
বছরের পর বছর ঘুরেও অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পাচ্ছেন না বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীরা। অর্থের অভাবে আটকে থাকছে জরুরি চিকিৎসার মতো বিষয়। টাকার মুখ দেখার আগেই অনেককে পরপারে পাড়ি জমাতে হচ্ছে।
মুন্সীগঞ্জের রামপাল ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক কাজী আলাউদ্দিন। বয়সের ভারে ন্যুব্জ এই শিক্ষক সড়ক দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাত পান। শিক্ষকজীবনের শেষ সম্বল অবসরের টাকা দিয়ে চিকিৎসা করাবেন-এমন আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু চার বছর ধরে অবসর বোর্ডে ধরনা দেয়ার পরও কোনো হদিস নেই সেই অর্থের। তাই লাঠিতে ভর দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলাই এখন যেন তার নিয়তি। আলাউদ্দিন বলেন, ‘২০২০ সালে চাকরি থেকে অবসরে যাই। আগামী মাসে আমার অস্ত্রোপচার হবে। লাখ লাখ টাকা লাগবে। অবসর সুবিধার টাকার জন্য দিনের পর দিন ঘুরছি। কিন্তু টাকা আর হাতে আসছে না।’
শুধু কাজী আলাউদ্দিন নন, শিক্ষকতা শেষ করে বছরের পর বছর অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বারবার রাজধানীর ব্যানবেইস ভবনে এসেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় হতাশ মানুষ গড়ার এসব কারিগর। অনেক শিক্ষক টাকার আশায় ঘুরে ঘুরে মারা গেছেন। এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের উত্তরাধিকারীরা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, অবসর সুবিধা বোর্ডে ঝুলে আছে ৩৮ হাজার আবেদন। আর কল্যাণ ট্রাস্টে অনিষ্পন্ন আবেদনের সংখ্যাও প্রায় ৩৬ হাজার। সব আবেদন নিষ্পত্তি করতে প্রয়োজন প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্য সচিব অধ্যাপক জাফর আহমদ বলেন, ‘শিক্ষকদের চাঁদা ও এফডিআরের লভ্যাংশ থেকে প্রাপ্ত সামান্য আয় দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ ছাড় করা সম্ভব নয়। আবেদনের এক তৃতীয়াংশ কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষকদের হওয়ায় কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে আলাদা বিশেষ অনুদান দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করার পর তারা সমাজের মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারেন না। অবসরে গিয়ে অনেক শিক্ষক চিকিৎসার অভাবে ভোগেন। শিক্ষকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পরলে মেধাবীরা এ পেশায় আসার আগ্রহ হারাবে।’
শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘আপাতত স্বল্পমেয়াদি বন্ড ইস্যু করে তা থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ দিয়ে অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের আবেদন নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হচ্ছে। আগামী বাজেটে বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে।’
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন/এসকে
মুন্সীগঞ্জের রামপাল ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক কাজী আলাউদ্দিন। বয়সের ভারে ন্যুব্জ এই শিক্ষক সড়ক দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাত পান। শিক্ষকজীবনের শেষ সম্বল অবসরের টাকা দিয়ে চিকিৎসা করাবেন-এমন আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু চার বছর ধরে অবসর বোর্ডে ধরনা দেয়ার পরও কোনো হদিস নেই সেই অর্থের। তাই লাঠিতে ভর দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলাই এখন যেন তার নিয়তি। আলাউদ্দিন বলেন, ‘২০২০ সালে চাকরি থেকে অবসরে যাই। আগামী মাসে আমার অস্ত্রোপচার হবে। লাখ লাখ টাকা লাগবে। অবসর সুবিধার টাকার জন্য দিনের পর দিন ঘুরছি। কিন্তু টাকা আর হাতে আসছে না।’
শুধু কাজী আলাউদ্দিন নন, শিক্ষকতা শেষ করে বছরের পর বছর অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বারবার রাজধানীর ব্যানবেইস ভবনে এসেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় হতাশ মানুষ গড়ার এসব কারিগর। অনেক শিক্ষক টাকার আশায় ঘুরে ঘুরে মারা গেছেন। এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের উত্তরাধিকারীরা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, অবসর সুবিধা বোর্ডে ঝুলে আছে ৩৮ হাজার আবেদন। আর কল্যাণ ট্রাস্টে অনিষ্পন্ন আবেদনের সংখ্যাও প্রায় ৩৬ হাজার। সব আবেদন নিষ্পত্তি করতে প্রয়োজন প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্য সচিব অধ্যাপক জাফর আহমদ বলেন, ‘শিক্ষকদের চাঁদা ও এফডিআরের লভ্যাংশ থেকে প্রাপ্ত সামান্য আয় দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ ছাড় করা সম্ভব নয়। আবেদনের এক তৃতীয়াংশ কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষকদের হওয়ায় কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে আলাদা বিশেষ অনুদান দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করার পর তারা সমাজের মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারেন না। অবসরে গিয়ে অনেক শিক্ষক চিকিৎসার অভাবে ভোগেন। শিক্ষকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পরলে মেধাবীরা এ পেশায় আসার আগ্রহ হারাবে।’
শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘আপাতত স্বল্পমেয়াদি বন্ড ইস্যু করে তা থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ দিয়ে অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের আবেদন নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হচ্ছে। আগামী বাজেটে বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে।’
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন/এসকে