
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের কলা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন পঞ্চাশোর্ধ তাওহিদুল রহমান তাকু।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম শিফটে শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ৪১৮ নম্বর রুমে ভর্তি যুদ্ধে অংশ নেন তিনি।
জানা যায়, তৌহিদুর রহমান তাকু এনায়েতপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২০২২ সালে দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৬৩ পেয়েছেন এবং ২০২৪ সালে গয়ড়া তেঁতুলিয়া ডি. এম ফাজিল মাদ্রাসা থেকে জিপিএ ৪.৬৪ পেয়ে আলিম পাস করেন।
মুখে পাকা খোঁচা দাড়ি। মাথায় সাদা পাতলা চুল। সব মিলিয়ে চেহারায় তৌহিদুর রহমানের বয়সের ছাপ স্পষ্ট। তবে দাখিল ও আলিম পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ডে দেখা যায় তার জন্ম তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০০৫। কিন্তু আসলেই তার বয়স কত তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তৌহিদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, তার বাড়ি নওগাঁ জেলায়। তিনি নওগাঁ সরকারি কে. ডি স্কুলে মাধ্যমিক পড়াশোনা করেছেন। অসুস্থতার পরে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জেডিসি, দাখিল এবং আলিম পাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করেন।
তৌহিদুর আরও বলেন, আমি ১৯৮৯ সালে অসুস্থ হয়ে পড়ি। ২০১৪-১৫ সালে সুস্থ হয়ে পড়াশোনা শুরু করি। ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিতে চাইলেও আবারও মাদকাসক্ত সেন্টারে প্রেরণ করা হয়। ২০১৯ সালে পুনরায় পড়াশুনা শুরু করে কন্টিনিউ করে আসছি। আমার ইংরেজি প্রস্তুতি তেমন ভালো না। তারপরও চেষ্টা করবো। যদি এইবছর জগন্নাথে চান্স না হয়, আগামী বছর রাবি, জাবিতে পরীক্ষা দিয়ে চান্স নিবোই ইনশাআল্লাহ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন, আইনগতভাবে কোনো বাঁধা নেই, তবে সে কোনো অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে কি না সেটা পরবর্তীতে খতিয়ে দেখা হবে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম শিফটে শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ৪১৮ নম্বর রুমে ভর্তি যুদ্ধে অংশ নেন তিনি।
জানা যায়, তৌহিদুর রহমান তাকু এনায়েতপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২০২২ সালে দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৬৩ পেয়েছেন এবং ২০২৪ সালে গয়ড়া তেঁতুলিয়া ডি. এম ফাজিল মাদ্রাসা থেকে জিপিএ ৪.৬৪ পেয়ে আলিম পাস করেন।
মুখে পাকা খোঁচা দাড়ি। মাথায় সাদা পাতলা চুল। সব মিলিয়ে চেহারায় তৌহিদুর রহমানের বয়সের ছাপ স্পষ্ট। তবে দাখিল ও আলিম পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ডে দেখা যায় তার জন্ম তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০০৫। কিন্তু আসলেই তার বয়স কত তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তৌহিদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, তার বাড়ি নওগাঁ জেলায়। তিনি নওগাঁ সরকারি কে. ডি স্কুলে মাধ্যমিক পড়াশোনা করেছেন। অসুস্থতার পরে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জেডিসি, দাখিল এবং আলিম পাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করেন।
তৌহিদুর আরও বলেন, আমি ১৯৮৯ সালে অসুস্থ হয়ে পড়ি। ২০১৪-১৫ সালে সুস্থ হয়ে পড়াশোনা শুরু করি। ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিতে চাইলেও আবারও মাদকাসক্ত সেন্টারে প্রেরণ করা হয়। ২০১৯ সালে পুনরায় পড়াশুনা শুরু করে কন্টিনিউ করে আসছি। আমার ইংরেজি প্রস্তুতি তেমন ভালো না। তারপরও চেষ্টা করবো। যদি এইবছর জগন্নাথে চান্স না হয়, আগামী বছর রাবি, জাবিতে পরীক্ষা দিয়ে চান্স নিবোই ইনশাআল্লাহ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন, আইনগতভাবে কোনো বাঁধা নেই, তবে সে কোনো অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে কি না সেটা পরবর্তীতে খতিয়ে দেখা হবে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে