ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বেশকিছু এলাকায় মাঘের শীত ও ঘন কুয়াশাকে ভেদ করে গাছে গাছে সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দিতে শুরু করেছে দৃষ্টিনন্দন আমের মুকুল। মৌমাছির গুঞ্জন আর মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে প্রকৃতিতে সৃষ্টি হচ্ছে এক নতুন ছন্দের। ভরা শীত মৌসুমে মুকুলের পরিমাণ কম হলেও সৌরভ ছড়িয়ে পড়ছে বাতাসে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে উপজেলার আম চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেক আম গাছে আসতে শুরু করেছে আগাম মুকুল। আগাম মুকুলে আম চাষিদের মনে আশার প্রদীপ জ্বলে ওঠেছে। মাঘের হিমেল হাওয়ায় সবুজ পাতার ফাঁকে দোল খাচ্ছে মুকুল। গাছের কচি শাখা-প্রশাখায় ফোটা ফুলগুলোর উপরে সূর্যের আলো পড়তেই চিকচিক করে উঠছে। এবার শেষ জানুয়ারিতেই কিছু কিছু গাছে আমের মুকুল চলে এসেছে। ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া বিরাজ করায় কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে উঁকি মারা নতুন মুকুলগুলো বলে জানান আম চাষিরা।
ভোলাপাড়া গ্রামের আম চাষি বাগান মালিক মাওলানা আনিসুর রহমান ও বনগাঁর গ্রামের পয়গাম বিএসসি বলেন, এর মধ্যে অনেক গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। আশা করা যাচ্ছে, ফালগুন মাসের মধ্যে উপজেলার আম গাছগুলোতে পর্যাপ্ত মুকুল আসবে। তবে এ সময় মাঝেমধ্যেই আকাশে মেঘ জমে ওঠার সম্ভাবনা থাকে। এতে শিলাবৃষ্টি হলে আমের মুকুলের ক্ষতি হবে। তাই আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কাও কাজ করছে। তবে পরিস্থিতি অনূকূলে থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে।
বিভিন্ন বাগান মালিকরা বলেন, মুকুল আসার পর থেকেই তারা গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছেন। মুকুলে রোগবালাইয়ের আক্রমন থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ স্প্রে করছেন তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সহীদুল ইসলাম জানান, উপজেলায় বর্তমানে ৪ হাজার ৫০০ আম বাগান মালিক কৃষকের ৭১১ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলন ভালো হবে। তবে আমি চাষিদের এখন আম গাছে, ইমিডা ক্লোরোফিল অথবা ম্যানকোজেব স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়ার হচ্ছে।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে উপজেলার আম চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেক আম গাছে আসতে শুরু করেছে আগাম মুকুল। আগাম মুকুলে আম চাষিদের মনে আশার প্রদীপ জ্বলে ওঠেছে। মাঘের হিমেল হাওয়ায় সবুজ পাতার ফাঁকে দোল খাচ্ছে মুকুল। গাছের কচি শাখা-প্রশাখায় ফোটা ফুলগুলোর উপরে সূর্যের আলো পড়তেই চিকচিক করে উঠছে। এবার শেষ জানুয়ারিতেই কিছু কিছু গাছে আমের মুকুল চলে এসেছে। ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া বিরাজ করায় কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে উঁকি মারা নতুন মুকুলগুলো বলে জানান আম চাষিরা।
ভোলাপাড়া গ্রামের আম চাষি বাগান মালিক মাওলানা আনিসুর রহমান ও বনগাঁর গ্রামের পয়গাম বিএসসি বলেন, এর মধ্যে অনেক গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। আশা করা যাচ্ছে, ফালগুন মাসের মধ্যে উপজেলার আম গাছগুলোতে পর্যাপ্ত মুকুল আসবে। তবে এ সময় মাঝেমধ্যেই আকাশে মেঘ জমে ওঠার সম্ভাবনা থাকে। এতে শিলাবৃষ্টি হলে আমের মুকুলের ক্ষতি হবে। তাই আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কাও কাজ করছে। তবে পরিস্থিতি অনূকূলে থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে।
বিভিন্ন বাগান মালিকরা বলেন, মুকুল আসার পর থেকেই তারা গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছেন। মুকুলে রোগবালাইয়ের আক্রমন থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ স্প্রে করছেন তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সহীদুল ইসলাম জানান, উপজেলায় বর্তমানে ৪ হাজার ৫০০ আম বাগান মালিক কৃষকের ৭১১ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলন ভালো হবে। তবে আমি চাষিদের এখন আম গাছে, ইমিডা ক্লোরোফিল অথবা ম্যানকোজেব স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়ার হচ্ছে।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে