
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার দেখার হাওরের ছাইয়া কিত্তা ফসলরক্ষা বাঁধের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই ধসে পড়ছে। এতে কৃষকদের মাঝে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। ৫৫ নম্বর পিআইসি প্রকল্পের অধীনে নির্মাণাধীন ১২২৫ মিটার বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে একাধিক অংশ ধসে পড়ছে। কৃষকরা আশঙ্কা করছেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো হাওরের বোরো ফসল মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।স্থানীয় কৃষক ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, কয়েক বছর আগে বর্ষা মৌসুমে ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে মহাসিং নদী ও বাঁধের পাশ থেকে বালু উত্তোলন করা হয়েছিল। এর ফলে বাঁধের দুই পাশে ২৭ ফুট গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে নদীর পানি কমে যাওয়ায় বাঁধের মাটি ধসে পড়ছে।
কৃষকরা বলছেন, বাঁধ নির্মাণের আগে এসব সমস্যা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিলে আজ এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। নদীর গভীর গর্ত ও অপরিকল্পিতভাবে পানি নিষ্কাশনের কারণে প্রতি বছরই এই বাঁধে নতুন করে ধস দেখা দেয়।৫৫ নম্বর পিআইসি কমিটির সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসাইন নোমান বলেন, এই বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ আমাদের প্রকল্পের মধ্যে ছিল না। কিন্তু ধসের কারণে এখন নতুন করে কাজ করতে হবে।
৪৯ নম্বর প্রকল্পের সভাপতি সফিকুর রহমান বলেন, নদীর পাড়ে গভীর গর্ত হওয়ায় ফাটল দেখা দিয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো হাওরের ফসল হুমকির মুখে পড়বে। প্রতিবারই আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এসব সমস্যা জানালেও স্থায়ী কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি।
হাওর পাড়ের কৃষকরা বলছেন, ধসের কারণে যদি বাঁধ ভেঙে যায়, তাহলে পুরো দেখার হাওরের ফসলহানির আশঙ্কা রয়েছে। এই অঞ্চলে বোরো ফসলই প্রধান আয়ের উৎস, যা সঠিকভাবে রক্ষা করা না গেলে কৃষকদের বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। তারা দ্রুত বাঁধের টেকসই উন্নয়ন ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার দাবি জানিয়েছেন।
৫৩ ও ৫৪ নম্বর প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদকরা বলেন, বাঁধের সুরক্ষার জন্য গাছের ভল্লি ও জিও ব্যাগ ব্যবহার করা জরুরি। কিন্তু এখনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।ছাইয়া কিত্তার পাশাপাশি দেখার হাওরের আরও তিনটি ৪৯, ৫৩ ও ৫৪ নম্বর পিআইসি প্রকল্পেও ফাটল ও ধস দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, অপরিকল্পিতভাবে হাওরের পানি সরানোর ফলে নদীর তীরে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে, যা বাঁধের স্থায়িত্ব দুর্বল করে দিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মমিন মিয়া বলেন, বাঁধগুলোর অবস্থা পরিদর্শন করা হয়েছে। ধস রোধে প্রয়োজনীয় উপকরণের বরাদ্দ অনুমোদিত হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন
গত কয়েকদিন ধরে একাধিক অংশ ধসে পড়ছে। কৃষকরা আশঙ্কা করছেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো হাওরের বোরো ফসল মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।স্থানীয় কৃষক ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, কয়েক বছর আগে বর্ষা মৌসুমে ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে মহাসিং নদী ও বাঁধের পাশ থেকে বালু উত্তোলন করা হয়েছিল। এর ফলে বাঁধের দুই পাশে ২৭ ফুট গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে নদীর পানি কমে যাওয়ায় বাঁধের মাটি ধসে পড়ছে।
কৃষকরা বলছেন, বাঁধ নির্মাণের আগে এসব সমস্যা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিলে আজ এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। নদীর গভীর গর্ত ও অপরিকল্পিতভাবে পানি নিষ্কাশনের কারণে প্রতি বছরই এই বাঁধে নতুন করে ধস দেখা দেয়।৫৫ নম্বর পিআইসি কমিটির সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসাইন নোমান বলেন, এই বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ আমাদের প্রকল্পের মধ্যে ছিল না। কিন্তু ধসের কারণে এখন নতুন করে কাজ করতে হবে।
৪৯ নম্বর প্রকল্পের সভাপতি সফিকুর রহমান বলেন, নদীর পাড়ে গভীর গর্ত হওয়ায় ফাটল দেখা দিয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো হাওরের ফসল হুমকির মুখে পড়বে। প্রতিবারই আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এসব সমস্যা জানালেও স্থায়ী কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি।
হাওর পাড়ের কৃষকরা বলছেন, ধসের কারণে যদি বাঁধ ভেঙে যায়, তাহলে পুরো দেখার হাওরের ফসলহানির আশঙ্কা রয়েছে। এই অঞ্চলে বোরো ফসলই প্রধান আয়ের উৎস, যা সঠিকভাবে রক্ষা করা না গেলে কৃষকদের বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। তারা দ্রুত বাঁধের টেকসই উন্নয়ন ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার দাবি জানিয়েছেন।
৫৩ ও ৫৪ নম্বর প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদকরা বলেন, বাঁধের সুরক্ষার জন্য গাছের ভল্লি ও জিও ব্যাগ ব্যবহার করা জরুরি। কিন্তু এখনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।ছাইয়া কিত্তার পাশাপাশি দেখার হাওরের আরও তিনটি ৪৯, ৫৩ ও ৫৪ নম্বর পিআইসি প্রকল্পেও ফাটল ও ধস দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, অপরিকল্পিতভাবে হাওরের পানি সরানোর ফলে নদীর তীরে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে, যা বাঁধের স্থায়িত্ব দুর্বল করে দিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মমিন মিয়া বলেন, বাঁধগুলোর অবস্থা পরিদর্শন করা হয়েছে। ধস রোধে প্রয়োজনীয় উপকরণের বরাদ্দ অনুমোদিত হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন