
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করেছেন সর্বস্তরের মানুষ। এসময় তাদের হাতে শোভা পেতে দেখা যায় জাতীয় পতাকা, কারও মাথায় জাতীয় পতাকা সম্বলিত কিংবা অমর একুশে লেখা ফিতা।
তবে পতাকা ফেরিওয়ালারা বলছেন, জাতীয় দিবসগুলোতে পতাকার চাহিদা তুঙ্গে থাকলেও এবছর পতাকা বিক্রিতে ভাটা পড়েছে। মূলত এবার ক্রেতাদের সিংহভাগই সাধারণ মানুষ। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্যরা আসলেও পতাকার প্রতি তাদের এবার আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। ফলে আশানুরূপ বিক্রি মিলছে না ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় দেখা যায়, ছোটো-বড় বিভিন্ন সাইজের জাতীয় পতাকা, ফিলিস্তিনের পতাকা, মাথায় বাঁধার ফিতা ফেরি করে বেড়াচ্ছেন একদল ভাসমান ব্যবসায়ী। পতাকা নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকলেও তাদের কাছে মানুষ যাচ্ছে একেবারেই কম। অনেকে পতাকার সঙ্গে ছবি তুললেও কিনছেন না।
পতাকা বিক্রেতা তৈয়ব আলী বলেন, ‘আমাদের এই ব্যবসা সবসময় হয়না। ১৬ ডিসেম্বর, ২৬ মার্চ আর ২১ ফেব্রুয়ারি বিক্রি বেশি হয়। আর রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠানে ভালো বিক্রি হয়। আজকে সকাল থেকে খুব বেশি বিক্রি করতে পারিনি। দু-চারজন যা কিনছে সাধারণ পাবলিক। আগে নেতারা পতাকা কিনতো বেশি, এবার নেতারা কিনছে না।’
বিক্রেতারা জানান, হাতে ধরা প্রতিটি বড় পতাকা ১০০ টাকা, মাঝারি পতাকা ৫০ টাকা ও ছোট পতাকাগুলো বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০ থেকে ২০ টাকায়। এছাড়াও মাথায় বাঁধার জন্য পতাকা ও শহীদ মিনারের লোগো বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়।
পতাকা বিক্রেতা মাসুদ বলেন, ‘আমি শুধু দিবসগুলোতে পতাকা বিক্রি করি। গতবছর সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার বিক্রি করেছিলাম। ১৬ ডিসেম্বর রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ভালোই বিক্রি করেছিলাম। আজকে এক হাজার টাকাও বিক্রি হয়নি। সবাই শুধু ছবি তোলে। বড় পতাকা কেউ কিনছে না। ছোটো পতাকা নিচ্ছে।’
বংশাল থেকে আসা সাইফুল ইসলাম পতাকা কিনে দিচ্ছিলেন ছেলে তমালকে। তিনি বলেন, ‘ছেলেকে শহীদ মিনারে এনেছি ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ সম্পর্কে জানাতে। পতাকা কিনে দিচ্ছি কারণ পতাকা আমাদের গৌরবের প্রতীক। আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি সম্পর্কে জানাতে হবে। কারণ ওরা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবে।’
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন/এসকে
তবে পতাকা ফেরিওয়ালারা বলছেন, জাতীয় দিবসগুলোতে পতাকার চাহিদা তুঙ্গে থাকলেও এবছর পতাকা বিক্রিতে ভাটা পড়েছে। মূলত এবার ক্রেতাদের সিংহভাগই সাধারণ মানুষ। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্যরা আসলেও পতাকার প্রতি তাদের এবার আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। ফলে আশানুরূপ বিক্রি মিলছে না ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় দেখা যায়, ছোটো-বড় বিভিন্ন সাইজের জাতীয় পতাকা, ফিলিস্তিনের পতাকা, মাথায় বাঁধার ফিতা ফেরি করে বেড়াচ্ছেন একদল ভাসমান ব্যবসায়ী। পতাকা নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকলেও তাদের কাছে মানুষ যাচ্ছে একেবারেই কম। অনেকে পতাকার সঙ্গে ছবি তুললেও কিনছেন না।
পতাকা বিক্রেতা তৈয়ব আলী বলেন, ‘আমাদের এই ব্যবসা সবসময় হয়না। ১৬ ডিসেম্বর, ২৬ মার্চ আর ২১ ফেব্রুয়ারি বিক্রি বেশি হয়। আর রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠানে ভালো বিক্রি হয়। আজকে সকাল থেকে খুব বেশি বিক্রি করতে পারিনি। দু-চারজন যা কিনছে সাধারণ পাবলিক। আগে নেতারা পতাকা কিনতো বেশি, এবার নেতারা কিনছে না।’
বিক্রেতারা জানান, হাতে ধরা প্রতিটি বড় পতাকা ১০০ টাকা, মাঝারি পতাকা ৫০ টাকা ও ছোট পতাকাগুলো বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০ থেকে ২০ টাকায়। এছাড়াও মাথায় বাঁধার জন্য পতাকা ও শহীদ মিনারের লোগো বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়।
পতাকা বিক্রেতা মাসুদ বলেন, ‘আমি শুধু দিবসগুলোতে পতাকা বিক্রি করি। গতবছর সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার বিক্রি করেছিলাম। ১৬ ডিসেম্বর রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ভালোই বিক্রি করেছিলাম। আজকে এক হাজার টাকাও বিক্রি হয়নি। সবাই শুধু ছবি তোলে। বড় পতাকা কেউ কিনছে না। ছোটো পতাকা নিচ্ছে।’
বংশাল থেকে আসা সাইফুল ইসলাম পতাকা কিনে দিচ্ছিলেন ছেলে তমালকে। তিনি বলেন, ‘ছেলেকে শহীদ মিনারে এনেছি ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ সম্পর্কে জানাতে। পতাকা কিনে দিচ্ছি কারণ পতাকা আমাদের গৌরবের প্রতীক। আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি সম্পর্কে জানাতে হবে। কারণ ওরা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবে।’
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন/এসকে