মৃতের ধর্ম নিয়ে দুই স্ত্রীর পাল্টাপাল্টি দাবিতে প্রায় ১০ বছর ধরে ঢাকা মেডিক্যালের হিমঘরে থাকা খোকা চৌধুরীর মরদেহের বিষয়ে স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট। মৃত এই ব্যক্তির ‘রাজীব চৌধুরী’, ‘খোকন চৌধুরী’, ‘খোকন নন্দী’ ও ‘রনজিত নন্দী’সহ একাধিক নাম পাওয়া গেছে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) মামলার আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী মৃতের দাফন হবে নাকি হিন্দুধর্ম মতে সৎকার হবে; এই নিয়ে শুরু হওয়া বিরোধের বিষয়টি ঢাকার আদালত হয়ে এখন হাইকোর্টে বিচারাধীন। বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ অধস্তন আদালতের রায় বাতিল প্রশ্নে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রুলসহ বিষয়বস্তুর ওপর স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছেন। ওই আদেশের ফলে হাইকোর্টে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মর্গের হিমঘরে থাকা লাশটি যে অবস্থায় আছে, সে অবস্থায়ই থাকবে বলে জানিয়েছেন দ্বিতীয় স্ত্রীর পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মিজানুল হক।
আদালতে মৃতের দ্বিতীয় স্ত্রীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির ও মোহাম্মদ মিজানুল হক।
জানা গেছে, রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের সাবেক শিক্ষিকা হাবিবা আকতার খানমের দাবি, তার স্বামী খোকা চৌধুরী ১৯৮০ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। মুসলমান হিসেবেই ২০১৪ সালে বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তবে প্রথম স্ত্রী মীরা নন্দীর দাবি, তার স্বামী কখনই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেননি।
এমন পাল্টাপাল্টি দাবির পর ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী দাফন হবে নাকি হিন্দু ধর্ম মতে সৎকার হবে; এই নিয়ে দুপক্ষের মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। তৎকালীন রমনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে বিরোধ মেটানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে এক পর্যায়ে বিষয়টি ঢাকার আদালত পর্যন্ত গড়ায়। দ্বিতীয় স্ত্রী হাবিবা খানম মামলা করলে ঢাকার সহকারী জজ আদালত ২০১৪ সালের ২৩ অক্টোবর লাশ বারডেম ব্যবস্থাপনায় ও তদারকিতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে সংরক্ষণের আদেশ দেন। আইনি লড়াইয়ের এক পর্যায়ে বিষয়টি এখন হাইকোর্টে বিচারাধীন।
আইনজীবীরা বলেন, দ্বিতীয় স্ত্রী হাবিবা খানমের ভাষ্য হচ্ছে, ১৯৮০ সালে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে এফিডেভিট করে রাজিব মুসলমান হয়ে খোকন চৌধুরী ওরফে খোকা চৌধুরী ওরফে রাজিব চৌধুরী নাম রাখেন। ১৯৮৪ সালের ১৫ জুলাই তাদের বিয়ে হয়। ধর্মান্তরিত হলেও ব্যবসার প্রয়োজনে তার স্বামী আগের নাম (খোকন নন্দী) ব্যবহার করতেন।অন্যদিকে, ধর্মান্তরিত হওয়ার বিষয়টিকেই জাল দাবি করেছেন প্রথম স্ত্রী মীরা নন্দী।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/ এনআইএন/এসকে
তিনি বলেন, ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী মৃতের দাফন হবে নাকি হিন্দুধর্ম মতে সৎকার হবে; এই নিয়ে শুরু হওয়া বিরোধের বিষয়টি ঢাকার আদালত হয়ে এখন হাইকোর্টে বিচারাধীন। বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ অধস্তন আদালতের রায় বাতিল প্রশ্নে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রুলসহ বিষয়বস্তুর ওপর স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছেন। ওই আদেশের ফলে হাইকোর্টে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মর্গের হিমঘরে থাকা লাশটি যে অবস্থায় আছে, সে অবস্থায়ই থাকবে বলে জানিয়েছেন দ্বিতীয় স্ত্রীর পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মিজানুল হক।
আদালতে মৃতের দ্বিতীয় স্ত্রীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির ও মোহাম্মদ মিজানুল হক।
জানা গেছে, রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের সাবেক শিক্ষিকা হাবিবা আকতার খানমের দাবি, তার স্বামী খোকা চৌধুরী ১৯৮০ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। মুসলমান হিসেবেই ২০১৪ সালে বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তবে প্রথম স্ত্রী মীরা নন্দীর দাবি, তার স্বামী কখনই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেননি।
এমন পাল্টাপাল্টি দাবির পর ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী দাফন হবে নাকি হিন্দু ধর্ম মতে সৎকার হবে; এই নিয়ে দুপক্ষের মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। তৎকালীন রমনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে বিরোধ মেটানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে এক পর্যায়ে বিষয়টি ঢাকার আদালত পর্যন্ত গড়ায়। দ্বিতীয় স্ত্রী হাবিবা খানম মামলা করলে ঢাকার সহকারী জজ আদালত ২০১৪ সালের ২৩ অক্টোবর লাশ বারডেম ব্যবস্থাপনায় ও তদারকিতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে সংরক্ষণের আদেশ দেন। আইনি লড়াইয়ের এক পর্যায়ে বিষয়টি এখন হাইকোর্টে বিচারাধীন।
আইনজীবীরা বলেন, দ্বিতীয় স্ত্রী হাবিবা খানমের ভাষ্য হচ্ছে, ১৯৮০ সালে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে এফিডেভিট করে রাজিব মুসলমান হয়ে খোকন চৌধুরী ওরফে খোকা চৌধুরী ওরফে রাজিব চৌধুরী নাম রাখেন। ১৯৮৪ সালের ১৫ জুলাই তাদের বিয়ে হয়। ধর্মান্তরিত হলেও ব্যবসার প্রয়োজনে তার স্বামী আগের নাম (খোকন নন্দী) ব্যবহার করতেন।অন্যদিকে, ধর্মান্তরিত হওয়ার বিষয়টিকেই জাল দাবি করেছেন প্রথম স্ত্রী মীরা নন্দী।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/ এনআইএন/এসকে