জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে সানোয়ার হায়দার (৩৬) নামে এক এলজিইডি কর্মকর্তা আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সানোয়ার হায়দার নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার আব্দুল হামিদের ছেলে। তিনি সৈয়দপুর পৌরসভার নয়াটোলা জমিলা লেন এলাকার বাসিন্দা। সরিষাবাড়ী উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্য সহকারী কর্মকর্তা ছিলেন তিনি।
রেলওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম থেকে ভুয়াপুরগামী ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস ট্রেনটি সরিষাবাড়ী রেলওয়েস্টেশনে প্রবেশ করছিল। এ সময় ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন সানোয়ার হায়দার। পরে চলন্ত ট্রেনে তার দেহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী রিয়া আক্তার জানান, নিহত ব্যক্তি ট্রেন আসার আগে রেললাইনের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। যখন ট্রেনটি আসে তখন তিনি ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, পারিবারিক কলহ ও মানসিক যন্ত্রণার কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন।
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, সানোয়ার হোসেন উপজেলা বন্যা প্রকল্পের কার্য-সহকারী ছিলেন। তিনি দুই বছর ধরে এখানে কর্মরত ছিলেন। তাঁর ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক, দুঃখজনক। তিনি জানান, বেশকিছু দিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে ঝামেলা চলছিল তাঁর। সম্ভবত তিনি মানসিক চাপেই আত্মহত্যা করেছেন।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ি রেলওয়ে ফাঁড়ির এএসআই আশীষ চন্দ্র দে জানান, রেল দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে
সানোয়ার হায়দার নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার আব্দুল হামিদের ছেলে। তিনি সৈয়দপুর পৌরসভার নয়াটোলা জমিলা লেন এলাকার বাসিন্দা। সরিষাবাড়ী উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্য সহকারী কর্মকর্তা ছিলেন তিনি।
রেলওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম থেকে ভুয়াপুরগামী ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস ট্রেনটি সরিষাবাড়ী রেলওয়েস্টেশনে প্রবেশ করছিল। এ সময় ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন সানোয়ার হায়দার। পরে চলন্ত ট্রেনে তার দেহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী রিয়া আক্তার জানান, নিহত ব্যক্তি ট্রেন আসার আগে রেললাইনের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। যখন ট্রেনটি আসে তখন তিনি ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, পারিবারিক কলহ ও মানসিক যন্ত্রণার কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন।
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, সানোয়ার হোসেন উপজেলা বন্যা প্রকল্পের কার্য-সহকারী ছিলেন। তিনি দুই বছর ধরে এখানে কর্মরত ছিলেন। তাঁর ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক, দুঃখজনক। তিনি জানান, বেশকিছু দিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে ঝামেলা চলছিল তাঁর। সম্ভবত তিনি মানসিক চাপেই আত্মহত্যা করেছেন।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ি রেলওয়ে ফাঁড়ির এএসআই আশীষ চন্দ্র দে জানান, রেল দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে