
বিশ্বজুড়ে সাগরের তলদেশে ৫০ হাজার কিলোমিটার (৩১ হাজার মাইল) সাব-সি কেবল (তার) স্থাপনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে প্রযুক্তি দুনিয়ার বড় প্রতিষ্টান মেটা। তাদের এই প্রকল্পটির নাম “ওয়াটারওয়ার্থ”। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, প্রকল্প ওয়াটারওয়ার্থের আওতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল এবং অন্যান্য অঞ্চলগুলোকে সংযুক্ত করা হবে এবং এটি সম্পন্ন হলে বিশ্বের দীর্ঘতম পানির তলদেশের কেবল প্রকল্প হবে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের মতো অ্যাপের প্রতিষ্ঠাতা এই টেক-জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে মেটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ (এআই) অন্যান্য প্রযুক্তিখাতে নিজেদের উপস্থিতি বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
মেটার তথ্য অনুযায়ী, তাদের নতুন এই প্রকল্পটি ৫টি প্রধান মহাদেশের মধ্যে সংযোগ করে দেবে এবং এর এআই প্রকল্পগুলোকে সহায়তা করবে। এছাড়াও প্রকল্পটি বৃহত্তর অর্থনৈতিক সহযোগিতা, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি এবং এসব অঞ্চলে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সুযোগ আরও বাড়িয়ে দেবে। এছাড়াও তাদের কেবল সবচেয়ে দীর্ঘ হবে, যাতে ২৪ ফাইবার-পেয়ার সিস্টেম ব্যবহার করা হবে, যা একে আরও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন করে তুলবে।
ওয়েব পরিষেবার প্রধান সরবরাহকারী প্রযুক্তি সংস্থাগুলো কেবল অবকাঠামোতে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করেছে। গুগল ২০২৪ সালে জানিয়েছিল যে এটি আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়াকে সংযুক্ত করে সাগরের নিচে প্রথম কেবল নির্মাণ করবে এবং প্রশান্ত মহাসাগরে দুটি নতুন কেবল স্থাপনের মাধ্যমে জাপানের সঙ্গে সংযোগ বাড়ানোর জন্য ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে।
অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ভিলি লেহডনভির্তা বিবিসিকে বলেন, গত এক দশকে এমন পরিবর্তন হয়েছে যেখানে বড় বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে এই কেবলগুলো স্থাপন করেছে। এটি অতীতের তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন। আগে জাতীয় টেলিকম সংস্থাগুলো পানির নিচে কেবল স্থাপন এবং অর্থায়ন করত।
টেলিকম ও প্রযুক্তিশিল্প বিশ্লেষক পাওলো পেসকাটোর বলেছেন, সাগরের তলদেশে কেবল খাতে বিনিয়োগে মেটা প্রবল ইচ্ছা দেখিয়েছে। মেটা হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, প্ল্যাটফর্ম এবং সংযোগের ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান আকাঙ্ক্ষাগুলো আরও শক্তভাবে একীভূত করে ব্যবহারকারীদের একটি অনন্য অভিজ্ঞতা দেওয়ার চেষ্টা চালাবে।
সাগরের তলদেশে কেবল প্রকল্পের এই উদ্যোগে ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি ও উদ্বেগ বাড়ছে। কেবল বিচ্ছিন্ন করা প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সমুদ্রতলের যোগাযোগ অবকাঠামো ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা এবং সংঘাতের একটি ক্রমবর্ধমান ক্ষেত্র। এর আগে গত বছর বাল্টিক সাগরের তলদেশে গুরুত্বপূর্ণ কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো সাগরে নজরদারি বাড়িয়েছে।
মেটা ওয়াটারওয়ার্থ প্রকল্প ঘোষণা করে তাদের ব্লগ পোস্টে জানিয়েছে, তারা ৭ হাজার মিটার গভীর পর্যন্ত কেবল স্থাপন করবে। জাহাজের নোঙর এবং অন্যান্য বিপদ এড়াতে উপকূলের কাছাকাছি অগভীর জলের মতো উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ফল্ট এলাকাগুলোতে উন্নত কৌশল ব্যবহার করবে।
এ বিষয়ে অধ্যাপক লেহডনভির্তা বলেন, “প্রকল্পটি ইউরোপ ও চীনকে এড়িয়ে গেছে। এছাড়া সুয়েজ খাল এবং দক্ষিণ চীন সাগরের মতো ভূরাজনৈতিক হটস্পটও এড়িয়েছে। এটাকে দক্ষিণ গোলার্ধের প্রধান প্রধান বাজারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রয়াস হিসেবে দেখার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের মতো অ্যাপের প্রতিষ্ঠাতা এই টেক-জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে মেটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ (এআই) অন্যান্য প্রযুক্তিখাতে নিজেদের উপস্থিতি বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
মেটার তথ্য অনুযায়ী, তাদের নতুন এই প্রকল্পটি ৫টি প্রধান মহাদেশের মধ্যে সংযোগ করে দেবে এবং এর এআই প্রকল্পগুলোকে সহায়তা করবে। এছাড়াও প্রকল্পটি বৃহত্তর অর্থনৈতিক সহযোগিতা, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি এবং এসব অঞ্চলে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সুযোগ আরও বাড়িয়ে দেবে। এছাড়াও তাদের কেবল সবচেয়ে দীর্ঘ হবে, যাতে ২৪ ফাইবার-পেয়ার সিস্টেম ব্যবহার করা হবে, যা একে আরও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন করে তুলবে।
ওয়েব পরিষেবার প্রধান সরবরাহকারী প্রযুক্তি সংস্থাগুলো কেবল অবকাঠামোতে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করেছে। গুগল ২০২৪ সালে জানিয়েছিল যে এটি আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়াকে সংযুক্ত করে সাগরের নিচে প্রথম কেবল নির্মাণ করবে এবং প্রশান্ত মহাসাগরে দুটি নতুন কেবল স্থাপনের মাধ্যমে জাপানের সঙ্গে সংযোগ বাড়ানোর জন্য ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে।
অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ভিলি লেহডনভির্তা বিবিসিকে বলেন, গত এক দশকে এমন পরিবর্তন হয়েছে যেখানে বড় বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে এই কেবলগুলো স্থাপন করেছে। এটি অতীতের তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন। আগে জাতীয় টেলিকম সংস্থাগুলো পানির নিচে কেবল স্থাপন এবং অর্থায়ন করত।
টেলিকম ও প্রযুক্তিশিল্প বিশ্লেষক পাওলো পেসকাটোর বলেছেন, সাগরের তলদেশে কেবল খাতে বিনিয়োগে মেটা প্রবল ইচ্ছা দেখিয়েছে। মেটা হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, প্ল্যাটফর্ম এবং সংযোগের ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান আকাঙ্ক্ষাগুলো আরও শক্তভাবে একীভূত করে ব্যবহারকারীদের একটি অনন্য অভিজ্ঞতা দেওয়ার চেষ্টা চালাবে।
সাগরের তলদেশে কেবল প্রকল্পের এই উদ্যোগে ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি ও উদ্বেগ বাড়ছে। কেবল বিচ্ছিন্ন করা প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সমুদ্রতলের যোগাযোগ অবকাঠামো ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা এবং সংঘাতের একটি ক্রমবর্ধমান ক্ষেত্র। এর আগে গত বছর বাল্টিক সাগরের তলদেশে গুরুত্বপূর্ণ কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো সাগরে নজরদারি বাড়িয়েছে।
মেটা ওয়াটারওয়ার্থ প্রকল্প ঘোষণা করে তাদের ব্লগ পোস্টে জানিয়েছে, তারা ৭ হাজার মিটার গভীর পর্যন্ত কেবল স্থাপন করবে। জাহাজের নোঙর এবং অন্যান্য বিপদ এড়াতে উপকূলের কাছাকাছি অগভীর জলের মতো উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ফল্ট এলাকাগুলোতে উন্নত কৌশল ব্যবহার করবে।
এ বিষয়ে অধ্যাপক লেহডনভির্তা বলেন, “প্রকল্পটি ইউরোপ ও চীনকে এড়িয়ে গেছে। এছাড়া সুয়েজ খাল এবং দক্ষিণ চীন সাগরের মতো ভূরাজনৈতিক হটস্পটও এড়িয়েছে। এটাকে দক্ষিণ গোলার্ধের প্রধান প্রধান বাজারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রয়াস হিসেবে দেখার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে