মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করছেন অধিক গুণাগুণ সমৃদ্ধ বিদেশি সবজি স্কোয়াশ। শীতকালীন সবজি হিসেবে বাজার চাহিদা থাকায় এবং স্বল্প সময়ে অধিক লাভজনক হওয়ায় প্রন্তিক কৃষকদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই।
এবার দিনাজপুরের খানসামায় স্কোয়াশ চাষ করে বাজিমাত করেছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউপির টংগুয়া গ্রামের প্রান্তিক কৃষক মকবুল হোসেন।
চলতি মৌসুমে উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় নিজের ২০ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করে এরইমধ্যে মূলধন উঠে এসেছে এবং বেশ লাভবান হওয়ার আশা করছেন তিনি।
তবে শুধু মকবুল হোসেন নয় এরকম আরও ছয়জন কৃষক স্কোয়াশ চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। খানসামার সাতটি স্থানে সাত জন কৃষক এই স্কোয়াশ চাষ করছেন। লাভজনক হওয়ায় এই স্কোয়াশ চাষে এলাকার সাধারণ কৃষকরাও অনুপ্রাণিত হচ্ছে।
কৃষি অফিস জানায়, দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলা ‘কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের’ সহযোগিতায় প্রদর্শনী করা হয়েছে। শীতকালীন সবজি হিসেবে চাষাবাদে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে এর বীজ বপন করতে হয়। তবে আগাম শীতকালীন ফসলের জন্য আগস্টের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বরে জমিতে এ বীজ রোপন করা হয়। বীজ রোপনের অল্প দিনের মধ্যেই গাছ বেড়ে ওঠে। ৩৫-৪০ দিনের মধ্যেই গাছে ফুল আসে। পরাগায়নের ১০-১৫ দিনের মধ্যেই ফল সংগ্রহ করা যায়। বীজ লাগানো থেকে ফল তুলতে সময় লাগে দুই থেকে আড়াই মাস।
ক্ষেতে দেখা যায়, স্কোয়াশ ক্ষেত পরিচর্যা করছেন কৃষক মকবুল হোসেন। তাকে সহযোগিতা করছেন ছোট ভাই। স্কোয়াশ গাছে ধরেছে ফুল এবং ফল। সবজিটি দেখতে মূলত শসার মতো এবং কুমড়ার লতার মতো। আকার ও আকৃতি ভেদে একেকটি স্কোয়াশের ওজন দেড় থেকে আড়াই কেজির মতো।
টংগুয়া গ্রামের প্রান্তিক কৃষক মকবুল হোসেন জানান, নিজের ২০ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে প্রথম স্কোয়াশ চাষ করেছেন। এতে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ৮-১০ হাজার টাকা। বর্তমানে স্কোয়াশ কর্তন করে বিক্রি করছেন মকবুল হোসেন। বর্তমান বাজারে প্রতি পিস স্কোয়াশ বিক্রি করছেন ২০-২৫ টাকা। এতে তার মূলধন উঠে এসেছে এবং বেশ লাভবান হওয়ার আশা করছেন তিনি। এবার ভালো ফলন হচ্ছে। আগামী মৌসুমে আরও বেশী করে চাষ করব।
খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার বলেন, স্কোয়াশ চাষাবাদের শুরু থেকেই ওই কৃষককে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হয়েছে। স্কোয়াশের ফলনও ভালো হয়েছে। আশা করছি এতে কৃষক মকবুল হোসেন বেশ লাভবান হবেন। পাশাপাশি অন্যান্য কৃষকরাও এতে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে এবং স্কোয়াশ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে
এবার দিনাজপুরের খানসামায় স্কোয়াশ চাষ করে বাজিমাত করেছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউপির টংগুয়া গ্রামের প্রান্তিক কৃষক মকবুল হোসেন।
চলতি মৌসুমে উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় নিজের ২০ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করে এরইমধ্যে মূলধন উঠে এসেছে এবং বেশ লাভবান হওয়ার আশা করছেন তিনি।
তবে শুধু মকবুল হোসেন নয় এরকম আরও ছয়জন কৃষক স্কোয়াশ চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। খানসামার সাতটি স্থানে সাত জন কৃষক এই স্কোয়াশ চাষ করছেন। লাভজনক হওয়ায় এই স্কোয়াশ চাষে এলাকার সাধারণ কৃষকরাও অনুপ্রাণিত হচ্ছে।
কৃষি অফিস জানায়, দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলা ‘কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের’ সহযোগিতায় প্রদর্শনী করা হয়েছে। শীতকালীন সবজি হিসেবে চাষাবাদে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে এর বীজ বপন করতে হয়। তবে আগাম শীতকালীন ফসলের জন্য আগস্টের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বরে জমিতে এ বীজ রোপন করা হয়। বীজ রোপনের অল্প দিনের মধ্যেই গাছ বেড়ে ওঠে। ৩৫-৪০ দিনের মধ্যেই গাছে ফুল আসে। পরাগায়নের ১০-১৫ দিনের মধ্যেই ফল সংগ্রহ করা যায়। বীজ লাগানো থেকে ফল তুলতে সময় লাগে দুই থেকে আড়াই মাস।
ক্ষেতে দেখা যায়, স্কোয়াশ ক্ষেত পরিচর্যা করছেন কৃষক মকবুল হোসেন। তাকে সহযোগিতা করছেন ছোট ভাই। স্কোয়াশ গাছে ধরেছে ফুল এবং ফল। সবজিটি দেখতে মূলত শসার মতো এবং কুমড়ার লতার মতো। আকার ও আকৃতি ভেদে একেকটি স্কোয়াশের ওজন দেড় থেকে আড়াই কেজির মতো।
টংগুয়া গ্রামের প্রান্তিক কৃষক মকবুল হোসেন জানান, নিজের ২০ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে প্রথম স্কোয়াশ চাষ করেছেন। এতে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ৮-১০ হাজার টাকা। বর্তমানে স্কোয়াশ কর্তন করে বিক্রি করছেন মকবুল হোসেন। বর্তমান বাজারে প্রতি পিস স্কোয়াশ বিক্রি করছেন ২০-২৫ টাকা। এতে তার মূলধন উঠে এসেছে এবং বেশ লাভবান হওয়ার আশা করছেন তিনি। এবার ভালো ফলন হচ্ছে। আগামী মৌসুমে আরও বেশী করে চাষ করব।
খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার বলেন, স্কোয়াশ চাষাবাদের শুরু থেকেই ওই কৃষককে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হয়েছে। স্কোয়াশের ফলনও ভালো হয়েছে। আশা করছি এতে কৃষক মকবুল হোসেন বেশ লাভবান হবেন। পাশাপাশি অন্যান্য কৃষকরাও এতে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে এবং স্কোয়াশ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে