বাজারে মুক্ত অর্থনীতির মূলনীতির কোনও অস্তিত্ব নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেছেন, বাস্তবে মুক্তবাজার অর্থনীতি বলতে কিছু নেই, যা আছে তা অলিগোপলি। বেশিরভাগ বাজার ও পণ্য উৎপাদন কতিপয় গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বণিক বার্তা আয়োজিত ‘খাদ্যপণ্যের যৌক্তিক দাম: বাজার তত্ত্বাবধানের কৌশল অনুসন্ধান’ শীর্ষক পলিসি কনক্লেভে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতির মূলনীতি অনুযায়ী বাজারে প্রতিযোগিতা থাকবে, ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা বেশি হবে এবং তথ্য উন্মুক্ত থাকবে। কিন্তু বাস্তবে বাজার কয়েকটি গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে, প্রতিযোগিতাও নেই। এ ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা কমিশন ও সরকারেরও দায় আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।তিনি বলেন, বর্তমানে উৎপাদক ও ভোক্তারা কেউই যৌক্তিক দামে পণ্য কিনতে পারছে না। এর সঙ্গে নিরাপদ খাদ্যের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।তিনি আরও বলেন, ক্যানসার হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের বড় অংশ কৃষক। এর মানে উৎপাদনে এমন কিছু উপাদান ব্যবহার হচ্ছে, যা কৃষকদের ক্ষতি করছে। অথচ তারা সঠিক দামও পাচ্ছে না।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, একসময় গবেষণা ও সরকারি নীতিমালায় কৃষি ও খাদ্যখাত গুরুত্ব পেতো। কিন্তু আশির দশকের পর থেকে কৃষিখাত গুরুত্ব হারাতে থাকে। একইসঙ্গে গত দেড় দশকে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।তিনি বলেন, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান বিবিএস (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো) কার্যকরভাবে কাজ করছে না, মন্ত্রণালয়গুলোর নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে গেছে, সব কিছু একক কেন্দ্রের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এমনকি আদালতও ওপরের নির্দেশনা অনুযায়ী চলে, যা গত দেড় দশকে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে।এই পরিস্থিতি থেকে বের হওয়াটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন/এসকে
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বণিক বার্তা আয়োজিত ‘খাদ্যপণ্যের যৌক্তিক দাম: বাজার তত্ত্বাবধানের কৌশল অনুসন্ধান’ শীর্ষক পলিসি কনক্লেভে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতির মূলনীতি অনুযায়ী বাজারে প্রতিযোগিতা থাকবে, ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা বেশি হবে এবং তথ্য উন্মুক্ত থাকবে। কিন্তু বাস্তবে বাজার কয়েকটি গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে, প্রতিযোগিতাও নেই। এ ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা কমিশন ও সরকারেরও দায় আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।তিনি বলেন, বর্তমানে উৎপাদক ও ভোক্তারা কেউই যৌক্তিক দামে পণ্য কিনতে পারছে না। এর সঙ্গে নিরাপদ খাদ্যের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।তিনি আরও বলেন, ক্যানসার হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের বড় অংশ কৃষক। এর মানে উৎপাদনে এমন কিছু উপাদান ব্যবহার হচ্ছে, যা কৃষকদের ক্ষতি করছে। অথচ তারা সঠিক দামও পাচ্ছে না।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, একসময় গবেষণা ও সরকারি নীতিমালায় কৃষি ও খাদ্যখাত গুরুত্ব পেতো। কিন্তু আশির দশকের পর থেকে কৃষিখাত গুরুত্ব হারাতে থাকে। একইসঙ্গে গত দেড় দশকে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।তিনি বলেন, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান বিবিএস (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো) কার্যকরভাবে কাজ করছে না, মন্ত্রণালয়গুলোর নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে গেছে, সব কিছু একক কেন্দ্রের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এমনকি আদালতও ওপরের নির্দেশনা অনুযায়ী চলে, যা গত দেড় দশকে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে।এই পরিস্থিতি থেকে বের হওয়াটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন/এসকে