
পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এক সারসংক্ষপে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, নতুন পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাই করা জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের ভিত্তিতে আবেদনকারীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই পাসপোর্ট দিতে হবে। বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিক এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য পাসপোর্টের নতুন আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাই করা জন্মনিবন্ধন সনদের তথ্যের ভিত্তিতে আবেদনকারীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই পাসপোর্ট দিতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়, পুলিশ ভেরিফিকেশন যথাসময়ে না পাবার কারণে বা অনাবশ্যক কাগজপত্র যাচাইয়ের কারণে আবেদনকারীর ভোগান্তি হয় মর্মে প্রায়ই অভিযোগ পাওয়া যায়। আবেদনকারীর ভোগান্তি হ্রাস এবং যথাসময়ে পাসপোর্ট প্রাপ্তি নিশ্চিতের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন ব্যবস্থা তুলে দিতে প্রধান উপদেষ্টা আদেশ দিয়েছেন। ফলে এখন থেকে নতুন পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাইকৃত জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের ভিত্তিতে আবেদনকারীকে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া পাসপোর্ট প্রদান করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, প্রথাগতভাবে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর পুলিশের বিশেষ শাখা এবং বিশেষ ক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর (এনএসআই) এর মাধ্যমে তদন্ত করে থাকে। বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্রের নির্ভরযোগ্য ডাটাবেইজ থাকায় পাসপোর্ট সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে সেই তথ্যের ভিত্তিতে পাসপোর্ট প্রদান করা যেতে পারে। এছাড়া অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের পরিবর্তে জন্ম নিবন্ধন সনদের ভিত্তিতে পাসপোর্ট প্রদান করা যেতে পারে। উক্ত ডাটাবেইজের সাথে আবেদনের তথ্য মিলে গেলে সে অনুসারে পাসপোর্ট ইস্যু করা হলে পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রযোজ্য হবে না বলে উল্লেখ করা নির্দেশনায়।
সারসংক্ষেপে আরও বলা হয়, পাসপোর্ট ইস্যু বাংলাদেশের একটি অন্যতম নাগরিক সেবা। বাংলাদেশের ১ কোটিরও বেশি নাগরিক বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করছেন। প্রতি মাসে গড়ে ৩০ হাজার বাংলাদেশি বিদেশে কাজের জন্য যান। এ ছাড়া উচ্চশিক্ষা, স্থায়ীভাবে বসবাসসহ নানা কারণে বাংলাদেশিরা বিদেশে যাচ্ছেন। দেশে ও বিদেশের পাসপোর্ট অফিসে প্রতিদিন গড়ে ২৮-৩০ হাজার আবেদন জমা পড়ে এবং ২৫-২৮ হাজার পাসপোর্ট ছাপা হয়।
ই-পাসপোর্ট সিস্টেমে পাসপোর্টের জন্য ঘরে বসে আবেদন দাখিল ও অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যায়। আবেদনকারীদের একটি নির্ধারিত দিনে বায়োমেট্রিক তথ্যের জন্য এবং পরবর্তী সময়ে পাসপোর্ট আনতে অফিসে যেতে হয়। অনলাইন সিস্টেমে আবেদন দাখিলের পর তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুলিশ সেরিফিকেশনের জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশের বিশেষ শাখায় পাঠানো হয়। ইতিবাচক পুলিশ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আবেদনকারীকে পাসপোর্ট ইস্যু দেওয়া হয়। একটি সাধারণ পাসপোর্ট ১২ কর্ম দিবস এবং এক্সপ্রেস তিন দিনের মধ্যে দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ ভেরিফিকেশন যথাসময়ে না পাওয়ায় এবং কাগজপত্র যাচাইয়ের কারণে আবেদনকারীদের ভোগান্তি হয়। ভোগান্তি কমাতে এবং যথাসময়ে পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন ব্যবস্থার জন্য প্রধান উপদেষ্টা অনুশাসন জারি করেন। এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্রের সুসংগঠিত ও নির্ভরযোগ্য ডেটাবেইস হয়েছে। পাসপোর্ট সেবা সহজীকরণে জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে দেওয়া যেতে পারে। অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের পরিবর্তে জন্মনিবন্ধন সনদের ভিত্তিতে দেওয়া যেতে পারে। ডেটাবেইসের সঙ্গে আবেদনের তথ্য মিললে পাসপোর্ট ইস্যু করা হলে পুলিশ ভেরিফিকেশন দরকার হবে না।
পাসপোর্ট সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে আরও কিছু নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগ। ১. নতুন পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাইকৃত জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের ভিত্তিতে আবেদনকারীগণকে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া পাসপোর্ট প্রদান করতে হবে। ২. বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিক ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য পাসপোর্টের নতুন আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাইকৃত জন্মনিবন্ধন সনদের তথ্যের ভিত্তিতে আবেদনকারীকে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া পাসপোর্ট প্রদান করতে হবে। ৩. পাসপোর্ট পুনঃইস্যুর ক্ষেত্রে বিদ্যমান পাসপোর্টের সঙ্গে মৌলিক তথ্যের (নিজ নাম, বাবা-মায়ের নাম, জন্ম তারিখ, জন্মস্থান) পরিবর্তন হলে জাতীয় পরিচয়পত্রে প্রদত্ত তথ্য দিয়ে পাসপোর্ট ইস্যু করা যাবে। ৪. পাসপোর্ট আবেদনের তথ্য জাতীয় পরিচয়পত্র ডাটাবেইজ বা জন্মনিবন্ধন ডাটাবেইজের সঙ্গে যাচাই করা হলে তা বাংলাদেশ পাসপোর্ট আদেশ, ১৯৭৩ এর ৫(২) ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রয়োজনীয় তদন্ত হয়েছে বলে গণ্য করা হবে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে
নির্দেশনায় বলা হয়, পুলিশ ভেরিফিকেশন যথাসময়ে না পাবার কারণে বা অনাবশ্যক কাগজপত্র যাচাইয়ের কারণে আবেদনকারীর ভোগান্তি হয় মর্মে প্রায়ই অভিযোগ পাওয়া যায়। আবেদনকারীর ভোগান্তি হ্রাস এবং যথাসময়ে পাসপোর্ট প্রাপ্তি নিশ্চিতের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন ব্যবস্থা তুলে দিতে প্রধান উপদেষ্টা আদেশ দিয়েছেন। ফলে এখন থেকে নতুন পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাইকৃত জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের ভিত্তিতে আবেদনকারীকে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া পাসপোর্ট প্রদান করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, প্রথাগতভাবে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর পুলিশের বিশেষ শাখা এবং বিশেষ ক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর (এনএসআই) এর মাধ্যমে তদন্ত করে থাকে। বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্রের নির্ভরযোগ্য ডাটাবেইজ থাকায় পাসপোর্ট সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে সেই তথ্যের ভিত্তিতে পাসপোর্ট প্রদান করা যেতে পারে। এছাড়া অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের পরিবর্তে জন্ম নিবন্ধন সনদের ভিত্তিতে পাসপোর্ট প্রদান করা যেতে পারে। উক্ত ডাটাবেইজের সাথে আবেদনের তথ্য মিলে গেলে সে অনুসারে পাসপোর্ট ইস্যু করা হলে পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রযোজ্য হবে না বলে উল্লেখ করা নির্দেশনায়।
সারসংক্ষেপে আরও বলা হয়, পাসপোর্ট ইস্যু বাংলাদেশের একটি অন্যতম নাগরিক সেবা। বাংলাদেশের ১ কোটিরও বেশি নাগরিক বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করছেন। প্রতি মাসে গড়ে ৩০ হাজার বাংলাদেশি বিদেশে কাজের জন্য যান। এ ছাড়া উচ্চশিক্ষা, স্থায়ীভাবে বসবাসসহ নানা কারণে বাংলাদেশিরা বিদেশে যাচ্ছেন। দেশে ও বিদেশের পাসপোর্ট অফিসে প্রতিদিন গড়ে ২৮-৩০ হাজার আবেদন জমা পড়ে এবং ২৫-২৮ হাজার পাসপোর্ট ছাপা হয়।
ই-পাসপোর্ট সিস্টেমে পাসপোর্টের জন্য ঘরে বসে আবেদন দাখিল ও অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যায়। আবেদনকারীদের একটি নির্ধারিত দিনে বায়োমেট্রিক তথ্যের জন্য এবং পরবর্তী সময়ে পাসপোর্ট আনতে অফিসে যেতে হয়। অনলাইন সিস্টেমে আবেদন দাখিলের পর তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুলিশ সেরিফিকেশনের জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশের বিশেষ শাখায় পাঠানো হয়। ইতিবাচক পুলিশ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আবেদনকারীকে পাসপোর্ট ইস্যু দেওয়া হয়। একটি সাধারণ পাসপোর্ট ১২ কর্ম দিবস এবং এক্সপ্রেস তিন দিনের মধ্যে দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ ভেরিফিকেশন যথাসময়ে না পাওয়ায় এবং কাগজপত্র যাচাইয়ের কারণে আবেদনকারীদের ভোগান্তি হয়। ভোগান্তি কমাতে এবং যথাসময়ে পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন ব্যবস্থার জন্য প্রধান উপদেষ্টা অনুশাসন জারি করেন। এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্রের সুসংগঠিত ও নির্ভরযোগ্য ডেটাবেইস হয়েছে। পাসপোর্ট সেবা সহজীকরণে জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে দেওয়া যেতে পারে। অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের পরিবর্তে জন্মনিবন্ধন সনদের ভিত্তিতে দেওয়া যেতে পারে। ডেটাবেইসের সঙ্গে আবেদনের তথ্য মিললে পাসপোর্ট ইস্যু করা হলে পুলিশ ভেরিফিকেশন দরকার হবে না।
পাসপোর্ট সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে আরও কিছু নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগ। ১. নতুন পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাইকৃত জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের ভিত্তিতে আবেদনকারীগণকে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া পাসপোর্ট প্রদান করতে হবে। ২. বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিক ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য পাসপোর্টের নতুন আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাইকৃত জন্মনিবন্ধন সনদের তথ্যের ভিত্তিতে আবেদনকারীকে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া পাসপোর্ট প্রদান করতে হবে। ৩. পাসপোর্ট পুনঃইস্যুর ক্ষেত্রে বিদ্যমান পাসপোর্টের সঙ্গে মৌলিক তথ্যের (নিজ নাম, বাবা-মায়ের নাম, জন্ম তারিখ, জন্মস্থান) পরিবর্তন হলে জাতীয় পরিচয়পত্রে প্রদত্ত তথ্য দিয়ে পাসপোর্ট ইস্যু করা যাবে। ৪. পাসপোর্ট আবেদনের তথ্য জাতীয় পরিচয়পত্র ডাটাবেইজ বা জন্মনিবন্ধন ডাটাবেইজের সঙ্গে যাচাই করা হলে তা বাংলাদেশ পাসপোর্ট আদেশ, ১৯৭৩ এর ৫(২) ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রয়োজনীয় তদন্ত হয়েছে বলে গণ্য করা হবে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে