বাংলা স্কুপ, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪:
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্যোগে পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনসহ প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে জাতিসংঘ।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুইন লুইস এ কথা জানান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, বৈঠকে তাঁরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার, দুর্নীতি, বন্যা, রোহিঙ্গা সংকট এবং জুলাই-আগস্ট গণহত্যা বিষয়ে জাতিসংঘের নেতৃত্বে তদন্ত বিষয়ে আলাপ করেন। গুইন লুইস অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কার উদ্যোগে সহায়তায় আগ্রহের কথা জানান এবং বিপ্লব-পরবর্তী প্রশাসনের প্রধান হিসেবে অসাধারণ ভূমিকা নেওয়া ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ দেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটা ছিল গোটা জাতির জন্য এক অনন্য আন্দোলন। সরকারের এখন প্রধান কাজ প্রত্যেকের জন্য একটা ভালো উদাহরণ স্থাপন করা।
তিনি বলেন, এটা দেশের অর্থনীতি এবং প্রায় সব প্রতিষ্ঠান সংস্কারের জন্য বিরাট সুযোগ।
গুইন লুইস পুলিশ প্রশাসনসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সংস্কার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকার পুলিশের সংস্কারের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। এ ছাড়া সরকার সারা দেশে সমন্বিত তথ্যপ্রযুক্তি পদ্ধতি স্থাপনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি দেশে হয়রানি ও দুর্নীতি হ্রাস করবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন-পদ্ধতি সংস্কারে সরকার একটি কমিশন গঠন করেছে। সুতরাং আগামীতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের তদন্ত বিষয়ে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুইন লুইস বলেন, জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড এবং ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন তদন্ত টিম ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, আইএলও আহত এবং মানসিক ট্রমাতে থাকা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহায়তা করছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহায়তার বিষয়ে গুইন লুইস বলেন, বাংলাদেশের পূর্ব ও দক্ষিণ অঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের বন্যা-পরবর্তী পুনর্বাসনে সহায়তা হিসেবে চার মিলিয়ন ডলার সরবরাহ করেছে। বন্যায় বাংলাদেশে প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের সহায়তায় বিভিন্ন সংস্থা ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় করেছে জাতিসংঘ।
দক্ষিণ এশিয়ায় আগাম বন্যা সতর্কতার জন্য একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপনে জাতিসংঘের সহায়তা চান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ইস্যুতে আলাপ করেন। তিন পার্বত্য জেলায় জাতিসংঘের সংস্থাগুলো যে সাহায্য করেছে, তার চিত্র তুলে ধরেন লুইস।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলাপকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য অধিকতর সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে জাতিসংঘের সহায়তা চান। সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন।
ডেস্ক/এসকে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্যোগে পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনসহ প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে জাতিসংঘ।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুইন লুইস এ কথা জানান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, বৈঠকে তাঁরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার, দুর্নীতি, বন্যা, রোহিঙ্গা সংকট এবং জুলাই-আগস্ট গণহত্যা বিষয়ে জাতিসংঘের নেতৃত্বে তদন্ত বিষয়ে আলাপ করেন। গুইন লুইস অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কার উদ্যোগে সহায়তায় আগ্রহের কথা জানান এবং বিপ্লব-পরবর্তী প্রশাসনের প্রধান হিসেবে অসাধারণ ভূমিকা নেওয়া ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ দেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটা ছিল গোটা জাতির জন্য এক অনন্য আন্দোলন। সরকারের এখন প্রধান কাজ প্রত্যেকের জন্য একটা ভালো উদাহরণ স্থাপন করা।
তিনি বলেন, এটা দেশের অর্থনীতি এবং প্রায় সব প্রতিষ্ঠান সংস্কারের জন্য বিরাট সুযোগ।
গুইন লুইস পুলিশ প্রশাসনসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সংস্কার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকার পুলিশের সংস্কারের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। এ ছাড়া সরকার সারা দেশে সমন্বিত তথ্যপ্রযুক্তি পদ্ধতি স্থাপনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি দেশে হয়রানি ও দুর্নীতি হ্রাস করবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন-পদ্ধতি সংস্কারে সরকার একটি কমিশন গঠন করেছে। সুতরাং আগামীতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের তদন্ত বিষয়ে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুইন লুইস বলেন, জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড এবং ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন তদন্ত টিম ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, আইএলও আহত এবং মানসিক ট্রমাতে থাকা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহায়তা করছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহায়তার বিষয়ে গুইন লুইস বলেন, বাংলাদেশের পূর্ব ও দক্ষিণ অঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের বন্যা-পরবর্তী পুনর্বাসনে সহায়তা হিসেবে চার মিলিয়ন ডলার সরবরাহ করেছে। বন্যায় বাংলাদেশে প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের সহায়তায় বিভিন্ন সংস্থা ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় করেছে জাতিসংঘ।
দক্ষিণ এশিয়ায় আগাম বন্যা সতর্কতার জন্য একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপনে জাতিসংঘের সহায়তা চান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ইস্যুতে আলাপ করেন। তিন পার্বত্য জেলায় জাতিসংঘের সংস্থাগুলো যে সাহায্য করেছে, তার চিত্র তুলে ধরেন লুইস।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলাপকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য অধিকতর সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে জাতিসংঘের সহায়তা চান। সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন।
ডেস্ক/এসকে