
গাজীপুরের মেট্রো সদর থানার ধীরাশ্রম এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ববিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের পৈতৃক বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর ভাঙচুরের সময় এলাকাবাসীর হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
আহত সাত জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন— শুভ শাহরিয়া (১৬), ইয়াকুব (২৪), সৌরভ (২২), কাশেম (১৭) ও হাসান (২২)। অন্য দুজনের নাম জানা যায়নি। শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেকে আনা হয়।
এর আগে শুক্রবার রাত ১০টায় গাজীপুর মহানগরীর ৩১ নং ওয়ার্ড ধীরাশ্রম দাক্ষিণখান সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১০টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা করেন। তারা বাড়ির ভেতর ঢুকে ভাঙচুর করেন। এ সময় মসজিদের মাইকে মন্ত্রীর বাড়িতে ডাকাত পড়েছে বলে ঘোষণা দিয়ে লোকজনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। মাইকিং শুনে আশপাশের এলকাবাসী বাড়িটি ঘিরে ফেলেন। পরে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা কালে ১৫ জনকে আটকে পিটিয়ে আহত করে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে জরুরি ভিত্তিতে গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর বলেন, “ছাত্র-জনতার পরিচয় দিয়ে সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় স্থানীয় লোকজন হামলাকারীদের আটক করে মারধর করেছেন। এতে ১২-১৩ জন আহত হয়েছেন বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে।”
এ হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা–কর্মীরা।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুরের নেতা মো. আবদুল্লাহ বলেন, ‘‘শুক্রবার রাতে আমাদের কাছে খবর আসে, ধীরাশ্রম এলাকায় সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাট হচ্ছে। এটি শোনার পর প্রতিহত করতে আমাদের শিক্ষার্থীরা রওনা হন। দ্রুত ১৫-১৬ জন ঘটনাস্থলে চলে যান। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, লুটপাট হচ্ছে। এতে বাধা দিলে পেছন থেকে হুট করে অনেক মানুষ জড়ো হয়ে যায়। তাদের হাতে রামদাসহ বিভিন্ন অস্ত্র ছিল। অন্য শিক্ষার্থীরা আসার আগেই ওই ১৫ জনকে ছাদে নিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে অন্যান্য শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরও পেটানো হয়।’’
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে
আহত সাত জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন— শুভ শাহরিয়া (১৬), ইয়াকুব (২৪), সৌরভ (২২), কাশেম (১৭) ও হাসান (২২)। অন্য দুজনের নাম জানা যায়নি। শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেকে আনা হয়।
এর আগে শুক্রবার রাত ১০টায় গাজীপুর মহানগরীর ৩১ নং ওয়ার্ড ধীরাশ্রম দাক্ষিণখান সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১০টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা করেন। তারা বাড়ির ভেতর ঢুকে ভাঙচুর করেন। এ সময় মসজিদের মাইকে মন্ত্রীর বাড়িতে ডাকাত পড়েছে বলে ঘোষণা দিয়ে লোকজনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। মাইকিং শুনে আশপাশের এলকাবাসী বাড়িটি ঘিরে ফেলেন। পরে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা কালে ১৫ জনকে আটকে পিটিয়ে আহত করে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে জরুরি ভিত্তিতে গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর বলেন, “ছাত্র-জনতার পরিচয় দিয়ে সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় স্থানীয় লোকজন হামলাকারীদের আটক করে মারধর করেছেন। এতে ১২-১৩ জন আহত হয়েছেন বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে।”
এ হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা–কর্মীরা।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুরের নেতা মো. আবদুল্লাহ বলেন, ‘‘শুক্রবার রাতে আমাদের কাছে খবর আসে, ধীরাশ্রম এলাকায় সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাট হচ্ছে। এটি শোনার পর প্রতিহত করতে আমাদের শিক্ষার্থীরা রওনা হন। দ্রুত ১৫-১৬ জন ঘটনাস্থলে চলে যান। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, লুটপাট হচ্ছে। এতে বাধা দিলে পেছন থেকে হুট করে অনেক মানুষ জড়ো হয়ে যায়। তাদের হাতে রামদাসহ বিভিন্ন অস্ত্র ছিল। অন্য শিক্ষার্থীরা আসার আগেই ওই ১৫ জনকে ছাদে নিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে অন্যান্য শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরও পেটানো হয়।’’
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে