
ঝিনাইদহে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির কমান্ডারসহ ৩ জনকে খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২ জনকে আটক করেছে র্যাব-১ এবং র্যাব-৬-এর সিপিসি-২, ঝিনাইদহ ক্যাম্প। বাঁওড় ইজারা গ্রহণ ও মাছ চাষকে কেন্দ্র করে বিরোধে ট্রিপল হত্যাকাণ্ড হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আটকরা হলেন- ঝিনাইদহের মো. আবু সাঈদ (৩৯) ও আনারুল ইসলাম রাজ (৩৬)।র্যাব-৬-এর সিপিসি-২, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর নাইম এ তথ্য জানিয়েছেন।
র্যাব-৬-এর মিডিয়া বিভাগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে যেকোনও সময়ে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানাধীন ২ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের শ্মশানঘাট এলাকার ক্যানেলের পাশে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে পুলিশ এবং স্থানীয় জনগণ গিয়ে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে ২টি পালসার মোটরসাইকেল, ২টি হেলমেট এবং গুলির কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
নিহত তিনজন হলেন- হরিনাকুণ্ডুর রায়হান মণ্ডলের ছেলে মো. হানিফ (৫৬), খাইরুল ইসলামের ছেলে মো. লিটন হোসেন (৩৮), কুষ্টিয়ার পিয়ারপুরের আরজের আলীর ছেলে মো. রাইসুল ইসলাম (৩০)।
এ ঘটনায় নিহত হানিফের ভাই মো. সাজেদুল ইসলাম বাদী হয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানায় অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব-৬-এর ঝিনাইদহ ক্যাম্প মামলাটির ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি র্যাব-৬, সিপিসি-২, ঝিনাইদহের একটি আভিযানিক দল ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন সার্কিট হাউস নিকটবর্তী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আসামি হরিনাকুণ্ডুর আবু সাঈদকে আটক করে। এরপর র্যাব-৬, সিপিসি-২, ঝিনাইদহ এবং র্যাব-১, সিপিএসসি, গাজীপুরের যৌথ আভিযানিক দল গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন সোনাতলা এলাকা হতে হরিনাকুণ্ডুর আনজেরের ছেলে আনারুল ইসলাম রাজকে আটক করে। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, নিহত মো. হানিফ এবং তার ভাই মামলার বাদী মো. সাজেদুল ইসলাম ইশা হরিণাকুন্ডু উপজেলা মৎস্যজীবীদের পক্ষে নারায়নকান্দী বাঁওড় গত ৫-৬ বছর যাবৎ সরকারের নিকট থেকে ইজারাগ্রহণপূর্বক মাছ চাষ করে আসছিল। উক্ত বাঁওড় নিয়ে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি সম্পর্কে তদন্ত এবং অন্যান্য জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে
র্যাব-৬-এর মিডিয়া বিভাগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে যেকোনও সময়ে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানাধীন ২ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের শ্মশানঘাট এলাকার ক্যানেলের পাশে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে পুলিশ এবং স্থানীয় জনগণ গিয়ে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে ২টি পালসার মোটরসাইকেল, ২টি হেলমেট এবং গুলির কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
নিহত তিনজন হলেন- হরিনাকুণ্ডুর রায়হান মণ্ডলের ছেলে মো. হানিফ (৫৬), খাইরুল ইসলামের ছেলে মো. লিটন হোসেন (৩৮), কুষ্টিয়ার পিয়ারপুরের আরজের আলীর ছেলে মো. রাইসুল ইসলাম (৩০)।
এ ঘটনায় নিহত হানিফের ভাই মো. সাজেদুল ইসলাম বাদী হয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানায় অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব-৬-এর ঝিনাইদহ ক্যাম্প মামলাটির ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি র্যাব-৬, সিপিসি-২, ঝিনাইদহের একটি আভিযানিক দল ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন সার্কিট হাউস নিকটবর্তী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আসামি হরিনাকুণ্ডুর আবু সাঈদকে আটক করে। এরপর র্যাব-৬, সিপিসি-২, ঝিনাইদহ এবং র্যাব-১, সিপিএসসি, গাজীপুরের যৌথ আভিযানিক দল গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন সোনাতলা এলাকা হতে হরিনাকুণ্ডুর আনজেরের ছেলে আনারুল ইসলাম রাজকে আটক করে। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, নিহত মো. হানিফ এবং তার ভাই মামলার বাদী মো. সাজেদুল ইসলাম ইশা হরিণাকুন্ডু উপজেলা মৎস্যজীবীদের পক্ষে নারায়নকান্দী বাঁওড় গত ৫-৬ বছর যাবৎ সরকারের নিকট থেকে ইজারাগ্রহণপূর্বক মাছ চাষ করে আসছিল। উক্ত বাঁওড় নিয়ে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি সম্পর্কে তদন্ত এবং অন্যান্য জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে