নাটোর সদর উপজেলায় মদনহাট গ্রামে ঐতিহ্যবাহী গাঁওয়ালী শিরনি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। চাল, ডাল দিয়ে রান্না করা এ শিরনি খেতে হাজারও মানুষের সমাগম ঘটে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ভোর ৬টা থেকে সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের মদন হাট গ্রামে এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত উৎসবে অংশ নেন দুই সমাজের ১০০টি পরিবার।
উৎসবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, জেলা যুবদলের সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, নলডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আতিকুর রহমান তালুকদার, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন, নলডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম বুলবুল, দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপির নেতা আবুল কালাম আজাদ, সাবেক কাউন্সিলর মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সোহাগ প্রমুখ।
গাঁওয়ালী শিরনি উৎসব ১০০ বছর ধরে পালন করে আসছেন গ্রামবাসী। শীতকালে ঝাল শিরনি করা হয়। স্থানীয়রা জানায়, গাঁওয়ালী শিরনি অনুষ্ঠানে দূর-দূরান্ত থেকে জামাই-মেয়ে-নাতি-নাতনিসহ স্বজনরা গ্রামে আসেন। ভোজনের আয়োজন করা হয়। ভোর থেকে দিনভর চলে এই আয়োজন। পরিবারের সদস্য ও আগত অতিথিদের সংখ্যা ভেদে ৮ থেকে ১০টি পর্যন্ত ভোজের ভাগ দেন পরিবার প্রধান। কেউ চাল কেউবা টাকা দিয়ে অংশ নিয়ে থাকেন।
মদন হাট এলাকার বাসিন্দা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মাঠ-সহকারী মোঃ আব্দুল লতিফ জানান, একসময় বছরে দুইবার এই উৎসব পালন করা হতো। শীতকালে ঝাল এবং আষাঢ় মাসে মিষ্টি শিরনি হতো। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। উৎসবে আসা আত্মীয় এবং বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আনন্দ উপভোগ করা হয়। উৎসবকে কেন্দ্র করে বসেছে নানা খাবার আর খেলনা সামগ্রীর দোকান। গাঁওয়ালী এই শিরনি উৎসবে ঈদের মতো আনন্দ হয়।
মদন হাট এলাকার বাসিন্দা নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ সিএ মোঃ নুরুল ইসলাম ছোটন জানান, অনেক বছর আগে এই গ্রামে ডায়রিয়া-কলেরা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। অনেক মানুষ মারা যায়। আতাব্দি ফকির নামে এক আলেমের পরামর্শে শিরনি উৎসব করা হয়। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন আক্রান্তরা। কিছুদিন পর গবাদি পশুও আক্রান্ত হলে একইভাবে খির শিরনি উৎসব করা হয়। এমনটি কথা শুনেছি আমাদের মুরুব্বীদের কাছ থেকে।
মদন হাট এলাকার বাসিন্দা মোঃ উসমান আলী, মোঃ আকবর হোসেন, মোঃ আফতাব হোসেন মিন্টু, মোঃ শফিকুল ইসলাম শফির হাজী বলেন, “বাপ দাদার আমল থেকেই এই শিন্নি হয়। বালা, মছিবত, বিপদ আপদ, কলেরা থেকে বাঁচার জন্য এই শিন্নি করতেন আমাদের পূর্ব পুরুষরা।”
কথিত আছে এক থেকে দেড়শ বছর আগে এই গ্রামে ডায়রিয়া-কলেরা রোগের প্রাদুর্ভাব হয়; পরে এক ফকির এসে শিন্নির আয়োজন করার পরামর্শ দেন। সেই সময় শিরনি উৎসব পালন করা হলে গ্রামবাসী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত এই গ্রামের লোকজন প্রতি বছর এ উৎসব পালন করে আসছেন।
এর আগে (৬ জানুয়ারি) নাটোর সদর উপজেলার ভাতুরিয়া গ্রামে হাজারো মানুষের সমাগমে ঐতিহ্যবাহী গাঁওয়ালী শিন্নি উৎসব পালন করা হয়।
মদন হাট এলাকার প্রবীণ আমজাদ মীর, মীর ইসলাম, মীর ইদ্রিস বলেন, পূর্ব পুরুষদের ঐতিহ্য হিসেবে তারা এ উৎসব পালন করেন। শত বছরের বেশি সময় ধরে এ উৎসব হয়ে আসছে ।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে
উৎসবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, জেলা যুবদলের সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, নলডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আতিকুর রহমান তালুকদার, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন, নলডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম বুলবুল, দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপির নেতা আবুল কালাম আজাদ, সাবেক কাউন্সিলর মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সোহাগ প্রমুখ।
গাঁওয়ালী শিরনি উৎসব ১০০ বছর ধরে পালন করে আসছেন গ্রামবাসী। শীতকালে ঝাল শিরনি করা হয়। স্থানীয়রা জানায়, গাঁওয়ালী শিরনি অনুষ্ঠানে দূর-দূরান্ত থেকে জামাই-মেয়ে-নাতি-নাতনিসহ স্বজনরা গ্রামে আসেন। ভোজনের আয়োজন করা হয়। ভোর থেকে দিনভর চলে এই আয়োজন। পরিবারের সদস্য ও আগত অতিথিদের সংখ্যা ভেদে ৮ থেকে ১০টি পর্যন্ত ভোজের ভাগ দেন পরিবার প্রধান। কেউ চাল কেউবা টাকা দিয়ে অংশ নিয়ে থাকেন।
মদন হাট এলাকার বাসিন্দা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মাঠ-সহকারী মোঃ আব্দুল লতিফ জানান, একসময় বছরে দুইবার এই উৎসব পালন করা হতো। শীতকালে ঝাল এবং আষাঢ় মাসে মিষ্টি শিরনি হতো। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। উৎসবে আসা আত্মীয় এবং বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আনন্দ উপভোগ করা হয়। উৎসবকে কেন্দ্র করে বসেছে নানা খাবার আর খেলনা সামগ্রীর দোকান। গাঁওয়ালী এই শিরনি উৎসবে ঈদের মতো আনন্দ হয়।
মদন হাট এলাকার বাসিন্দা নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ সিএ মোঃ নুরুল ইসলাম ছোটন জানান, অনেক বছর আগে এই গ্রামে ডায়রিয়া-কলেরা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। অনেক মানুষ মারা যায়। আতাব্দি ফকির নামে এক আলেমের পরামর্শে শিরনি উৎসব করা হয়। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন আক্রান্তরা। কিছুদিন পর গবাদি পশুও আক্রান্ত হলে একইভাবে খির শিরনি উৎসব করা হয়। এমনটি কথা শুনেছি আমাদের মুরুব্বীদের কাছ থেকে।
মদন হাট এলাকার বাসিন্দা মোঃ উসমান আলী, মোঃ আকবর হোসেন, মোঃ আফতাব হোসেন মিন্টু, মোঃ শফিকুল ইসলাম শফির হাজী বলেন, “বাপ দাদার আমল থেকেই এই শিন্নি হয়। বালা, মছিবত, বিপদ আপদ, কলেরা থেকে বাঁচার জন্য এই শিন্নি করতেন আমাদের পূর্ব পুরুষরা।”
কথিত আছে এক থেকে দেড়শ বছর আগে এই গ্রামে ডায়রিয়া-কলেরা রোগের প্রাদুর্ভাব হয়; পরে এক ফকির এসে শিন্নির আয়োজন করার পরামর্শ দেন। সেই সময় শিরনি উৎসব পালন করা হলে গ্রামবাসী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত এই গ্রামের লোকজন প্রতি বছর এ উৎসব পালন করে আসছেন।
এর আগে (৬ জানুয়ারি) নাটোর সদর উপজেলার ভাতুরিয়া গ্রামে হাজারো মানুষের সমাগমে ঐতিহ্যবাহী গাঁওয়ালী শিন্নি উৎসব পালন করা হয়।
মদন হাট এলাকার প্রবীণ আমজাদ মীর, মীর ইসলাম, মীর ইদ্রিস বলেন, পূর্ব পুরুষদের ঐতিহ্য হিসেবে তারা এ উৎসব পালন করেন। শত বছরের বেশি সময় ধরে এ উৎসব হয়ে আসছে ।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে