![](https://banglascoop.com/public/postimages/67adb1165f8c2.jpg)
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দেশব্যাপী ৮৪৮ নেতা-কর্মী নিহত হয়েছে দাবি করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষর করা অভিযোগপত্র ট্রাইব্যুনালে জমা দেয় একটি প্রতিনিধি দল।
অভিযোগপত্রের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া ৮৪টি মামলার এজাহার ও বিভিন্ন সময় প্রকাশিত সংবাদপত্রের কাটিংসহ বিভিন্ন প্রমাণ জমা দেওয়া হয়। ট্রাইব্যুনালে দেওয়া অভিযোগে শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বিএনপি উল্লেখ করেছে, ‘গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশে চাকরি ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি থাকায় মেধাভিত্তিক ছেলেরা বাদ পড়ায় এর প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামে সংগঠন কোটা পদ্ধতি বাতিলের বিরুদ্ধে সভা-সমাবেশ শুরু করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বপক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সারা দেশে বিএনপিসহ সকল সহযোগী সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হয়ে চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের পক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। গত জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে একটানা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সারা দেশে প্রতিবাদ গড়ে তোলে। বিএনপির সকল জেলা, উপজেলা, মহানগর, ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের প্রতিবাদে ও অবৈধ দুর্নীতিবাজ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ, সমাবেশ ও বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে।’
আরো বলা হয়েছে, ‘বিএনপির মতো একটি রাজনৈতিক দলকে চিরজীবনের জন্য নিশ্চিহ্ন করা জন্য স্বৈরাচার সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের রাজাকারের নাতি বলে সম্বোধন করেন। গত ২৯ জুলাই শেখ হাসিনার নির্দেশে ১৪ দলের সমন্বয় মিটিংয়ে গণহত্যার পরিকল্পনা করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দেন যে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে দমন করতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট। ছাত্রলীগকে এ ধরনের উসকানি দেওয়ার কারণে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সারা দেশ থেকে ছাত্রলীগের ক্যাডারদের ঢাকায় জড়ো করে। এরই ধারবাহিকতায় গত বছরের জুলাই থেকে আগস্ট বৈষম্যবিরোধীদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশ ও কর্মসূচির ওপরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তাঁর মন্ত্রিপরিষদ, কিছু আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ক্যাডাররা, কিছু আমলা, কিছু গোয়েন্দা সংস্থা, কিছু পুলিশ বাহিনীর সদস্য, কিছু বিজিবি সদস্য ও কিছু আনসার বাহিনীর সদস্যসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা মিলে বেপরোয়াভাবে গুলিবর্ষণ, ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাত, টিয়ার শেল, হ্যান্ড গ্রেনেড, বোমা, ককটেলসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র দ্বারা আঘাত করে দুই হাজারের বেশি লোকজন শহীদ করে।’
অভিযোগপত্রে জানানো হয়েছে, ‘প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ৮৪৮ জন বিএনপি সমর্থিত নেতা-কর্মী ও সমর্থকসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীসহ অন্যান্যদের গণহত্যা করে শহীদ করে। এবং প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার নিরীহ মানুষকে গুরুতর জখম করে এর মধ্যে ৫ হাজারের অধিক বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থক রয়েছে। অবৈধ ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা ও তাঁর নিজস্ব কিছু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশ্য ছিল বিএনপির মত একটি বড় দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা করা। পরিকল্পিতভাবে বিএনপি নেতা-কর্মীদেরকে হত্যা, গণহত্যা, গুম, অপহরণ এবং মিথ্যা গায়েবি মামলা দিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের এলাকা ছাড়া করে ও লোকশূন্য করে বিএনপির মত একটি বড় দলকে ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন করাই ছিল তাদের মূল পরিকল্পনা।’
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে
অভিযোগপত্রের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া ৮৪টি মামলার এজাহার ও বিভিন্ন সময় প্রকাশিত সংবাদপত্রের কাটিংসহ বিভিন্ন প্রমাণ জমা দেওয়া হয়। ট্রাইব্যুনালে দেওয়া অভিযোগে শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বিএনপি উল্লেখ করেছে, ‘গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশে চাকরি ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি থাকায় মেধাভিত্তিক ছেলেরা বাদ পড়ায় এর প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামে সংগঠন কোটা পদ্ধতি বাতিলের বিরুদ্ধে সভা-সমাবেশ শুরু করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বপক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সারা দেশে বিএনপিসহ সকল সহযোগী সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হয়ে চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের পক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। গত জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে একটানা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সারা দেশে প্রতিবাদ গড়ে তোলে। বিএনপির সকল জেলা, উপজেলা, মহানগর, ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের প্রতিবাদে ও অবৈধ দুর্নীতিবাজ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ, সমাবেশ ও বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে।’
আরো বলা হয়েছে, ‘বিএনপির মতো একটি রাজনৈতিক দলকে চিরজীবনের জন্য নিশ্চিহ্ন করা জন্য স্বৈরাচার সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের রাজাকারের নাতি বলে সম্বোধন করেন। গত ২৯ জুলাই শেখ হাসিনার নির্দেশে ১৪ দলের সমন্বয় মিটিংয়ে গণহত্যার পরিকল্পনা করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দেন যে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে দমন করতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট। ছাত্রলীগকে এ ধরনের উসকানি দেওয়ার কারণে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সারা দেশ থেকে ছাত্রলীগের ক্যাডারদের ঢাকায় জড়ো করে। এরই ধারবাহিকতায় গত বছরের জুলাই থেকে আগস্ট বৈষম্যবিরোধীদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশ ও কর্মসূচির ওপরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তাঁর মন্ত্রিপরিষদ, কিছু আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ক্যাডাররা, কিছু আমলা, কিছু গোয়েন্দা সংস্থা, কিছু পুলিশ বাহিনীর সদস্য, কিছু বিজিবি সদস্য ও কিছু আনসার বাহিনীর সদস্যসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা মিলে বেপরোয়াভাবে গুলিবর্ষণ, ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাত, টিয়ার শেল, হ্যান্ড গ্রেনেড, বোমা, ককটেলসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র দ্বারা আঘাত করে দুই হাজারের বেশি লোকজন শহীদ করে।’
অভিযোগপত্রে জানানো হয়েছে, ‘প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ৮৪৮ জন বিএনপি সমর্থিত নেতা-কর্মী ও সমর্থকসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীসহ অন্যান্যদের গণহত্যা করে শহীদ করে। এবং প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার নিরীহ মানুষকে গুরুতর জখম করে এর মধ্যে ৫ হাজারের অধিক বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থক রয়েছে। অবৈধ ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা ও তাঁর নিজস্ব কিছু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশ্য ছিল বিএনপির মত একটি বড় দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা করা। পরিকল্পিতভাবে বিএনপি নেতা-কর্মীদেরকে হত্যা, গণহত্যা, গুম, অপহরণ এবং মিথ্যা গায়েবি মামলা দিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের এলাকা ছাড়া করে ও লোকশূন্য করে বিএনপির মত একটি বড় দলকে ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন করাই ছিল তাদের মূল পরিকল্পনা।’
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে