দুদকের করা মামলায় গ্রেপ্তার ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, আমি একজন সিআইপি। দেশে আমার অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমি প্রতি মাসে ১০ হাজার লোককে ১৩ কোটি টাকা বেতন দেই। প্রতিবছর সরকারের কোষাগারে ৩০০ কোটি টাকা ট্যাক্স দেই। এই অল্প কিছু টাকার জন্য আমি এগুলো করবো কেন? আমি ইঞ্জিনিয়ারদের গৌরব।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় তাকে আদালতে হাজির করা হলে এজলাসে দাঁড়িয়ে বিচারককে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি ক্রীড়াপ্রেমী লোক। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে আছি। আমার গ্রেপ্তারের কথা শুনে অনেক খেলোয়াড় এখানে এসেছে। আমার মতো একজন ব্যবসায়ীকে এ ধরনের মামলা দিয়ে হয়রানি করলে ভুল বার্তা যাবে।
প্রায় ২৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় গ্রেপ্তার ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে দুদক।
আসামি পক্ষে বিএনপিপন্থি আইনজীবী নেতা ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ঢাকা বার ইউনিটের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা খান, বিএনপিপন্থি আইনজীবী নেতা খোরশেদ আলম ও খোরশেদ মিয়া আলম তার রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর ও ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন।
শুনানির এক পর্যায়ে বিচারক বলেন, দুর্নীতির মামলায় সাজার পরিমাণ বাড়ানো দরকার। সাজা কম হওয়ায় দুর্নীতি বেড়েছে। জামানত ছাড়া একজন ব্যক্তিকে ৫৮ হাজার কোটি ঋণ দিলে দুর্নীতি তো হবেই। ব্যাংকগুলো কিভাবে একজন ব্যক্তিকে এতো টাকা ঋণ দেয় বুঝি না।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে দুদক চাইলে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে কারাবিধি অনুযায়ী সুবিধা ও চিকিৎসার নির্দেশ দেন আদালত।
ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরের বিরুদ্ধে গত ৪ ফেব্রুয়ারি মামলা দায়ের করে দুদক। দুদকের পরিচালক আব্দুল মাজেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। গতকাল (৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক আব্দুল মাজেদ। ওইদিন আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে রিমান্ড শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরের নিজ নামে মোট ৭২ কোটি ৮৫ লাখ ৩ হাজার ৫২৮ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। যার বিপরীতে তার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ৫৩ কোটি ৫৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬৭ টাকা। এক্ষেত্রে তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ২৭ কোটি ৮৬ লাখ ২০ হাজার ৯০৮ টাকা। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারার মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন/এসকে
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় তাকে আদালতে হাজির করা হলে এজলাসে দাঁড়িয়ে বিচারককে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি ক্রীড়াপ্রেমী লোক। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে আছি। আমার গ্রেপ্তারের কথা শুনে অনেক খেলোয়াড় এখানে এসেছে। আমার মতো একজন ব্যবসায়ীকে এ ধরনের মামলা দিয়ে হয়রানি করলে ভুল বার্তা যাবে।
প্রায় ২৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় গ্রেপ্তার ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে দুদক।
আসামি পক্ষে বিএনপিপন্থি আইনজীবী নেতা ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ঢাকা বার ইউনিটের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা খান, বিএনপিপন্থি আইনজীবী নেতা খোরশেদ আলম ও খোরশেদ মিয়া আলম তার রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর ও ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন।
শুনানির এক পর্যায়ে বিচারক বলেন, দুর্নীতির মামলায় সাজার পরিমাণ বাড়ানো দরকার। সাজা কম হওয়ায় দুর্নীতি বেড়েছে। জামানত ছাড়া একজন ব্যক্তিকে ৫৮ হাজার কোটি ঋণ দিলে দুর্নীতি তো হবেই। ব্যাংকগুলো কিভাবে একজন ব্যক্তিকে এতো টাকা ঋণ দেয় বুঝি না।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে দুদক চাইলে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে কারাবিধি অনুযায়ী সুবিধা ও চিকিৎসার নির্দেশ দেন আদালত।
ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরের বিরুদ্ধে গত ৪ ফেব্রুয়ারি মামলা দায়ের করে দুদক। দুদকের পরিচালক আব্দুল মাজেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। গতকাল (৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক আব্দুল মাজেদ। ওইদিন আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে রিমান্ড শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরের নিজ নামে মোট ৭২ কোটি ৮৫ লাখ ৩ হাজার ৫২৮ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। যার বিপরীতে তার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ৫৩ কোটি ৫৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬৭ টাকা। এক্ষেত্রে তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ২৭ কোটি ৮৬ লাখ ২০ হাজার ৯০৮ টাকা। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারার মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন/এসকে