
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি দিয়ে প্রাণীদের আবেগ বুঝতে চেষ্টা করছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষকেরা। তারা এমন এআই সিস্টেম তৈরি করছেন, যা প্রাণীর মুখাবয়ব বিশ্লেষণ করে তাদের আবেগ সম্পর্কে ধারণা দেবে। এই প্রযুক্তি খামার, পশু চিকিৎসা এবং পোষ্য প্রাণীর কল্যাণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে।
এ রকম একটি এআই সিস্টেম তৈরি করেছে ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্কটল্যান্ডের রুরাল কলেজের গবেষকেরা। তারা ‘ইন্টেলিপিগ’ নামক একটি সিস্টেম তৈরি করছেন, যা শূকরদের মুখাবয়ব বিশ্লেষণ করে এবং ব্যথা, অসুস্থতা বা মানসিক চাপের কোনো লক্ষণ দেখলে তা খামারিদের জানিয়ে দেয়। ফলে পশুদের রোগ নিরাময়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে খামারিরা।
অন্যদিকে, হারানো কুকুর খুঁজে পেতে মুখ চেনার সফটওয়্যার তৈরি করেছে হাইফা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক দল। এই প্রযুক্তি ইতিমধ্যে হারানো পোষা প্রাণী খুঁজে পেতে সাহায্য করেছে। এখন কুকুরদের মুখাবয়বে অস্বস্তির লক্ষণ শনাক্ত করতে এই প্রযুক্তি প্রশিক্ষিত হচ্ছে। এ দলের গবেষকেরা জানান, কুকুরদের মুখাবয়ব মানুষের সঙ্গে ৩৮ শতাংশ মিল রয়েছে, যা তাদের মুখাবয়বে সূক্ষ্ম পরিবর্তন দেখে ব্যথা বা অস্বস্তি বুঝতে সাহায্য করে।
এই সিস্টেমগুলো শুরুতে মানুষকেই পশুদের আচরণের মানে বুঝতে সাহায্য করে, যা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে দীর্ঘ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে করা হয়। তবে, সম্প্রতি সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গবেষক ঘোড়ার মুখাবয়বের ছবি ব্যবহার করে একটি এআই সিস্টেম তৈরি করছেন। তিনি ঘোড়াদের অস্ত্রোপচারের আগে ও পরে এবং ব্যথানাশক নেওয়ার পর মুখাবয়বের পরিবর্তন বিশ্লেষণ করে ৮৮ শতাংশ সফলতার সঙ্গে ব্যথার লক্ষণ শনাক্তে সক্ষম হয়েছেন।
এই গবেষণার ফলাফলটি ইঙ্গিত দেয় যে, ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর কল্যাণে সাহায্য করতে পারে। কৃষক, পশুচিকিৎসক, এবং পোষা প্রাণী মালিকেরা শিগগিরই এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবেন যা প্রাণীদের অস্বস্তি গুরুতর অবস্থায় পৌঁছানোর আগেই শনাক্ত করতে সাহায্য করবে। এর ফলে আরও ভালো যত্ন এবং দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত হবে।
অবিরত গবেষণার মাধ্যমে এআই প্রাণীদের অনুভূতি বুঝতে এবং সেগুলোর প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে বিপ্লব ঘটাতে পারে। এভাবে প্রজাতির মধ্যে যোগাযোগের পার্থক্য দূর করবে প্রযুক্তি।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন/এসকে
এ রকম একটি এআই সিস্টেম তৈরি করেছে ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্কটল্যান্ডের রুরাল কলেজের গবেষকেরা। তারা ‘ইন্টেলিপিগ’ নামক একটি সিস্টেম তৈরি করছেন, যা শূকরদের মুখাবয়ব বিশ্লেষণ করে এবং ব্যথা, অসুস্থতা বা মানসিক চাপের কোনো লক্ষণ দেখলে তা খামারিদের জানিয়ে দেয়। ফলে পশুদের রোগ নিরাময়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে খামারিরা।
অন্যদিকে, হারানো কুকুর খুঁজে পেতে মুখ চেনার সফটওয়্যার তৈরি করেছে হাইফা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক দল। এই প্রযুক্তি ইতিমধ্যে হারানো পোষা প্রাণী খুঁজে পেতে সাহায্য করেছে। এখন কুকুরদের মুখাবয়বে অস্বস্তির লক্ষণ শনাক্ত করতে এই প্রযুক্তি প্রশিক্ষিত হচ্ছে। এ দলের গবেষকেরা জানান, কুকুরদের মুখাবয়ব মানুষের সঙ্গে ৩৮ শতাংশ মিল রয়েছে, যা তাদের মুখাবয়বে সূক্ষ্ম পরিবর্তন দেখে ব্যথা বা অস্বস্তি বুঝতে সাহায্য করে।
এই সিস্টেমগুলো শুরুতে মানুষকেই পশুদের আচরণের মানে বুঝতে সাহায্য করে, যা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে দীর্ঘ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে করা হয়। তবে, সম্প্রতি সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গবেষক ঘোড়ার মুখাবয়বের ছবি ব্যবহার করে একটি এআই সিস্টেম তৈরি করছেন। তিনি ঘোড়াদের অস্ত্রোপচারের আগে ও পরে এবং ব্যথানাশক নেওয়ার পর মুখাবয়বের পরিবর্তন বিশ্লেষণ করে ৮৮ শতাংশ সফলতার সঙ্গে ব্যথার লক্ষণ শনাক্তে সক্ষম হয়েছেন।
এই গবেষণার ফলাফলটি ইঙ্গিত দেয় যে, ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর কল্যাণে সাহায্য করতে পারে। কৃষক, পশুচিকিৎসক, এবং পোষা প্রাণী মালিকেরা শিগগিরই এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবেন যা প্রাণীদের অস্বস্তি গুরুতর অবস্থায় পৌঁছানোর আগেই শনাক্ত করতে সাহায্য করবে। এর ফলে আরও ভালো যত্ন এবং দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত হবে।
অবিরত গবেষণার মাধ্যমে এআই প্রাণীদের অনুভূতি বুঝতে এবং সেগুলোর প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে বিপ্লব ঘটাতে পারে। এভাবে প্রজাতির মধ্যে যোগাযোগের পার্থক্য দূর করবে প্রযুক্তি।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন/এসকে