তাজা ফল আমদানিতে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় দ্বিতীয় দিনের মত বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের ডাকা ধর্মঘটে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফল আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে বাড়ছে ফলে দাম। আর আমদানি বন্ধ থাকায় সরকারের রাজস্ব আয়ে বড় ধরনের ধাক্কা পড়েছে বলছেন বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বুধবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত কোনো তাজা ফলের ট্রাক ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেনি। এর আগে ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন সংবাদ সম্মেলন করে ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাড়তি শুল্ককর তুলে না নেয়া হলে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের সব স্থলবন্দর, নৌবন্দর দিয়ে তাজাফল আমদানি বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা দেয়। ফল আমদানিকারক শেখ মেহেদী হাসান জানান, অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফল আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে কোনো ফল আমদানি তারা করছেন না।
জানা যায়, ভারত থেকে যে সকল খাদ্য দ্রব আমদানি হয়, এরমধ্যে বড় একটি অংশ রয়েছে আপেল, আঙুর, কমলা, মালটা ও আঙুরসহ বিভিন্ন প্রকারের তাজা ফল। ফল আমদানির ক্ষেত্রে আগে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আদায় করতো কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তবে আমদানি খরচ বাড়ায় দাম বাড়িয়েছে খোলা বাজারে বিক্রেতারাও।
আমদানি বন্ধে দুই দিনে কেজিতে ফলের দাম আরও বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। শুল্ককর বাড়ানোর কারণে বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আপেল প্রকারভেদে ৩২০-৩৭০ টাকা, মালটা ৩১০ -৩৩০ টাকা, কমলা ২৬০-৩১০ টাকা, আঙুর ৪৬০- ৫২০ টাকা ও ডালিম ৪৭০-৫৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফল বিক্রেতা আজিবার জানান, আমদানি ও শুল্ককর বৃদ্ধিতে মোকাম থেকে বেশি দামে ফল কিনতে হওয়ায় বেশিতে বিক্রি করতে হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে ক্রেতাদের ওপর।
আমদানি একেবারে বন্ধ থাকলে সামনের দিনে ফলের বাজার আরও ঊর্ধ্বগতির আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে রমজানের ঠিক আগ মুহূর্তে ফলের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। ফল ক্রেতা নাসির জানান, রমজানের আগে দাম বৃদ্ধি ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে শুল্ক বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত সরকারকে প্রত্যাহার করা উচিত।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের দফতর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম জানান, গত ৯ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নতুন এক নির্দেশনায় ফল আমদানির উপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করে। এতে বর্তমানে কেজিতে শুল্ক-কর ১৫ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৬ টাকা। এর আগে প্রতিকেজি ফলে সরকারকে রাজস্ব দিতে হতো ১০১ টাকা।
বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি নূরউদ্দীন আহম্মেদ জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চাপিয়ে দেয়া ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক তুলে না নেয়ায় ফল আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে। আজকের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামীতে বড় কর্মসূচি দেয়া হবে।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক মামুন কবীর তরফদার জানান, ফল ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফল আমদানি বন্ধ থাকায় রাজস্ব আয় কমেছে। ধর্মঘটে দুই দিনে বেনাপোল বন্দর থেকে সরকার বড় অঙ্কের টাকা টাকার রাজস্ব হারাবে।
বন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহীদ আলী জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আগে দিনে শতাধিক ট্রাক ফল আমদানি হতো। এখন আমদানি বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বুধবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত কোনো তাজা ফলের ট্রাক ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেনি। এর আগে ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন সংবাদ সম্মেলন করে ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাড়তি শুল্ককর তুলে না নেয়া হলে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের সব স্থলবন্দর, নৌবন্দর দিয়ে তাজাফল আমদানি বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা দেয়। ফল আমদানিকারক শেখ মেহেদী হাসান জানান, অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফল আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে কোনো ফল আমদানি তারা করছেন না।
জানা যায়, ভারত থেকে যে সকল খাদ্য দ্রব আমদানি হয়, এরমধ্যে বড় একটি অংশ রয়েছে আপেল, আঙুর, কমলা, মালটা ও আঙুরসহ বিভিন্ন প্রকারের তাজা ফল। ফল আমদানির ক্ষেত্রে আগে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আদায় করতো কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তবে আমদানি খরচ বাড়ায় দাম বাড়িয়েছে খোলা বাজারে বিক্রেতারাও।
আমদানি বন্ধে দুই দিনে কেজিতে ফলের দাম আরও বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। শুল্ককর বাড়ানোর কারণে বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আপেল প্রকারভেদে ৩২০-৩৭০ টাকা, মালটা ৩১০ -৩৩০ টাকা, কমলা ২৬০-৩১০ টাকা, আঙুর ৪৬০- ৫২০ টাকা ও ডালিম ৪৭০-৫৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফল বিক্রেতা আজিবার জানান, আমদানি ও শুল্ককর বৃদ্ধিতে মোকাম থেকে বেশি দামে ফল কিনতে হওয়ায় বেশিতে বিক্রি করতে হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে ক্রেতাদের ওপর।
আমদানি একেবারে বন্ধ থাকলে সামনের দিনে ফলের বাজার আরও ঊর্ধ্বগতির আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে রমজানের ঠিক আগ মুহূর্তে ফলের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। ফল ক্রেতা নাসির জানান, রমজানের আগে দাম বৃদ্ধি ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে শুল্ক বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত সরকারকে প্রত্যাহার করা উচিত।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের দফতর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম জানান, গত ৯ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নতুন এক নির্দেশনায় ফল আমদানির উপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করে। এতে বর্তমানে কেজিতে শুল্ক-কর ১৫ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৬ টাকা। এর আগে প্রতিকেজি ফলে সরকারকে রাজস্ব দিতে হতো ১০১ টাকা।
বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি নূরউদ্দীন আহম্মেদ জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চাপিয়ে দেয়া ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক তুলে না নেয়ায় ফল আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে। আজকের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামীতে বড় কর্মসূচি দেয়া হবে।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক মামুন কবীর তরফদার জানান, ফল ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফল আমদানি বন্ধ থাকায় রাজস্ব আয় কমেছে। ধর্মঘটে দুই দিনে বেনাপোল বন্দর থেকে সরকার বড় অঙ্কের টাকা টাকার রাজস্ব হারাবে।
বন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহীদ আলী জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আগে দিনে শতাধিক ট্রাক ফল আমদানি হতো। এখন আমদানি বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে