
আবারও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসলেন তিনি। অথচ যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, ৬ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। বিনিময়ে প্রায় ৬০২ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ার কথা। কিন্তু সেটা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন নেতানিয়াহু। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে এ কথা জানায়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পরবর্তী পর্যায়ের জিম্মি হস্তান্তর নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি স্থগিত থাকবে। এছাড়া নেতানিয়াহু অভিযোগ করেছেন যে, হামাস প্রতিবার জিম্মি মুক্তির অনুষ্ঠানকে ‘অসম্মানজনক প্রচারণার’ অংশ হিসেবে ব্যবহার করছে। সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদেরও ওই ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরায়েলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।তার এই বিবৃতিটি এমন সময় আসে তখন, যখন হামাস চারজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়। মুক্তি পাওয়া জিম্মিরা হলেন- তাল শোহাম, ওমর শেম টভ, এলিয়া কোহেন ও ওমর ওয়েনকার্ট। তাদেরকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার সময় অপহরণ করা হয়েছিল।
অন্য দুইজন মুক্তি পাওয়া জিম্মি হচ্ছেন অ্যাভেরা মেঙ্গিস্তু এবং হিশাম আল-সাইদ। মেঙ্গিস্তুকে২০১৪ সাল থেকে এবং আল-সাইদকে ২০১৫ সাল থেকে গাজায় বন্দি রাখা হয়েছিল।দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে হামাসের পক্ষ থেকে। জিম্মিদের মুখোশ পরা হামাস যোদ্ধারা একটি মঞ্চে নিয়ে যান। এ সময় সেখানে উপস্থিত গাজাবাসীর উদ্দেশে জিম্মিদের হাত নাড়াতে এবং ভাষণ দিতে দেখা যায়।
চলমান যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ ৪২ দিনের। এই সময়ে মোট ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ১ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। তারপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপ শুরুর কথা রয়েছে। আর সেজন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে মধ্যস্থতাকারীরা।তবে বিশ্লেষকেরা আশঙ্কা করছেন, দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতিতে যেতে আগ্রহী নন নেতানিয়াহু। বেশির ভাগ জীবিত জিম্মি মুক্তি পাওয়ায় গাজায় আবারও যুদ্ধ শুরু করতে পারে নেতানিয়াহু সরকার।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পরবর্তী পর্যায়ের জিম্মি হস্তান্তর নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি স্থগিত থাকবে। এছাড়া নেতানিয়াহু অভিযোগ করেছেন যে, হামাস প্রতিবার জিম্মি মুক্তির অনুষ্ঠানকে ‘অসম্মানজনক প্রচারণার’ অংশ হিসেবে ব্যবহার করছে। সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদেরও ওই ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরায়েলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।তার এই বিবৃতিটি এমন সময় আসে তখন, যখন হামাস চারজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়। মুক্তি পাওয়া জিম্মিরা হলেন- তাল শোহাম, ওমর শেম টভ, এলিয়া কোহেন ও ওমর ওয়েনকার্ট। তাদেরকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার সময় অপহরণ করা হয়েছিল।
অন্য দুইজন মুক্তি পাওয়া জিম্মি হচ্ছেন অ্যাভেরা মেঙ্গিস্তু এবং হিশাম আল-সাইদ। মেঙ্গিস্তুকে২০১৪ সাল থেকে এবং আল-সাইদকে ২০১৫ সাল থেকে গাজায় বন্দি রাখা হয়েছিল।দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে হামাসের পক্ষ থেকে। জিম্মিদের মুখোশ পরা হামাস যোদ্ধারা একটি মঞ্চে নিয়ে যান। এ সময় সেখানে উপস্থিত গাজাবাসীর উদ্দেশে জিম্মিদের হাত নাড়াতে এবং ভাষণ দিতে দেখা যায়।
চলমান যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ ৪২ দিনের। এই সময়ে মোট ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ১ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। তারপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপ শুরুর কথা রয়েছে। আর সেজন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে মধ্যস্থতাকারীরা।তবে বিশ্লেষকেরা আশঙ্কা করছেন, দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতিতে যেতে আগ্রহী নন নেতানিয়াহু। বেশির ভাগ জীবিত জিম্মি মুক্তি পাওয়ায় গাজায় আবারও যুদ্ধ শুরু করতে পারে নেতানিয়াহু সরকার।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন