বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন রাষ্ট্রপতি বা নির্বাহী বিভাগের দণ্ডিত আসামিকে ক্ষমা প্রদানের এখতিয়ার নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব দিয়েছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন।
কমিশনের ২৮ দফা সুপারিশের মধ্যে ৬ নম্বর প্রস্তাবে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন সংক্রান্ত প্রস্তাবটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এতে বলা হয়েছে-আদালত কর্তৃক চূড়ান্তভাবে দণ্ডিত অপরাধীকে রাষ্ট্রপতি বা নির্বাহী বিভাগ কর্তৃক ক্ষমা প্রদানের এখতিয়ার নিয়ন্ত্রণে একটি বোর্ড গঠন করা হবে। এই বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতেই ক্ষমা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমা প্রদানের অধিকার দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত যেকোনো দণ্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও বিরাম মঞ্জুর করিবার এবং যেকোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করিবার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকিবে।
বর্তমানে রাষ্ট্রপতি বিচারিক কর্তৃপক্ষের দেওয়া যেকোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করতে পারেন। তবে এই ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। এ নিয়ে সম্প্রতি একটি রিট আবেদন করা হয়েছে, যেখানে এই ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গত ২০ জানুয়ারি হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করেছেন। তিনি বলেন, "সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতি সাজাপ্রাপ্ত কাউকে ক্ষমা করতে পারেন। তবে অতীতে দেখা গেছে, এই ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে বহু সাজাপ্রাপ্ত আসামি, বিশেষ করে হত্যা মামলার দণ্ডিতরা রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনায় এই ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়েছে, যা সংবিধানের ৭, ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই এই ক্ষমতা প্রয়োগে নীতিমালা থাকা জরুরি। জনস্বার্থে এই রিট করা হয়েছে।"
এর আগে ২০১৪ সালে সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ চ্যালেঞ্জ করে আরেকটি রিট দায়ের করা হয়েছিল। তখন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মানবাধিকার সংগঠন 'হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের' সভাপতি মনজিল মোরশেদ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদন করেছিলেন।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন।
কমিশনের ২৮ দফা সুপারিশের মধ্যে ৬ নম্বর প্রস্তাবে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন সংক্রান্ত প্রস্তাবটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এতে বলা হয়েছে-আদালত কর্তৃক চূড়ান্তভাবে দণ্ডিত অপরাধীকে রাষ্ট্রপতি বা নির্বাহী বিভাগ কর্তৃক ক্ষমা প্রদানের এখতিয়ার নিয়ন্ত্রণে একটি বোর্ড গঠন করা হবে। এই বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতেই ক্ষমা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমা প্রদানের অধিকার দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত যেকোনো দণ্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও বিরাম মঞ্জুর করিবার এবং যেকোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করিবার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকিবে।
বর্তমানে রাষ্ট্রপতি বিচারিক কর্তৃপক্ষের দেওয়া যেকোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করতে পারেন। তবে এই ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। এ নিয়ে সম্প্রতি একটি রিট আবেদন করা হয়েছে, যেখানে এই ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গত ২০ জানুয়ারি হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করেছেন। তিনি বলেন, "সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতি সাজাপ্রাপ্ত কাউকে ক্ষমা করতে পারেন। তবে অতীতে দেখা গেছে, এই ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে বহু সাজাপ্রাপ্ত আসামি, বিশেষ করে হত্যা মামলার দণ্ডিতরা রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনায় এই ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়েছে, যা সংবিধানের ৭, ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই এই ক্ষমতা প্রয়োগে নীতিমালা থাকা জরুরি। জনস্বার্থে এই রিট করা হয়েছে।"
এর আগে ২০১৪ সালে সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ চ্যালেঞ্জ করে আরেকটি রিট দায়ের করা হয়েছিল। তখন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মানবাধিকার সংগঠন 'হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের' সভাপতি মনজিল মোরশেদ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদন করেছিলেন।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে