
মার্কিন সরকারের মানব সম্পদ সংস্থা (ওপিএম) পুরো বিভাগ বন্ধ করে দিতে বা ছোট করে ফেলতে দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই পদক্ষেপের সঙ্গে পরিচিত সূত্রগুলো জানিয়েছে, এটি ফেডারেল প্রশাসনে দ্বিতীয় দফায় ব্যাপক গণছাঁটাইয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এই বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্রের মতে, মানব সম্পদ সংস্থা লাখ লাখ বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মীর ব্যক্তিগত তথ্য তত্ত্বাবধান করে। এরই মধ্যে সংস্থার ৪০ সদস্যের একটি শক্তিশালী ক্রয় দলকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সংস্থার অভ্যন্তরে সংবেদনশীল কর্মচারী তথ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা একটি দলকেও উল্লেখযোগ্যভাবে ছোট করা হয়েছে। অর্থাৎ ওই দলের কর্মী কমিয়ে ৮ জনে নামিয়ে আনা হয়েছে। ২০ সদস্যের যোগাযোগ দল সম্পূর্ণ বাতিল করা হয়েছে। ৭ সদস্যের বৈচিত্র্য, সাম্য ও অন্তর্ভুক্তি দলও সম্পূর্ণ বাতিল করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই সূত্রগুলো জানিয়েছে, ওপিএমে স্থায়ী সরকারি কর্মীদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর এই প্রক্রিয়া বৃহত্তর সরকারি সংস্থাগুলোর জন্য দ্বিতীয় ধাপে আরও ব্যাপক ছাঁটাইয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।তবে এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ওপিএমের একজন মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সূত্র জানিয়েছে, ২৩ লাখ সদস্যের বেসামরিক সরকারি কর্মীবাহিনীর বেশিরভাগই স্থায়ী কর্মচারী। এই কর্মীদের ছাঁটাই করাকে টেক বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্কের পরবর্তী লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
ইলন মাস্কের সরকারি দক্ষতা বিভাগ (ডিওজিই) এর আওতায় এখন পর্যন্ত ছাঁটাই মূলত স্বেচ্ছায় পদত্যাগ ও প্রবেশনারি কর্মীদের বরখাস্তের মাধ্যমে করা হয়েছে। তারা স্থায়ী কর্মীদের মতো একই ধরনের চাকরির সুরক্ষা পান না। এই প্রক্রিয়ায় এরই মধ্যে প্রায় ৯৫ হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে। তবে পরবর্তী ধাপে লক্ষাধিক কর্মী ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
সর্বশেষ ছাঁটাই প্রক্রিয়াটি আরআইএফ নামে পরিচিত। জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়াটি অস্বাভাবিক দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছে। এক সূত্র জানিয়েছে, গত ১০ দিনে কমপক্ষে ৫০ জন ওপিএম কর্মী এই আরআইএফ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বরখাস্ত হয়েছে।
সূত্র আরও জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইলন মাস্কের নেতৃত্বে এই ব্যাপক ছাঁটাই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মূল কেন্দ্র হিসেবে ওপিএম কাজ করছে। অন্যান্য সংস্থাগুলোকে দেখানোর জন্য এই ছাঁটাই প্রক্রিয়াটি দ্রুত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, কিছু ওপিএম কর্মী, যারা আরআইএফ প্রক্রিয়ার আওতায় ছাঁটাই হয়েছেন, তাদের অবিলম্বে সংস্থার কম্পিউটার সিস্টেম থেকে লকআউট করে দেওয়া হয় এবং ৬০ দিনের জন্য বেতনের বিনিময়ে প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হয়।
এছাড়া চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যেখানে সরকারি সংস্থাগুলোকে নতুন ছাঁটাই পরিকল্পনা তৈরি করতে বলা হয়েছে। আদেশ অনুসারে, প্রত্যেক চারজন ছাঁটাই হওয়া কর্মীর স্থলে মাত্র একজন নতুন কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। ইলন মাস্ককে সরকারি আমলাতন্ত্রের ব্যয় কমানোর দায়িত্ব দিয়েছেন ট্রাম্প। সূত্র: রয়টার্স
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন/এসকে
এই বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্রের মতে, মানব সম্পদ সংস্থা লাখ লাখ বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মীর ব্যক্তিগত তথ্য তত্ত্বাবধান করে। এরই মধ্যে সংস্থার ৪০ সদস্যের একটি শক্তিশালী ক্রয় দলকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সংস্থার অভ্যন্তরে সংবেদনশীল কর্মচারী তথ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা একটি দলকেও উল্লেখযোগ্যভাবে ছোট করা হয়েছে। অর্থাৎ ওই দলের কর্মী কমিয়ে ৮ জনে নামিয়ে আনা হয়েছে। ২০ সদস্যের যোগাযোগ দল সম্পূর্ণ বাতিল করা হয়েছে। ৭ সদস্যের বৈচিত্র্য, সাম্য ও অন্তর্ভুক্তি দলও সম্পূর্ণ বাতিল করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই সূত্রগুলো জানিয়েছে, ওপিএমে স্থায়ী সরকারি কর্মীদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর এই প্রক্রিয়া বৃহত্তর সরকারি সংস্থাগুলোর জন্য দ্বিতীয় ধাপে আরও ব্যাপক ছাঁটাইয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।তবে এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ওপিএমের একজন মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সূত্র জানিয়েছে, ২৩ লাখ সদস্যের বেসামরিক সরকারি কর্মীবাহিনীর বেশিরভাগই স্থায়ী কর্মচারী। এই কর্মীদের ছাঁটাই করাকে টেক বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্কের পরবর্তী লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
ইলন মাস্কের সরকারি দক্ষতা বিভাগ (ডিওজিই) এর আওতায় এখন পর্যন্ত ছাঁটাই মূলত স্বেচ্ছায় পদত্যাগ ও প্রবেশনারি কর্মীদের বরখাস্তের মাধ্যমে করা হয়েছে। তারা স্থায়ী কর্মীদের মতো একই ধরনের চাকরির সুরক্ষা পান না। এই প্রক্রিয়ায় এরই মধ্যে প্রায় ৯৫ হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে। তবে পরবর্তী ধাপে লক্ষাধিক কর্মী ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
সর্বশেষ ছাঁটাই প্রক্রিয়াটি আরআইএফ নামে পরিচিত। জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়াটি অস্বাভাবিক দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছে। এক সূত্র জানিয়েছে, গত ১০ দিনে কমপক্ষে ৫০ জন ওপিএম কর্মী এই আরআইএফ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বরখাস্ত হয়েছে।
সূত্র আরও জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইলন মাস্কের নেতৃত্বে এই ব্যাপক ছাঁটাই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মূল কেন্দ্র হিসেবে ওপিএম কাজ করছে। অন্যান্য সংস্থাগুলোকে দেখানোর জন্য এই ছাঁটাই প্রক্রিয়াটি দ্রুত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, কিছু ওপিএম কর্মী, যারা আরআইএফ প্রক্রিয়ার আওতায় ছাঁটাই হয়েছেন, তাদের অবিলম্বে সংস্থার কম্পিউটার সিস্টেম থেকে লকআউট করে দেওয়া হয় এবং ৬০ দিনের জন্য বেতনের বিনিময়ে প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হয়।
এছাড়া চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যেখানে সরকারি সংস্থাগুলোকে নতুন ছাঁটাই পরিকল্পনা তৈরি করতে বলা হয়েছে। আদেশ অনুসারে, প্রত্যেক চারজন ছাঁটাই হওয়া কর্মীর স্থলে মাত্র একজন নতুন কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। ইলন মাস্ককে সরকারি আমলাতন্ত্রের ব্যয় কমানোর দায়িত্ব দিয়েছেন ট্রাম্প। সূত্র: রয়টার্স
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন/এসকে