মাদারীপুরের রাজৈরের ফল ব্যবসায়ী বাবুল হাওলাদারকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১৯ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে মাদারীপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারত নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবির এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন রাজৈর উপজেলার শাখারপাড় এলাকার সাহেবালী মুন্সি (৬৫), খোকন মুন্সি (৪৫), সাহাবুদ্দিন মুন্সি (৫৮), লাবলু মুন্সি (৫৮) ও হান্নান মুন্সি (৫৮)। তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, একটি চাঁদাবাজি মামলায় সাক্ষী করা হয় রাজৈর উপজেলার শাখারপাড় গ্রামের ফল ব্যবসায়ী বাবুল হাওলাদারকে। এরই জেরে ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার দুদিন পর ৪২ জনের নামে রাজৈর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বড় ছেলে ইমরান হাওলাদার।
মামলার পর ইমরানকে বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখায় আসামিপক্ষ। পরে তিনি বিদেশ চলে যান। এরপর উচ্চ আদালদের নির্দেশে মামলা পরিচালানার দায়িত্ব পান নিহতের ছোট ছেলে আসাদুল হাওলাদার। সবশেষ তৃতীয় দফায় ২০১৬ সালের ২৪ মে ২৪ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান ফকির। মামলা চলাকালীন চার্জশিটভুক্ত তিন আসামির মৃত্যু হয়। এরপর যুক্তিতর্ক, দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া ও ১২ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।
নিহতের ছোট ছেলে আসাদুল হাওলাদার বলেন, ‘আমার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছেন আসামিরা। আমরা রায়ে সন্তুষ্ট নই। রায়ের কপি সংগ্রহ করে উচ্চ আদালতে যাবো।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী ফয়জুর রহমান হিরু বলেন, আসামিরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, এমন কিছুই প্রমাণ হয়নি। আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন/এসকে
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে মাদারীপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারত নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবির এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন রাজৈর উপজেলার শাখারপাড় এলাকার সাহেবালী মুন্সি (৬৫), খোকন মুন্সি (৪৫), সাহাবুদ্দিন মুন্সি (৫৮), লাবলু মুন্সি (৫৮) ও হান্নান মুন্সি (৫৮)। তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, একটি চাঁদাবাজি মামলায় সাক্ষী করা হয় রাজৈর উপজেলার শাখারপাড় গ্রামের ফল ব্যবসায়ী বাবুল হাওলাদারকে। এরই জেরে ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার দুদিন পর ৪২ জনের নামে রাজৈর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বড় ছেলে ইমরান হাওলাদার।
মামলার পর ইমরানকে বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখায় আসামিপক্ষ। পরে তিনি বিদেশ চলে যান। এরপর উচ্চ আদালদের নির্দেশে মামলা পরিচালানার দায়িত্ব পান নিহতের ছোট ছেলে আসাদুল হাওলাদার। সবশেষ তৃতীয় দফায় ২০১৬ সালের ২৪ মে ২৪ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান ফকির। মামলা চলাকালীন চার্জশিটভুক্ত তিন আসামির মৃত্যু হয়। এরপর যুক্তিতর্ক, দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া ও ১২ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।
নিহতের ছোট ছেলে আসাদুল হাওলাদার বলেন, ‘আমার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছেন আসামিরা। আমরা রায়ে সন্তুষ্ট নই। রায়ের কপি সংগ্রহ করে উচ্চ আদালতে যাবো।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী ফয়জুর রহমান হিরু বলেন, আসামিরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, এমন কিছুই প্রমাণ হয়নি। আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন/এসকে