
গ্রাহকসেবার কথা চিন্তা করে শনিবারও খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়গুলো। ইতিবাচক এই সিদ্ধান্ত ফলপ্রসূ হচ্ছে না প্রচারের অভাব ও শনিবার ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকায়।
শনিবার দেশের বিভিন্ন জেলার বিআরটিএর কার্যালয়গুলো ঘুরে দেখা যায়, সেবাগ্রহীতার উপস্থিতি নেই বললেই চলে। সারাদিন কর্মহীন দিন কাটাচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।
গত ডিসেম্বরে এক অফিস আদেশে শনিবার সকল কার্যালয় খোলা রাখার নির্দেশ দেয় বিআরটিএ। অফিস আদেশে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ অথরিটির বিআরটিএ মেট্রো সার্কেল এবং জেলা সার্কেলসমূহে নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্রাহক সেবা প্রদান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে শনিবার অফিস খোলা রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
সেবাগ্রহীতারা জানান, বেশিরভাগ লোকই জানে না শনিবার বিআরটিএ অফিস খোলা থাকে। সবাই জানে শুক্রবার ও শনিবার বন্ধ থাকে। তাই শনিবার সেবা নিতে আসা লোকের সংখ্যা একেবারেই কম।
আর যারা সেবা নিতে আসেন, তাদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে। ভুক্তভোগীরা জানান, বিআরটিএ অফিসে ব্যাংকের যে শাখা রয়েছে, সেটি শনিবার বন্ধ থাকে। তাই ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে সেবা নিতে পারছেন না তারা। সেক্ষেত্রে টাকা জমা দিতে হয় অনলাইনে। কিন্তু অনলাইনে টাকা জমা দেওয়ার বিষয়টি অনেকে ঠিকমত বোঝেন না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাপক প্রচার আর শনিবার বিআরটিএ কার্যালয়ের ব্যাংকের শাখা খোলা রাখতে পারলেই জনস্বার্থে নেয়া এই উদ্যোগ শতভাগ সফল হবে।
এ বিষয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন বাংলাস্কুপকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি ভালো উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিআরটিএ কার্যালয়গুলোতে ব্যাংকিং সেবা দিয়ে থাকে এনআরবিসি ব্যাংক। গত রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ব্যাংকটির কমকর্তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছেন, শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকায় স্থানীয় অফিসগুলোতে ভল্টে টাকা রাখতে হবে, এ ক্ষেত্রে নিরাপত্তা একটি বড় ইস্যু।
মো. ইয়াসীন আরো বলেন, শনিবার গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করতে আমরা সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে বিকাশ অ্যাপের মত কিউআর কোড সার্ভিস চালু করার নির্দেশনা দিয়েছি, যাতে সেবাগ্রহীতারা সরকারি ফিগুলো কিউআর কোডের মাধ্যমে সহজেই পরিশোধ করতে পারে। ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। বিআরটিএ চেয়ারম্যান আশা প্রকাশ করেন, দ্রুতই এই সমস্যার সুরাহা হবে। তিনি আরো বলেন, গ্রাহকরা চাইলেই কিন্তু অনলাইন ব্যাংকিং সেবাটিও নিতে পারেন।
আর শনিবার অফিস খোলা রাখার বিষয়টির প্রচার কম থাকার কথা স্বীকার করে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, এ নিয়ে আমরা কাজ করছি।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে
শনিবার দেশের বিভিন্ন জেলার বিআরটিএর কার্যালয়গুলো ঘুরে দেখা যায়, সেবাগ্রহীতার উপস্থিতি নেই বললেই চলে। সারাদিন কর্মহীন দিন কাটাচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।
গত ডিসেম্বরে এক অফিস আদেশে শনিবার সকল কার্যালয় খোলা রাখার নির্দেশ দেয় বিআরটিএ। অফিস আদেশে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ অথরিটির বিআরটিএ মেট্রো সার্কেল এবং জেলা সার্কেলসমূহে নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্রাহক সেবা প্রদান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে শনিবার অফিস খোলা রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
সেবাগ্রহীতারা জানান, বেশিরভাগ লোকই জানে না শনিবার বিআরটিএ অফিস খোলা থাকে। সবাই জানে শুক্রবার ও শনিবার বন্ধ থাকে। তাই শনিবার সেবা নিতে আসা লোকের সংখ্যা একেবারেই কম।
আর যারা সেবা নিতে আসেন, তাদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে। ভুক্তভোগীরা জানান, বিআরটিএ অফিসে ব্যাংকের যে শাখা রয়েছে, সেটি শনিবার বন্ধ থাকে। তাই ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে সেবা নিতে পারছেন না তারা। সেক্ষেত্রে টাকা জমা দিতে হয় অনলাইনে। কিন্তু অনলাইনে টাকা জমা দেওয়ার বিষয়টি অনেকে ঠিকমত বোঝেন না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাপক প্রচার আর শনিবার বিআরটিএ কার্যালয়ের ব্যাংকের শাখা খোলা রাখতে পারলেই জনস্বার্থে নেয়া এই উদ্যোগ শতভাগ সফল হবে।
এ বিষয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন বাংলাস্কুপকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি ভালো উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিআরটিএ কার্যালয়গুলোতে ব্যাংকিং সেবা দিয়ে থাকে এনআরবিসি ব্যাংক। গত রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ব্যাংকটির কমকর্তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছেন, শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকায় স্থানীয় অফিসগুলোতে ভল্টে টাকা রাখতে হবে, এ ক্ষেত্রে নিরাপত্তা একটি বড় ইস্যু।
মো. ইয়াসীন আরো বলেন, শনিবার গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করতে আমরা সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে বিকাশ অ্যাপের মত কিউআর কোড সার্ভিস চালু করার নির্দেশনা দিয়েছি, যাতে সেবাগ্রহীতারা সরকারি ফিগুলো কিউআর কোডের মাধ্যমে সহজেই পরিশোধ করতে পারে। ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। বিআরটিএ চেয়ারম্যান আশা প্রকাশ করেন, দ্রুতই এই সমস্যার সুরাহা হবে। তিনি আরো বলেন, গ্রাহকরা চাইলেই কিন্তু অনলাইন ব্যাংকিং সেবাটিও নিতে পারেন।
আর শনিবার অফিস খোলা রাখার বিষয়টির প্রচার কম থাকার কথা স্বীকার করে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, এ নিয়ে আমরা কাজ করছি।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে