দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সংবাদকর্মীদের সব দাবি মেনে নেওয়া ও বন্ধ কার্যালয় খুলে দিয়ে প্রকাশনা চালু রাখার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ভোরের কাগজের সাংবাদিক, সংবাদকর্মী এবং সাংবাদিক নেতারা।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে এইচআর ভবনের সামনে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় পত্রিকাটির সংবাদকর্মীরা দাবি করেন, আমরা আমাদের ন্যায্য পাওনা চাই। ভোরের কাগজের কোটি কোটি টাকা লুটপাটকারী ও প্রকাশনা বন্ধের ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় আনা হোক। আমাদের সব দাবি মেনে নেওয়া ও বন্ধ কার্যালয় খুলে দিয়ে প্রকাশনা চালু রাখার দাবি নিয়েই আজ আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। আমরা এখানে মেধা দিয়েছি, শ্রম দিয়েছি, বিনিময়ে আজ এসে কী পেলাম?
তারা পত্রিকাটির কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, পত্রিকাটির সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বার্তা সম্পাদক ইখতিয়ার উদ্দিন, চিফ অব অ্যাকাউন্টস এ কে সোহাগ, বিজ্ঞাপন ম্যানেজার এস এ রাজ্জাক ও অ্যাডমিন ম্যানেজার সুজন নন্দি মজুমদার যোগসাজশ করে ভোরের কাগজ পত্রিকার প্রধান কার্যালয় বন্ধ করে দেন। তারা পত্রিকা মালিক সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছে। তারা বিগত সরকার আওয়ামী লীগের দোসর। এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ায় তারা পত্রিকাটি বন্ধ করার পাঁয়তারা করছে।
অবস্থান কর্মসূচিতে পত্রিকাটি চিফ রিপোর্ট খন্দকার কাওসারের সঞ্চালনায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন। এসময় নেতারা দাবি করেন, যেকোনও মূল যতদ্রুত সম্ভব ভোরের কাগজ পত্রিকার অফিস খুলে দিতে হবে এবং পত্রিকার সকল সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের দেনা-পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে।
অবস্থান কর্মসূচিতে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, ভোরের কাগজ কর্তৃপক্ষকে বলতে চাই, অন্যায় তো অনেক করেছেন। গত ১৫ বছর ধরে আপনারা যে অন্যায় করছেন। আমরা সেগুলো টেনে আনতে চাই না। জুলাই আন্দোলন বিপ্লবীদের আপনারা সন্ত্রাসী বানানোর চেষ্টা করেছেন। আমরা সেই কথাগুলো ভুলে যেতে চেয়েছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম নতুন বিপ্লবী সরকারের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আদর্শ গণমাধ্যম হয়ে উঠুন। কিন্তু আপনারা সাংবাদিকদের পাওনা না বুঝিয়ে দিয়ে অফিস বন্ধ করে দিয়েছেন। আমরা কোনও গণমাধ্যম বন্ধ করতে চাই না। আমরা চাই প্রত্যেকটা গণমাধ্যম থেকে ফ্যাসিবাদের দোসরদের সরিয়ে দিন৷ সেই কাজটি না করে সাবের হোসেন পত্রিকার প্রায় ১ হাজার সংবাদকর্মীর পাওনাদি না দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন।
পত্রিকার মালিক কতৃপক্ষকে উদ্দেশ করে ডিইউজের সভাপতি আরও বলেন, আপনারা ভোরের কাগজের সংবাদকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে পত্রিকাটি খুলে দিন। তাদের দেনা-পাওনা বুঝিয়ে দিন৷ তা না হলে সামনের দিনে আমরা কঠোর কর্মসূচি দেবো।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, এভাবে বিনা নোটিশে একটা পত্রিকা অফিস বন্ধ করা যায় না। আপনারা জানেন দীর্ঘদিন এদেশে একটি ফ্যাসিস্ট সরকার গণমাধ্যমে ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে। সেই নিপীড়ন থেকে আমরা মাত্র বেরিয়ে এসেছি। এখন আমাদের কাজের স্বাধীনতা, লেখার এবং বাকস্বাধীনতার সুযোগ এসেছে। ঠিক সেই মুহুর্তে একজন ফ্যাসিস্ট সাবেক হোসেন এভাবে তার পত্রিকাটি বন্ধ করে দিয়েছে। এটা খুবই ন্যাক্করজনক।
অবস্থান কর্মসূচিতে কর্মসূচিতে ভোরের কাগজের সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের পাশাপাশি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খান, সাবেক সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম কাগজী, ডিইউজের নির্বাহী সদস্য আব্দুল্লাহ মজুমদার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের দফতর সম্পাদক আবু বক্কর মিয়া, পত্রিকাটির সাহিত্য সম্পাদক সালেক নাছির উদ্দিন, যুগ্ম বার্তা সম্পাদক মুকুল শাহরিয়ার, সাংবাদিক এস এম মিজানসহ পত্রিকাটির সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) মালিকপক্ষের টানিয়ে দেওয়া এক নোটিশের মাধ্যমে পত্রিকাটির প্রধান কার্যালয় বন্ধের ঘোষণা করা হয়। নির্বাহী সম্পাদক স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে বলা হয়, ভোরের কাগজ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ১২ ধারা অনুযায়ী মালিকের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, যা ওইদিন থেকে কার্যকর হয়।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন/এসকে
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে এইচআর ভবনের সামনে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় পত্রিকাটির সংবাদকর্মীরা দাবি করেন, আমরা আমাদের ন্যায্য পাওনা চাই। ভোরের কাগজের কোটি কোটি টাকা লুটপাটকারী ও প্রকাশনা বন্ধের ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় আনা হোক। আমাদের সব দাবি মেনে নেওয়া ও বন্ধ কার্যালয় খুলে দিয়ে প্রকাশনা চালু রাখার দাবি নিয়েই আজ আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। আমরা এখানে মেধা দিয়েছি, শ্রম দিয়েছি, বিনিময়ে আজ এসে কী পেলাম?
তারা পত্রিকাটির কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, পত্রিকাটির সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বার্তা সম্পাদক ইখতিয়ার উদ্দিন, চিফ অব অ্যাকাউন্টস এ কে সোহাগ, বিজ্ঞাপন ম্যানেজার এস এ রাজ্জাক ও অ্যাডমিন ম্যানেজার সুজন নন্দি মজুমদার যোগসাজশ করে ভোরের কাগজ পত্রিকার প্রধান কার্যালয় বন্ধ করে দেন। তারা পত্রিকা মালিক সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছে। তারা বিগত সরকার আওয়ামী লীগের দোসর। এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ায় তারা পত্রিকাটি বন্ধ করার পাঁয়তারা করছে।
অবস্থান কর্মসূচিতে পত্রিকাটি চিফ রিপোর্ট খন্দকার কাওসারের সঞ্চালনায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন। এসময় নেতারা দাবি করেন, যেকোনও মূল যতদ্রুত সম্ভব ভোরের কাগজ পত্রিকার অফিস খুলে দিতে হবে এবং পত্রিকার সকল সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের দেনা-পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে।
অবস্থান কর্মসূচিতে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, ভোরের কাগজ কর্তৃপক্ষকে বলতে চাই, অন্যায় তো অনেক করেছেন। গত ১৫ বছর ধরে আপনারা যে অন্যায় করছেন। আমরা সেগুলো টেনে আনতে চাই না। জুলাই আন্দোলন বিপ্লবীদের আপনারা সন্ত্রাসী বানানোর চেষ্টা করেছেন। আমরা সেই কথাগুলো ভুলে যেতে চেয়েছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম নতুন বিপ্লবী সরকারের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আদর্শ গণমাধ্যম হয়ে উঠুন। কিন্তু আপনারা সাংবাদিকদের পাওনা না বুঝিয়ে দিয়ে অফিস বন্ধ করে দিয়েছেন। আমরা কোনও গণমাধ্যম বন্ধ করতে চাই না। আমরা চাই প্রত্যেকটা গণমাধ্যম থেকে ফ্যাসিবাদের দোসরদের সরিয়ে দিন৷ সেই কাজটি না করে সাবের হোসেন পত্রিকার প্রায় ১ হাজার সংবাদকর্মীর পাওনাদি না দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন।
পত্রিকার মালিক কতৃপক্ষকে উদ্দেশ করে ডিইউজের সভাপতি আরও বলেন, আপনারা ভোরের কাগজের সংবাদকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে পত্রিকাটি খুলে দিন। তাদের দেনা-পাওনা বুঝিয়ে দিন৷ তা না হলে সামনের দিনে আমরা কঠোর কর্মসূচি দেবো।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, এভাবে বিনা নোটিশে একটা পত্রিকা অফিস বন্ধ করা যায় না। আপনারা জানেন দীর্ঘদিন এদেশে একটি ফ্যাসিস্ট সরকার গণমাধ্যমে ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে। সেই নিপীড়ন থেকে আমরা মাত্র বেরিয়ে এসেছি। এখন আমাদের কাজের স্বাধীনতা, লেখার এবং বাকস্বাধীনতার সুযোগ এসেছে। ঠিক সেই মুহুর্তে একজন ফ্যাসিস্ট সাবেক হোসেন এভাবে তার পত্রিকাটি বন্ধ করে দিয়েছে। এটা খুবই ন্যাক্করজনক।
অবস্থান কর্মসূচিতে কর্মসূচিতে ভোরের কাগজের সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের পাশাপাশি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খান, সাবেক সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম কাগজী, ডিইউজের নির্বাহী সদস্য আব্দুল্লাহ মজুমদার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের দফতর সম্পাদক আবু বক্কর মিয়া, পত্রিকাটির সাহিত্য সম্পাদক সালেক নাছির উদ্দিন, যুগ্ম বার্তা সম্পাদক মুকুল শাহরিয়ার, সাংবাদিক এস এম মিজানসহ পত্রিকাটির সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) মালিকপক্ষের টানিয়ে দেওয়া এক নোটিশের মাধ্যমে পত্রিকাটির প্রধান কার্যালয় বন্ধের ঘোষণা করা হয়। নির্বাহী সম্পাদক স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে বলা হয়, ভোরের কাগজ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ১২ ধারা অনুযায়ী মালিকের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, যা ওইদিন থেকে কার্যকর হয়।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন/এসকে