
‘ঘরের বাইরে থেকে দরজা আটকে আমার বাবা- মা, ভাই ভাতিজি সবাই কে পুড়িয়ে মারতে চেয়েছিল। আমিতো নতুন বাংলাদেশ গড়তে আন্দোলনের ফ্রন্টে ছিলাম। ৩২ নম্বরে গিয়ে ফ্রন্টে ছিলাম। অথচ আমার এখন পুরো ঘরটা নাই। স্পষ্ট বলতে চাই। সাত দিন টাইম। যারা জড়িত শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। নইলে সাত দিন পরে রাজপথে একা দাঁড়াব।’
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কান্নজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলেন জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফি। তার পুড়িয়ে দেওয়া ঘরের ধ্বংসস্তুপের সামনে বসে তিনি এ আক্ষেপ করেন।
কাফি আবেগপ্রবণ হয়ে আরও বলেন, ‘জীবনের ঝুঁকি রেখে দুবার কান্না শুনেছি মা–বাবার। ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্টে পালিয়ে থাকা অবস্থায় একবার, আর গত রাতে বসতঘর পুড়িয়ে দেওয়ার পরে আরেকবার।’
নুরুজ্জামান কাফির বাবা রজপাড়া দ্বীন-ই-ইলাহী দাখিল মাদ্রাসায় সুপার হিসেবে কর্মরত। তাঁরা দুই ভাই। এ বিষয়ে নুরুজ্জামান কাফির বাবা এবিএম হাবিবুর রহমান বলেন, ‘রাতের অন্ধকারে আমাদের ঘরটিতে দুর্বৃত্তরা আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। যে যার মতো করে দরজা ভেঙে আমরা বের হয়েছি। কিছু রক্ষা করতে পারিনি, সব শেষ হয়ে গেছে। আমার ছেলে দেশ গড়ার কাজ করেছেন। এতে প্রতিপক্ষ শক্তি ক্ষুব্ধ হয়েছে। সে কারণে আমাদের পুড়ে মারার জন্যই এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমরা এ নাশকতার তদন্তপূর্বক বিচার চাই।’
মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া দুইটার দিকে নুরুজ্জামান কাফির গ্রামের বাড়ি দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। কাফির বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার খবর শোনার পর কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কলাপাড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র হুমায়ুন সিকদারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ সময় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হাফিজুর রহমান, কলাপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি গাজী মোহাম্মদ ফারুক, সাধারণ সম্পাদক মুসা তাওহীদ নাননু মুন্সী উপস্থিত ছিলেন।
দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলা বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন সিকদার বলেন, ‘কাফির বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা নাশকতা ছাড়া আর কিছুই নয়। এর সঙ্গে জুলাই বিপ্লবে পরাজিত শক্তি জড়িত রয়েছে। যথাযথ তদন্ত করে এ ঘটনায় জড়িত অপশক্তিকে খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা অতি দ্রুত এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা দেখতে চাই। আশা করি, পুলিশ বিভাগ তাদের দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে এ নাশকতার রহস্য বের করবে।’
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কান্নজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলেন জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফি। তার পুড়িয়ে দেওয়া ঘরের ধ্বংসস্তুপের সামনে বসে তিনি এ আক্ষেপ করেন।
কাফি আবেগপ্রবণ হয়ে আরও বলেন, ‘জীবনের ঝুঁকি রেখে দুবার কান্না শুনেছি মা–বাবার। ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্টে পালিয়ে থাকা অবস্থায় একবার, আর গত রাতে বসতঘর পুড়িয়ে দেওয়ার পরে আরেকবার।’
নুরুজ্জামান কাফির বাবা রজপাড়া দ্বীন-ই-ইলাহী দাখিল মাদ্রাসায় সুপার হিসেবে কর্মরত। তাঁরা দুই ভাই। এ বিষয়ে নুরুজ্জামান কাফির বাবা এবিএম হাবিবুর রহমান বলেন, ‘রাতের অন্ধকারে আমাদের ঘরটিতে দুর্বৃত্তরা আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। যে যার মতো করে দরজা ভেঙে আমরা বের হয়েছি। কিছু রক্ষা করতে পারিনি, সব শেষ হয়ে গেছে। আমার ছেলে দেশ গড়ার কাজ করেছেন। এতে প্রতিপক্ষ শক্তি ক্ষুব্ধ হয়েছে। সে কারণে আমাদের পুড়ে মারার জন্যই এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমরা এ নাশকতার তদন্তপূর্বক বিচার চাই।’
মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া দুইটার দিকে নুরুজ্জামান কাফির গ্রামের বাড়ি দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। কাফির বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার খবর শোনার পর কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কলাপাড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র হুমায়ুন সিকদারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ সময় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হাফিজুর রহমান, কলাপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি গাজী মোহাম্মদ ফারুক, সাধারণ সম্পাদক মুসা তাওহীদ নাননু মুন্সী উপস্থিত ছিলেন।
দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলা বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন সিকদার বলেন, ‘কাফির বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা নাশকতা ছাড়া আর কিছুই নয়। এর সঙ্গে জুলাই বিপ্লবে পরাজিত শক্তি জড়িত রয়েছে। যথাযথ তদন্ত করে এ ঘটনায় জড়িত অপশক্তিকে খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা অতি দ্রুত এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা দেখতে চাই। আশা করি, পুলিশ বিভাগ তাদের দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে এ নাশকতার রহস্য বের করবে।’
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে