
ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, চেরনোবিল নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের ক্ষতিগ্রস্ত একটি রিয়্যাক্টরের রেডিয়েশন শেল্টারের ওপরে আছড়ে পড়ে একটি ড্রোন। এতে সেখানে আগুন ধরে যায়। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেই আগুন নিভে গেছে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত রেডিয়েশন লেভেল শুরু হয়নি বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেন দাবি করছে, ড্রোনটি রাশিয়ার। তবে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে একটি রুশ ড্রোন চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৪ নম্বর রিয়াক্টরের ওপরের সুরক্ষা কাঠামোতে আঘাত হানে। ড্রোন হামলায় সুরক্ষা কাঠামোটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এর ফলে আগুন ধরে গিয়েছিল, যা পরবর্তীতে নেভানো হয়। এখন পর্যন্ত বিকিরণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়নি এবং ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রাথমিক মূল্যায়নে জানা গেছে, সুরক্ষা কাঠামোর যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে।
১৯৮৬ সালে চেরনোবিলের ৪ নম্বর ইউনিটে বিস্ফোরণ ঘটেছিল, যা সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ইউরোপের কিছু অংশে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে দেয়। পরবর্তীকালে এটিকে কংক্রিট ও ইস্পাতের একটি সুরক্ষা-বর্ম দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।
সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে এবার বিস্ফোরণের মুহূর্তটি ধরা পড়েছে।
এ নিয়ে আন্তর্জাতিক আণবিক জ্বালানি সংস্থা আইএইএ বলছে, ভেতরের স্তরে কোনো ফাটলের চিহ্ন নেই। চেরনোবিলের ভেতরে ও বাইরে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়েই রয়েছে। ফলে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু এই সুরক্ষা স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হলে কী হতো, তা ভেবেই শিউড়ে উঠছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই হামলার ফলে ইউক্রেনের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ শুরু হয়েছে। আইএইএর ডিরেক্টর জেনারেল রাফায়েল গ্রোসি বলেন, ‘আমরা গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি।’
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, চেরনোবিল নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের ক্ষতিগ্রস্ত একটি রিয়্যাক্টরের রেডিয়েশন শেল্টারের ওপরে আছড়ে পড়ে একটি ড্রোন। এতে সেখানে আগুন ধরে যায়। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেই আগুন নিভে গেছে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত রেডিয়েশন লেভেল শুরু হয়নি বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেন দাবি করছে, ড্রোনটি রাশিয়ার। তবে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে একটি রুশ ড্রোন চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৪ নম্বর রিয়াক্টরের ওপরের সুরক্ষা কাঠামোতে আঘাত হানে। ড্রোন হামলায় সুরক্ষা কাঠামোটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এর ফলে আগুন ধরে গিয়েছিল, যা পরবর্তীতে নেভানো হয়। এখন পর্যন্ত বিকিরণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়নি এবং ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রাথমিক মূল্যায়নে জানা গেছে, সুরক্ষা কাঠামোর যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে।
১৯৮৬ সালে চেরনোবিলের ৪ নম্বর ইউনিটে বিস্ফোরণ ঘটেছিল, যা সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ইউরোপের কিছু অংশে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে দেয়। পরবর্তীকালে এটিকে কংক্রিট ও ইস্পাতের একটি সুরক্ষা-বর্ম দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।
সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে এবার বিস্ফোরণের মুহূর্তটি ধরা পড়েছে।
এ নিয়ে আন্তর্জাতিক আণবিক জ্বালানি সংস্থা আইএইএ বলছে, ভেতরের স্তরে কোনো ফাটলের চিহ্ন নেই। চেরনোবিলের ভেতরে ও বাইরে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়েই রয়েছে। ফলে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু এই সুরক্ষা স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হলে কী হতো, তা ভেবেই শিউড়ে উঠছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই হামলার ফলে ইউক্রেনের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ শুরু হয়েছে। আইএইএর ডিরেক্টর জেনারেল রাফায়েল গ্রোসি বলেন, ‘আমরা গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি।’
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে