বাংলা স্কুপ, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪:
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলীয় ছত্রছায়ায় সব রকম সুবিধা ভোগ করেছেন তাঁরা। পটপরিবর্তনের পর তাঁরাই নিজেদের বিএনপির সক্রিয় সমর্থক হিসেবে দাবি করছেন। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) কিছু প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা এভাবেই গিরগিটির মত রং পাল্টে ফেলেছেন। এদের মধ্যে প্রধান প্রকৌশলী ডেভেলপমেন্ট তরিকুল হক ও মতিঝিল সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ অন্যতম।
তাঁরা দুজনেই আওয়ামীমনা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাকের ঘনিষ্ঠ লোক ছিলেন।
কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এদের মত আরো বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা নিজেদের আমলনামা ঢেকে ফেলতে চাইছেন। নিজেদের অনিয়ম-দুর্নীতি ও চেয়ার বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এবার তাঁরা বনে যেতে চাইছেন এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব)-এর সক্রিয় সমর্থক। গত সাড়ে পনেরো বছরে এরাই সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগের পাশাপাশি পদোন্নতি, ঘন ঘন বিদেশ ট্যুর এবং বড় বড় প্রকল্পের দায়িত্ব বাগিয়ে নিয়েছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন বঞ্চিত কর্মকর্তারা।
ডিপিডিসিতে পদোন্নতি, নিয়োগ-দুর্নীতি, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। জানা যায়, ওই কর্মকর্তারা চলতি বছরের শুরুতে তৎকালীন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর সহযোগিতায় অদক্ষ ও অনভিজ্ঞ কয়েকজনকে প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োগের উদ্যোগ নেয়। তাদের সুপারিশেই নির্বাহী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) ও নির্বাহী পরিচালক (টেকনিক্যাল) পদে নিয়োগ সম্পন্ন হয়। কিন্তু গণমাধ্যমের চাপে এক দ্বৈত নাগরিককে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ দিতে পারেনি তাঁরা। এরাই এখন বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ নোমানের বিরুদ্ধে নানা রকম চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। উল্লেখ্য, আব্দুল্লাহ নোমান সর্বশেষ ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালক (আইসিটি অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট)-এর দায়িত্বে ছিলেন।
ওই নিয়োগগুলোতে সংস্থাটিতে কর্মরত সৎ ও যোগ্য প্রার্থীদের কাউকেই সুপারিশের তালিকায় রাখা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সংস্থাটির প্রতিভাবান কর্মকর্তারা হতাশা এবং চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিগত হাসিনা সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ করে মুখে ফেনা তুলে ফেলা ডিপিডিসির কর্মকর্তারাই যেন গত ৫ আগস্টের পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফ্রন্টলাইনার হয়ে গেছেন!
ডিপিডিসিতে ঘাপটি মেরে থাকা দুষ্টচক্রটি ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সংস্থাটিতে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক যোগদানের পরই চক্রটি পরিকল্পিতভাবে নিজেদের ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছে। এসবের নেপথ্যে ডিপিডিসির এক নির্বাহী পরিচালক এবং দুইজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে সূত্রের দাবি।
জানা গেছে, মতিঝিল সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ বিগত সরকারের পুরোটা সময়জুড়ে লোভনীয় পদে পদায়িত ছিলেন। সূত্র আরও জানায়, ছাত্রজীবনে ছাত্রদল করলেও চাকরিজীবনে ক্ষমতা ও অর্থ কামানোর জন্য বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করেছেন। প্রতি বছরই ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে ডিপিডিসির আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বক্তব্য, কবিতা পাঠ করে মাতিয়ে রেখেছিলেন। এমনকি, বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী, শেখ রাসেল ও শেখ হাসিনার জন্মদিনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান ও কবিতা পরিবেশন করতেন। আর এসব তেলবাজি করেই নিজের ভাগ্য গড়েছেন।
এদিকে ডিপিডিসির বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও প্রকল্প-১ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক বনে গেছেন। তিনি প্রধান প্রকৌশলী ডেভেলপমেন্ট তরিকুল হকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তাঁরা দুজনে মিলে ডিপিডিসির ডেভেলপমেন্ট দপ্তরকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের দলীয় ঠিকাদারের ঘরবাড়িতে পরিণত করেছিলেন। কায়েম করেছিলেন রামরাজত্ব। আব্দুর রাজ্জাকের খুঁটির জোর এতই বেশি ছিল যে সংস্থাটির সবাই তাঁর ভয়ে তটস্থ থাকত। আব্দুর রাজ্জাক নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে যখন বিভিন্ন এনওসিএস (ডিভিশন)-এ কর্মরত ছিলেন তখন বেশিরভাগ সময় তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। পরবর্তীতে তাঁকে প্রকল্প-১ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে পদায়ন করা হয়। সূত্র আরও জানায়, তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান এই আব্দুর রাজ্জাককে নির্বাহী প্রকৌশলী থেকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীতে পদন্নোতি দিয়েছেন সুপারসিড করে।
প্রধান প্রকৌশলী ডেভেলপমেন্ট তরিকুল হক নিজেকে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব)-এর সক্রিয় সদস্য দাবি করেন। অবশ্য, ছাত্রজীবনে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। তিনি বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় সব রকম সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে এসেছেন। এরই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে তিনি ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর ২৬ জানুয়ারি তৎকালীন কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-তিতাস) এর সংসদ সদস্য এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুরকে নৌকার ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান এবং তার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
সূত্র জানায়, তরিকুল হক এখন নিজেকে বৈষম্যের শিকার বলে দাবি করছেন। কিন্তু বিগত সরকারের আমলে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এবং পরবর্তীতে প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন তিনি। প্রধান প্রকৌশলী ডেভলপমেন্ট পদটি হলো সংস্থাটির সকল প্রকল্প মনিটরিং, উন্নয়নকাজ দেখভাল এবং বাস্তবায়ন পর্যালোচনা করে থাকে। সূত্র আরো জানায়, যেখানে তিনি দুইটি প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছেন সেখানে এত গুরুত্বপূর্ণ পদটি তিনি কিভাবে পেয়েছেন সে প্রশ্ন থেকেই যায়।
সংস্থাটির সাধারণ প্রকৌশলীরা মনে করেন, এই মুহূর্তে প্রতিষ্ঠানটিকে ঢেলে সাজাতে হবে। দুর্নীতিবাজ আর ক্ষমতালোভীরা যাতে গিরগিটির মত রং পাল্টে আবারো অন্যায় সুবিধা নিতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব)-এর নেতৃবৃন্দকে উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
বিশেষ প্রতিনিধি/এসকে
অনিয়ম-দুর্নীতিতে অপ্রতিরোধ্য দুই প্রকৌশলী!
এপিএসসিএলের ৩ কর্মকর্তার দুর্নীতি তদন্তের নির্দেশ
ডেসকোর দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের লুটপাটের টাকা ফিরিয়ে আনার দাবি
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে প্রতিযোগিতা ছাড়া প্রকল্প-টেন্ডার নয় : জ্বালানি উপদেষ্টা
'বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোমড় ভেঙে দেওয়া হয়েছে'
সুখবর দিলেন বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলীয় ছত্রছায়ায় সব রকম সুবিধা ভোগ করেছেন তাঁরা। পটপরিবর্তনের পর তাঁরাই নিজেদের বিএনপির সক্রিয় সমর্থক হিসেবে দাবি করছেন। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) কিছু প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা এভাবেই গিরগিটির মত রং পাল্টে ফেলেছেন। এদের মধ্যে প্রধান প্রকৌশলী ডেভেলপমেন্ট তরিকুল হক ও মতিঝিল সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ অন্যতম।
তাঁরা দুজনেই আওয়ামীমনা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাকের ঘনিষ্ঠ লোক ছিলেন।
কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এদের মত আরো বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা নিজেদের আমলনামা ঢেকে ফেলতে চাইছেন। নিজেদের অনিয়ম-দুর্নীতি ও চেয়ার বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এবার তাঁরা বনে যেতে চাইছেন এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব)-এর সক্রিয় সমর্থক। গত সাড়ে পনেরো বছরে এরাই সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগের পাশাপাশি পদোন্নতি, ঘন ঘন বিদেশ ট্যুর এবং বড় বড় প্রকল্পের দায়িত্ব বাগিয়ে নিয়েছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন বঞ্চিত কর্মকর্তারা।
ডিপিডিসিতে পদোন্নতি, নিয়োগ-দুর্নীতি, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। জানা যায়, ওই কর্মকর্তারা চলতি বছরের শুরুতে তৎকালীন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর সহযোগিতায় অদক্ষ ও অনভিজ্ঞ কয়েকজনকে প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োগের উদ্যোগ নেয়। তাদের সুপারিশেই নির্বাহী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) ও নির্বাহী পরিচালক (টেকনিক্যাল) পদে নিয়োগ সম্পন্ন হয়। কিন্তু গণমাধ্যমের চাপে এক দ্বৈত নাগরিককে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ দিতে পারেনি তাঁরা। এরাই এখন বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ নোমানের বিরুদ্ধে নানা রকম চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। উল্লেখ্য, আব্দুল্লাহ নোমান সর্বশেষ ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালক (আইসিটি অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট)-এর দায়িত্বে ছিলেন।
ওই নিয়োগগুলোতে সংস্থাটিতে কর্মরত সৎ ও যোগ্য প্রার্থীদের কাউকেই সুপারিশের তালিকায় রাখা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সংস্থাটির প্রতিভাবান কর্মকর্তারা হতাশা এবং চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিগত হাসিনা সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ করে মুখে ফেনা তুলে ফেলা ডিপিডিসির কর্মকর্তারাই যেন গত ৫ আগস্টের পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফ্রন্টলাইনার হয়ে গেছেন!
ডিপিডিসিতে ঘাপটি মেরে থাকা দুষ্টচক্রটি ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সংস্থাটিতে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক যোগদানের পরই চক্রটি পরিকল্পিতভাবে নিজেদের ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছে। এসবের নেপথ্যে ডিপিডিসির এক নির্বাহী পরিচালক এবং দুইজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে সূত্রের দাবি।
জানা গেছে, মতিঝিল সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ বিগত সরকারের পুরোটা সময়জুড়ে লোভনীয় পদে পদায়িত ছিলেন। সূত্র আরও জানায়, ছাত্রজীবনে ছাত্রদল করলেও চাকরিজীবনে ক্ষমতা ও অর্থ কামানোর জন্য বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করেছেন। প্রতি বছরই ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে ডিপিডিসির আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বক্তব্য, কবিতা পাঠ করে মাতিয়ে রেখেছিলেন। এমনকি, বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী, শেখ রাসেল ও শেখ হাসিনার জন্মদিনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান ও কবিতা পরিবেশন করতেন। আর এসব তেলবাজি করেই নিজের ভাগ্য গড়েছেন।
এদিকে ডিপিডিসির বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও প্রকল্প-১ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক বনে গেছেন। তিনি প্রধান প্রকৌশলী ডেভেলপমেন্ট তরিকুল হকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তাঁরা দুজনে মিলে ডিপিডিসির ডেভেলপমেন্ট দপ্তরকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের দলীয় ঠিকাদারের ঘরবাড়িতে পরিণত করেছিলেন। কায়েম করেছিলেন রামরাজত্ব। আব্দুর রাজ্জাকের খুঁটির জোর এতই বেশি ছিল যে সংস্থাটির সবাই তাঁর ভয়ে তটস্থ থাকত। আব্দুর রাজ্জাক নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে যখন বিভিন্ন এনওসিএস (ডিভিশন)-এ কর্মরত ছিলেন তখন বেশিরভাগ সময় তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। পরবর্তীতে তাঁকে প্রকল্প-১ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে পদায়ন করা হয়। সূত্র আরও জানায়, তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান এই আব্দুর রাজ্জাককে নির্বাহী প্রকৌশলী থেকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীতে পদন্নোতি দিয়েছেন সুপারসিড করে।
প্রধান প্রকৌশলী ডেভেলপমেন্ট তরিকুল হক নিজেকে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব)-এর সক্রিয় সদস্য দাবি করেন। অবশ্য, ছাত্রজীবনে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। তিনি বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় সব রকম সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে এসেছেন। এরই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে তিনি ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর ২৬ জানুয়ারি তৎকালীন কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-তিতাস) এর সংসদ সদস্য এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুরকে নৌকার ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান এবং তার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
সূত্র জানায়, তরিকুল হক এখন নিজেকে বৈষম্যের শিকার বলে দাবি করছেন। কিন্তু বিগত সরকারের আমলে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এবং পরবর্তীতে প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন তিনি। প্রধান প্রকৌশলী ডেভলপমেন্ট পদটি হলো সংস্থাটির সকল প্রকল্প মনিটরিং, উন্নয়নকাজ দেখভাল এবং বাস্তবায়ন পর্যালোচনা করে থাকে। সূত্র আরো জানায়, যেখানে তিনি দুইটি প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছেন সেখানে এত গুরুত্বপূর্ণ পদটি তিনি কিভাবে পেয়েছেন সে প্রশ্ন থেকেই যায়।
সংস্থাটির সাধারণ প্রকৌশলীরা মনে করেন, এই মুহূর্তে প্রতিষ্ঠানটিকে ঢেলে সাজাতে হবে। দুর্নীতিবাজ আর ক্ষমতালোভীরা যাতে গিরগিটির মত রং পাল্টে আবারো অন্যায় সুবিধা নিতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব)-এর নেতৃবৃন্দকে উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
বিশেষ প্রতিনিধি/এসকে
অনিয়ম-দুর্নীতিতে অপ্রতিরোধ্য দুই প্রকৌশলী!
এপিএসসিএলের ৩ কর্মকর্তার দুর্নীতি তদন্তের নির্দেশ
ডেসকোর দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের লুটপাটের টাকা ফিরিয়ে আনার দাবি
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে প্রতিযোগিতা ছাড়া প্রকল্প-টেন্ডার নয় : জ্বালানি উপদেষ্টা
'বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোমড় ভেঙে দেওয়া হয়েছে'
সুখবর দিলেন বিদ্যুৎ উপদেষ্টা