরোধ করে, তখন রোজা না রেখে ইফতার খাওয়া জায়েজ হবে না।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন/এসকে