জুলাইয়ের চেতনায় নতুনরূপে এবারের বইমেলা আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৫’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, একুশ আমাদের মূল সত্ত্বার পরিচয়, একুশে মানে জেগে ওঠা, একুশ আমাদের দৃঢ় বন্ধন। একুশের টান প্রজন্মের পর প্রজন্ম বিস্তৃত হয়েছে। যার উদাহরণ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে জাতির ঘাড়ে ১৬ বছর ধরে চেপে থাকা স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটেছে। অভুত্থানে আমাদের সাহসী তরুণদের অভূতপূর্ব আত্মত্যাগ বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। এ বিজয়ের মাধ্যমে এসেছে নতুন বাংলাদেশ গড়ার ইস্পাত কঠোর প্রতিজ্ঞা।
তিনি বলেন, এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য: ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’। একুশে মানেই আত্মপরিচয়ের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়া, অবিরাম সংগ্রাম। বরকত, সালাম, রফিক, জব্বারের বুকের রক্তে যে অঙ্গীকার মাখা ছিল, তাতে ছিল জুলাই অভ্যুত্থানকে নিশ্চিত করার মহা বিস্ফোরক শক্তি।’
এসময় মেলার গুণগত মান বৃদ্ধিতে সেরা লেখক ও প্রকাশকদের জন্য পুরস্কার চালুর প্রস্তাব দেন প্রধান উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, তরুণ লেখকদের জন্য বই পড়া এবং গবেষণার সুযোগ করে দিয়েছে বাংলা একাডেমি। তবে বাংলা একাডেমিকে সর্বাত্মক গবেষণার দিকে নজর দিতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম।
বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী দেশের বৃহত্তম এ বইমেলা চলবে। মেলায় ৩৭টি প্যাভিলিয়ন থাকবে, একটি বাংলা একাডেমিতে এবং ৩৬টি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। লিটল ম্যাগাজিন কর্নারটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছে গাছের নিচে থাকবে, তাতে প্রায় ১৩০টি লিটল ম্যাগাজিন স্টল থাকবে।
প্রতিবছরের মতো এবারও মেলার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শিশু-কিশোরদের জন্য শিল্পাচার্য, আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন বিনোদনমূলক কার্যক্রমের আয়োজন করা হবে। ৮ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি বাদে শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে বিশেষ ‘শিশু প্রহর’।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই বছর অমর একুশে বইমেলা পরিবেশবান্ধব এবং শূন্য-বর্জ্য হওয়ার লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে। ‘সকল অংশগ্রহণকারী এবং বইমেলার অংশীদারদের একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পরিবর্তে পাট, কাপড় ও কাগজের মতো টেকসই উপকরণ ব্যবহার করার জন্য উৎসাহিত ও অনুরোধ করা হচ্ছে।’
বইমেলা প্রতি কর্মদিবসে সকলের জন্য বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং সরকারি ছুটির দিনে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। দুপুরের খাবার ও নামাজের জন্য এক ঘণ্টা বিরতি থাকবে। ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে মেলা সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে।
বাংলা স্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৫’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, একুশ আমাদের মূল সত্ত্বার পরিচয়, একুশে মানে জেগে ওঠা, একুশ আমাদের দৃঢ় বন্ধন। একুশের টান প্রজন্মের পর প্রজন্ম বিস্তৃত হয়েছে। যার উদাহরণ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে জাতির ঘাড়ে ১৬ বছর ধরে চেপে থাকা স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটেছে। অভুত্থানে আমাদের সাহসী তরুণদের অভূতপূর্ব আত্মত্যাগ বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। এ বিজয়ের মাধ্যমে এসেছে নতুন বাংলাদেশ গড়ার ইস্পাত কঠোর প্রতিজ্ঞা।
তিনি বলেন, এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য: ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’। একুশে মানেই আত্মপরিচয়ের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়া, অবিরাম সংগ্রাম। বরকত, সালাম, রফিক, জব্বারের বুকের রক্তে যে অঙ্গীকার মাখা ছিল, তাতে ছিল জুলাই অভ্যুত্থানকে নিশ্চিত করার মহা বিস্ফোরক শক্তি।’
এসময় মেলার গুণগত মান বৃদ্ধিতে সেরা লেখক ও প্রকাশকদের জন্য পুরস্কার চালুর প্রস্তাব দেন প্রধান উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, তরুণ লেখকদের জন্য বই পড়া এবং গবেষণার সুযোগ করে দিয়েছে বাংলা একাডেমি। তবে বাংলা একাডেমিকে সর্বাত্মক গবেষণার দিকে নজর দিতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম।
বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী দেশের বৃহত্তম এ বইমেলা চলবে। মেলায় ৩৭টি প্যাভিলিয়ন থাকবে, একটি বাংলা একাডেমিতে এবং ৩৬টি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। লিটল ম্যাগাজিন কর্নারটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছে গাছের নিচে থাকবে, তাতে প্রায় ১৩০টি লিটল ম্যাগাজিন স্টল থাকবে।
প্রতিবছরের মতো এবারও মেলার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শিশু-কিশোরদের জন্য শিল্পাচার্য, আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন বিনোদনমূলক কার্যক্রমের আয়োজন করা হবে। ৮ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি বাদে শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে বিশেষ ‘শিশু প্রহর’।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই বছর অমর একুশে বইমেলা পরিবেশবান্ধব এবং শূন্য-বর্জ্য হওয়ার লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে। ‘সকল অংশগ্রহণকারী এবং বইমেলার অংশীদারদের একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পরিবর্তে পাট, কাপড় ও কাগজের মতো টেকসই উপকরণ ব্যবহার করার জন্য উৎসাহিত ও অনুরোধ করা হচ্ছে।’
বইমেলা প্রতি কর্মদিবসে সকলের জন্য বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং সরকারি ছুটির দিনে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। দুপুরের খাবার ও নামাজের জন্য এক ঘণ্টা বিরতি থাকবে। ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে মেলা সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে।
বাংলা স্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে