বাংলা স্কুপ, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪:
ক্যারিয়ারের শেষ টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছেন গত জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই। আগামী ২১ অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ খেলেই সাদা পোশাক তুলে রাখবেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কানপুর টেস্টের আগের দিন এই সিদ্ধান্তের কথা সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন তিনি। সাকিব বলেন, আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টিতে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছি। মিরপুর টেস্টে (দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে) খেলতে পারলে সেটি হবে আমার শেষ টেস্ট।
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেও ওয়ানডে খেলতে চান আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত। সাকিব জানান, পাকিস্তানে হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর ওয়ানডে থেকে অবসরে যাবেন তিনি।
সাকিব আরও জানান, অবসরের বিষয়ে তিনি এরই মধ্যে নির্বাচক প্যানেলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সর্বশেষ ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট খেলেছেন সাকিব। এরপর দেশে ফেরা হয়নি তার। তবে দেশে ফিরে নিরাপদে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলে অবসর নিতে চান।
তবে সেই সিরিজটি খেলার সুযোগ না হলে কানপুর টেস্টই হবে সাকিবের শেষ, এটা আমার ইচ্ছা। যদি সেটা করা সম্ভব না হয় তাহলে এটাই (কানপুর টেস্ট) সম্ভবত হবে আমার শেষ টেস্ট।
সাকিব আল হাসান বলেন, দেখুন, এখন পর্যন্ত আমি তো অ্যাভাইলেবল। দেশে যেহেতু অনেক পরিস্থিতি আছে, স্বাভাবিকভাবেই সবকিছু অবশ্যই আমার ওপরে না। আমি বিসিবির সঙ্গে এসব নিয়ে আলোচনা করেছি। তাদেরকে বলা হয়েছে, আমার কী পরিকল্পনা টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে। এই সিরিজ আর ঘরের মাঠের সিরিজটা আমি অনুভব করেছি যে, আমার শেষ সিরিজ হবে টেস্ট ক্রিকেটে।
সাকিব আল হাসান ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-২০ বিশ্বকাপে সর্বশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ খেলেছেন। ওটাই ছিল তার শেষ টি-২০ ম্যাচ। এছাড়া আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর বসবে। ওই আসর দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটকেও বিদায় বলতে চান তিনি।
নিজের ক্যারিয়ার সম্পর্কে সাকিবের মূল্যায়ন, আমি মনে করি, আমি রিজনেবলি ওকে করেছি। আমি খুশি। কোনো অনুশোচনা নেই। জীবনে কখনো অনুশোচনা ছিল না। এখনো নেই। যত দিন উপভোগ করেছি, আমি ক্রিকেট খেলেছি। আমার মনে হয়েছে, এটা বাংলাদেশ ক্রিকেট ও আমার জন্য সঠিক সময়, যে কারণে এই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া। কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচক, বোর্ড—সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
টেস্ট ক্রিকেটে সাকিবের অভিষেক হয় ২০০৭ সালে। এই পর্যন্ত ৭০ টেস্ট ৩৮.৩৩ গড়ে করেছেন ৪ হাজার ৬০০ রান। ঝুলিতে রয়েছে ৫ সেঞ্চুরি ও ৩১টি হাফ সেঞ্চুরি। এছাড়া ৩১.৮৫ গড়ে ২৪২ উইকেট নিয়েছেন। অন্যদিকে ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া সাকিবের ১২৯ ম্যাচে ২ হাজার ৫৫১ রান ছাড়াও বল হাতে নিয়েছেন ১৪৯ উইকেট। সূত্র : প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, বাংলা ট্রিবিউন।
ডেস্ক/এসকে
ক্যারিয়ারের শেষ টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছেন গত জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই। আগামী ২১ অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ খেলেই সাদা পোশাক তুলে রাখবেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কানপুর টেস্টের আগের দিন এই সিদ্ধান্তের কথা সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন তিনি। সাকিব বলেন, আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টিতে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছি। মিরপুর টেস্টে (দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে) খেলতে পারলে সেটি হবে আমার শেষ টেস্ট।
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেও ওয়ানডে খেলতে চান আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত। সাকিব জানান, পাকিস্তানে হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর ওয়ানডে থেকে অবসরে যাবেন তিনি।
সাকিব আরও জানান, অবসরের বিষয়ে তিনি এরই মধ্যে নির্বাচক প্যানেলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সর্বশেষ ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট খেলেছেন সাকিব। এরপর দেশে ফেরা হয়নি তার। তবে দেশে ফিরে নিরাপদে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলে অবসর নিতে চান।
তবে সেই সিরিজটি খেলার সুযোগ না হলে কানপুর টেস্টই হবে সাকিবের শেষ, এটা আমার ইচ্ছা। যদি সেটা করা সম্ভব না হয় তাহলে এটাই (কানপুর টেস্ট) সম্ভবত হবে আমার শেষ টেস্ট।
সাকিব আল হাসান বলেন, দেখুন, এখন পর্যন্ত আমি তো অ্যাভাইলেবল। দেশে যেহেতু অনেক পরিস্থিতি আছে, স্বাভাবিকভাবেই সবকিছু অবশ্যই আমার ওপরে না। আমি বিসিবির সঙ্গে এসব নিয়ে আলোচনা করেছি। তাদেরকে বলা হয়েছে, আমার কী পরিকল্পনা টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে। এই সিরিজ আর ঘরের মাঠের সিরিজটা আমি অনুভব করেছি যে, আমার শেষ সিরিজ হবে টেস্ট ক্রিকেটে।
সাকিব আল হাসান ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-২০ বিশ্বকাপে সর্বশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ খেলেছেন। ওটাই ছিল তার শেষ টি-২০ ম্যাচ। এছাড়া আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর বসবে। ওই আসর দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটকেও বিদায় বলতে চান তিনি।
নিজের ক্যারিয়ার সম্পর্কে সাকিবের মূল্যায়ন, আমি মনে করি, আমি রিজনেবলি ওকে করেছি। আমি খুশি। কোনো অনুশোচনা নেই। জীবনে কখনো অনুশোচনা ছিল না। এখনো নেই। যত দিন উপভোগ করেছি, আমি ক্রিকেট খেলেছি। আমার মনে হয়েছে, এটা বাংলাদেশ ক্রিকেট ও আমার জন্য সঠিক সময়, যে কারণে এই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া। কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচক, বোর্ড—সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
টেস্ট ক্রিকেটে সাকিবের অভিষেক হয় ২০০৭ সালে। এই পর্যন্ত ৭০ টেস্ট ৩৮.৩৩ গড়ে করেছেন ৪ হাজার ৬০০ রান। ঝুলিতে রয়েছে ৫ সেঞ্চুরি ও ৩১টি হাফ সেঞ্চুরি। এছাড়া ৩১.৮৫ গড়ে ২৪২ উইকেট নিয়েছেন। অন্যদিকে ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া সাকিবের ১২৯ ম্যাচে ২ হাজার ৫৫১ রান ছাড়াও বল হাতে নিয়েছেন ১৪৯ উইকেট। সূত্র : প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, বাংলা ট্রিবিউন।
ডেস্ক/এসকে